পিঠা উৎসবে ঘোরাঘুরি পর্ব -১
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
পিঠা উৎসবে ঘোরাঘুরি পর্ব -১
এই পিঠা উৎসব মূলত শহর থেকে একটু দূরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ,যেখানে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। সেই কলেজের স্টুডেন্টরা তাদেরই ক্যাম্পাসের মধ্যে মূলত আয়োজন করেছিল। এখানে প্রতিটি স্টলেই স্টুডেন্টরা ছিল ।তারাই মূলত বিভিন্ন ধরনের পিঠার আয়োজন করে এখানে এনে রেখেছিল। এই আয়োজনটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। স্টুডেন্টরা সবাই মিলে বেশ আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসবটি পালন করছিল ।ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল ।আমরা গিয়েছিলাম বিকেল বেলায়। তখন ও স্টল গুলো ভালো মতো সাজানো হয়নি ।তখন মাত্র সবকিছু তারা হোস্টেল থেকে আনছিল।
বেশ কিছুক্ষণ ওখানে থাকার পর আমার হাসবেন্ড বললো বাসায় ফিরে যাব নাকি? তখন আমি বললাম না সন্ধ্যার পরে যাব ।কেননা মূল আকর্ষণ সন্ধ্যার পরেই থাকে সাধারণত এ ধরনের উৎসবে। আর চমৎকার করে লাইটিং করা হয় যেগুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে ।দিনের বেলায় যদিও লাইটিং গুলো একদমই বোঝা যাচ্ছিল না। তারপরেও আমরা ঘুরে ফিরে দেখছিলাম ।এই কলেজের মাঠটি বিশাল বড় ছিল ।যদিও এই কলেজের ভেতরে এই বারই প্রথম আমি গিয়েছিলাম।
কলেজের গেইট , কলেজ এবং হোস্টেল সব জায়গায় চমৎকার করে লাইটিং করা হয়েছিল ।যার কারণে পুরো এরিয়াটা উৎসবমুখর লাগছিল। সত্যি চমৎকার একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল ।এত বড় করে পিঠার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে যেটা আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছিল ।কেননা এর আগে যেসব পিঠা উৎসবে গিয়েছিলাম সেগুলোতে এতটা জাঁকজমক ছিল না। কিন্তু এবার স্টুডেন্টরা দেখলাম বেশ ভালো আয়োজন করেছে।
এখানে একটা জায়গায় স্টেজের ব্যবস্থা করা ছিল ।যেখানে সাউন্ড সিস্টেম ছিল। সেখানে বসন্তের গান, এছাড়াও বিভিন্ন বাংলা গান চালানো হচ্ছিল ।যার কারণে আয়োজনটা আরো বেশি জমজমাট লাগছিল। আসলে উচ্চস্বরে এ ধরনের গানগুলো শুনতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল। চমৎকার সব গান বাজানো হচ্ছিল ।এই গানগুলো এরকম উচ্চস্বরে শুনতে ভীষণ ভালো লাগে ।আমি স্টেজের সামনে বেশ কিছুক্ষণ বসে বসে গান শুনছিলাম। ছোট ছোট বাচ্চারা দেখছিলাম স্টেজে উঠে নাচানাচি করছিল।
এখানে যত লোকজন দেখা যাচ্ছে তার বেশিরভাগই ছিল কলেজের স্টুডেন্ট ।তবে বাইরের অল্প কিছু লোক ছিল। যারা আমাদের মত এই পিঠা উৎসবে এসেছিল ।তবে সেই সংখ্যা ছিল একেবারে সীমিত ।ছাত্রছাত্রীরা ধীরে ধীরে একটা একটা করে তাদের স্টলগুলো সাজাচ্ছিল। যদিও সেদিন সবগুলো স্টল পূর্ণ হয়নি । কেননা সেদিনই মেলা শেষ ছিল ,যার কারণে কিছু স্টল ফাঁকা ছিল।পরবর্তী পর্বে আপনাদের স্টলগুলো ঘুরে দেখাবো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
এমন পিঠা উৎসবে গেলে বেশ অনেক কিছু দেখা যায় এবং বেশ ভালো লাগে। যেহেতু এটা স্টুডেন্টরা ক্যাম্পাসের সুন্দরভাবে সাজিয়ে মেলার আয়োজন করেছে,আশা করি খুবই সুন্দর ছিল। আর ফটোগ্রাফি দেখে তো বুঝতেই পারছি। তবে যাই হোক প্রথম অবস্থার বর্ণনা জানতে পারলাম পরবর্তীতে আরো অনেক কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন সে আশায় রইলাম।
ভাইয়া আয়োজনটা বেশ ভালই ছিল ।বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
পিঠা উৎসবে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। আমার কখনো এ ধরনের মেলাগুলোতে যাওয়া হয়নি। স্টুডেন্টরা সবকিছু বেশ সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে। ডেকোরেশনটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আর এরিয়াটাও অনেক বড়। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপু আমাদের শহরে প্রতি বছরই পিঠা উৎসব হয়। কিন্তু আমি এ বারই প্রথম স্টুডেন্টদের আয়োজিত পিঠা উৎসবে গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখছি পিঠা উৎসবে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।আসলে সন্ধ্যার পরে যেকোন মেলাতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আসলে এই উৎসব গুলো স্টুডেন্টরাই বেশি করে। পরবর্তী পর্বে পিঠার স্টল গুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন সন্ধ্যার পরে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং আমি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
উৎসবের জায়গা অনেক সুন্দর সাজিয়েছে। রাত্রে কালীন মুহূর্তে এমন জায়গা গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে এবং সেখানে অবস্থান করতে ভালো লাগে। যেহেতু এটা ক্যাম্পাসের এরিয়া। তাহলে তো বুঝাই যাচ্ছে নিরিবিরি পরিবেশ খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে মানুষের উপযুক্ত স্থান তৈরি করে ফেলেছে। সব জায়গায় যেহেতু লাইটিং করেছে তাহলে বেশ মানিয়েছে জায়গাটা।
হ্যাঁ চমৎকার লাইটিং এ কারণে জায়গাটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
উপরওলা যা করে ভালোর জন্যই করে। ডিসি অফিসের সামনে পিঠা উৎসবে গিয়ে ফিরে আসার কারনে এখন এত বড় পিঠা উৎসব দেখতে পেলেন। এত বড় এরিয়া নিয়ে পিঠা উৎসব আমিও কখনো দেখি নাই। বিশাল জায়গা জুড়ে দোকান গুলে বসেছে। আবার বসন্তের গানের ব্যবস্থাও করেছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আগের পিঠা উৎসবের তুলনায় এইটা অনেক বড় আয়োজন ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আগে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হতো না ইদানিং দেখছি সব জায়গায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করে দেখতে ভালোই লাগে । ভালোই হয়েছে এক জায়গায় গিয়ে ফিরে এসেছেন পরে আবার আরেক জায়গার সন্ধান পেয়ে সেখানে গিয়েছেন । আর এসব পিঠা উৎসবে দিনের বেলায় গিয়ে আনন্দ নাই রাতের বেলায় যেতে হয় । সব রকমের আয়োজন থাকে সেটা রাতের বেলায় দেখতে ভালো লাগে । ভালো লাগলো আপনার পিঠা উৎসবে যাওয়ার আনন্দ দেখে ।
আপু আমরা সন্ধ্যার একটু আগে গিয়েছিলাম যার কারণে দিনের বেলা রাতের বেলা সব আয়োজনই দেখেছি। বেশ ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।