স্পেশাল তান্দুরি চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কয়েকদিন আগে আমি প্রথম তান্দুরি চা খেয়েছিলাম। সেই অনুভূতিই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আসলে এতদিন তান্দুরি চিকেন খেয়েছি কিন্তু কখনো তান্দুরি চা খাওয়া হয়নি। তবে এর আগে এই চায়ের নাম শুনেছি ।কেমন স্বাদের হয় সেটা খেয়ে দেখার ইচ্ছে ছিল। সে সুযোগটি কয়েকদিন আগে আমার চলে আসলো । আমরা কয়েকজন মিলে রাতের বেলায় ঢাকার তিনশ ফিট ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানেই মূলত আমরা এই চা টি খেয়েছি। ভিন্ন ধরনের স্বাদ, ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা, সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল। সেই অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
স্পেশাল তান্দুরি চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা
আমরা বাসা থেকে বেশ খানিকক্ষণ আগেই বেরিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের সন্ধ্যে হয়ে গেল। সন্ধ্যের আগ মুহূর্তে আমরা জায়গাটা একটু ঘোরাঘুরি করে দেখলাম। তারপর ওখানের স্পেশাল কিছু খাবার খেলাম। সে খাবারগুলো খেয়ে ফেরার পথেই মূলত দেখতে পেলাম এই তান্দুরি চায়ের দোকান। আমার সঙ্গে ছিল আমার খালাতো বোন, বোনের হাসবেন্ড, আমার হাজবেন্ড আর মেয়ে। আমার হাজবেন্ড মেয়েকে নিয়ে শিশু পার্কে গিয়েছিল। আমরা সেই মুহূর্তে বাকি তিনজন এই চা টি খেয়েছিলাম। আমার হাজবেন্ডের আবার চায়ের প্রতি খুব একটা নেশা নেই ।যার কারণে তার জন্য অপেক্ষা করিনি।
আমরা চায়ের অর্ডার দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই স্পেশাল তান্দুরি চা বানানো দেখলাম। সত্যি একদম ভিন্ন ধরনের সিস্টেমে এই চা টি তৈরি করা হয়, যা এর আগে কখনো দেখিনি। এবারই প্রথম দেখার সুযোগ হলো। খুব কাছ থেকে চা বানানো দেখলাম। বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে ইউনিক উপায়ে চা তৈরি করে।
তারপর বিভিন্ন ধরনের মসলা অ্যাড করতে থাকে। সত্যি দেখে একদম অন্যরকম লেগেছিল। মনে হচ্ছিল এটা চা নাকি অন্য কিছু তৈরি করা হচ্ছে। না জানি খেতে কেমন হবে। একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করছিল।
তারপর উপর দিয়ে গুঁড়ো দুধ ছিটিয়ে দিল। দেখতে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছিল চা টি। খাবার জন্য আমার আর দেরি সহ্য করতে ইচ্ছে করছিল না।
তারপর উপর দিয়ে আরো কি যেন দিয়ে দিল। তারপর টিস্যু দিয়ে মুরিয়ে আমাদের সবার হাতে দিল ।তারপর আমরা তিনটা চা এক জায়গায় করে একটি ছবি তুলে নিলাম। সত্যি বেশ দারুন লেগেছিল ।তারপর আমরা একটি টেবিলে বসে পড়লাম ।সেখানে বসে বসে চা খাচ্ছিলাম আর গল্প করছিলাম ।তবে চা টা কিন্তু খারাপ লাগেনি ।বেশ ভালই লেগেছিল ।আমি তো চিন্তায় ছিলাম খেতে না জানি কেমন হবে ।খাওয়া যাবে কিনা ।তবে না খারাপ ছিল না ,মোটামুটি ভালই ছিল। ভিন্ন ধরনের একটা টেস্ট পাওয়া গেল। আপনারা যারা এখনো এই স্পেশাল তান্দুরি চা খান নি অবশ্যই একবার খেয়ে টেস্ট করে দেখবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | তিনশ ফিট,ঢাকা |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
স্পেশাল তান্দুরি চা আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। যার কারণে আপনার মাধ্যমে দেখে আমার তো এটা খেতে ইচ্ছে করতেছে অনেক বেশি। তান্দুরি চা দেখতে তো মজাদার মনে হচ্ছে। তান্দুরি চায়ের মধ্যে অনেক রকমের মসলা দেওয়া হয়। যা তান্দুরি চা দেখেই বুঝতে পারতেছি। তিনজনে মিলে তন্দুরি চা খেয়েছিলেন একসাথে বসে গল্প করতে করতে এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের চা খাওয়ার মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কখনো সময় পেলে আমিও খাওয়ার চেষ্টা করবো তান্দুরি চা। টেস্ট তো একবার করতেই হয়।
আপু আপনি যেহেতু এই তান্দুরি চা খান নি। অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ।নতুন একটি অভিজ্ঞতা হবে আবার খেতেও ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকার ৩০০ ফিট আসলেই অনেক বেশি সুন্দর আমি অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম সময়ের অভাবে খুব একটা বেশি যাওয়া হয় না তবে আরেকবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে রাতের বেলা। আপনি আপনার হাসবেন্ড খালাতো বোন খালাতো বোনের হাসবেন্ড সহ সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো এবং সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি তান্দুরি চা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে আমরা একরকম ভাবলেও সেটা অবশ্য সেরকম হয় না প্রথমে হয়তোবা ভেবেছিলেন খাওয়া যাবে কিনা পরে অবশ্য স্বাদ গ্রহণ করে বুঝতে পেরেছিলেন ভালো ছিল। যাইহোক আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া রাতের বেলায় গেলে বেশ ভালো লাগবে। রাতের বেলায় একবার সময় করে যেয়ে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনারা ঢাকার ৩০০ ফিটে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তান্দুরি চা আমি বেশ কয়েক বার খেয়েছিলাম। আর তান্দুরি চা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল যখন গিয়েছিলাম। আপনারাও তান্দুরি চা খেয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। আর আপনাদের তান্দুরি চা খাওয়ার মুহূর্ত দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
ভাইয়া আপনি এই তান্দুরি চা খেয়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে ৩০০ ফিটে গিয়ে আমরাও এই তান্দুরি চা খেয়ে এসেছিলাম। আমরা অবশ্য চা কিভাবে বানিয়েছে তা দেখিনি। কিন্তু খেয়ে বুঝতে পারলাম যে ভিতর এসব উপকরণ দেয়া ছিল। আসলেই খেতে বেশ মজা। আপনিও গিয়ে খেয়ে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে আপনিও এই তান্দুরি চা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে আমি মনোযোগ দিয়ে দেখেছি কিভাবে তৈরি করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চায়ের নামের ভেতরই বেশ একটা রাজকীয় ব্যাপার কাজ করছে। সেই সাথে দেখতেও হেব্বি লাগছে। সুযোগ পেলে আমারও খাওয়ার ইচ্ছে আছে। আচ্ছা আপু, এটা কি আগারগাঁও এর ঐদিকে? ঐ দিকে হলে টুপ করে একদিন গিয়ে খেয়ে নেব। চা সহ ছবি গুলো দূর্দান্ত লাগছে এক কথায়।
না ভাইয়া এটি কুড়িল বিশ্বরোড পার হয়ে।সুযোগ হয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ।