বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি কিছুদিন আগে এক গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। শহরের জীবনে আমরা যারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তারা দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে কেমন যেন দম বন্ধ দম বন্ধ লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন মুক্ত হাওয়ায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেই। সেজন্যই কিছুদিন আগে বাসা থেকে সামান্য একটু দূরে এক গ্রামীণ পরিবেশে গিয়েছিলাম ।যেখানে বুক ভরে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নিয়েছিলাম। সত্যি গ্রামীণ প্রকৃতি যেন অন্যরকম ।সেদিন কার বিকেল টা সত্যিই বেশ আনন্দে কেটেছিল। সেই গ্রামীন পরিবেশের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
উপরের ফটোগ্রাফির এই জায়গায় এসে আমরা রিক্সা থেকে নেমে ছিলাম। দুপাশের দৃশ্য এত মনোরম লাগছিল যে ওখানে না নেমে পারছিলাম না। দুপাশের প্রকৃতি সত্যি মুগ্ধ করেছিল। যতদূর চোখ যায় ততদূর রাস্তার দুপাশে খেজুরের গাছ । কাঁচাপাকা খেজুরে গাছ ভর্তি হয়ে আছে। দুপাশে ফসলের দিগন্তজোড়া মাঠের পর মাঠ চেয়ে থাকতেই মন চায়। সত্যি গ্রামীন প্রকৃতি এক অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে, যেটা আমাদের শহরের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তো মাঝে মাঝেই শহরের কোলাহল থেকে গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ছুটে যাই মুক্ত হাওয়ায় ঘুরে বেড়াতে, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে। |
রাস্তার পাশে এই গাছটি দেখতে পেলাম ।গাছটি দেখতে একদম ঝোপাল ছিল ।তাই দেখতে চমৎকার লাগছিল ।যদিও গাছটির নাম আমার জানা নেই তারপরেও গাছটি দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো বিধায় একটা ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। নিশ্চয়ই আপনাদের কাছেও গাছটির ফটোগ্রাফি ভালো লাগবে। |
সবুজ ফসলের মাঠ দেখতে সত্যিই চমৎকার। দেখে মনে এক অন্যরকম শান্তি অনুভূত হয়। ফসলের মাঠ দেখে আমার রাস্তা থেকে নীচে ফসলের মধ্যে যেতে মন চাইল। তারপরে নেমে গেলাম ফসলের মাঠের ভেতর।ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। এটা এক অন্যরকম আনন্দ। আমি যখনই কোন গ্রামে ঘুরতে যাই তখনই ফসলের মাঠে ঘুরতে যাবই। আর ক্ষেতের ভেতর দিয়ে ঘুরে বেড়াবো এটা আমার অনেক দিনের অভ্যাস। |
এগুলো কাঁচা পাকা ধানের ক্ষেত । আর কিছুদিন পরেই কৃষকের ঘরে পাকা ধান উঠবে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠবে। পাকা ধানের ক্ষেত দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। দূরে দেখা যাচ্ছে এক লোক রকমারি জিনিস নিয়ে সাইকেলে করে যাচ্ছে। গ্রামীণ ছেলে মেয়েরা সাধারণত এ ধরনের জিনিস দেখলে তারা বেশ আনন্দ নিয়ে এগুলো কেনাকাটা করে। |
ধান ক্ষেতের মধ্যে যখন নেমে পড়লাম তখন খুব কাছ থেকে ধান গুলোকে দেখলাম ।সত্যিই অসম্ভব সুন্দর লাগছিল ধান গুলো। এত কাছ থেকে দেখে ধান গুলোর দুটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। |
এগুলো রাস্তার পাশ থেকে তোলা ঘাসের মধ্যে ছোট ছোট কাশফুলের মত লাগছিল। দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিলো। আমি কয়েকটি কাঁশফুল উঠিয়ে আমার মেয়েকে দিলাম।আমার মেয়ে আলতো করে মুখে কাঁশফুল গুলো লাগাচ্ছিলো। বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। গ্রামীণ প্রকৃতির এই ছোট ছোট জিনিস গুলো সত্যিই খুব সুন্দর। আমাদের সকলেরই উচিত বাচ্চাদের নিয়ে কিছুটা সময় হলেও গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো ।তাতে করে তারা তাদের শেকড় টা বুঝতে পারবে। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
এই জায়গাটায় আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আসলে দীর্ঘদিন ঘরে আটকা থাকার পরে বাইরে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে পারলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আশা করি মাঝে মাঝেই এখন এ ধরনের ছবি দেখতে পাব আপনার কাছ থেকে।
আপনি যেহেতু জায়গাটায় গিয়েছেন তাহলে ভাই আপনি তো বুঝতেই পারছেন জায়গাটি কত সুন্দর ।নতুন করে আর বলার কিছু নেই ।ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ।ভাল থাকবেন।
এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে কার না ভালো লাগে। অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমার সব সময় খুব ভালো লাগে। রাস্তার দু'পাশে খেজুর গাছের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও পাকা ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন লেগেছে আমার কাছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রাস্তার দু'পাশে খেজুর গাছ আর পাকা ধানের ক্ষেত আপনার কাছে ভালো লেগেছে যিনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপু ।এভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করছি ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।সবুজ শ্যামল বন বানানী তে ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই।সোনালী ধান ,রাস্তার দু ধরে শারি শারি খেজুর গাছ আমার ত ইচ্ছে করছে এক ছুট্টে চলে যাই।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপু।
আপু আপনার মন্তব্যটি সত্যিই বেশ চমৎকার হয়েছে। পড়ে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবুজ বনানীতে আপনার ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে তা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালো থাকবেন।
অপরূপ সৌন্দর্যময় গ্রামীণ প্রকৃতির মধ্যে সুন্দর ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে ভালো লাগলো।
আমার ফটোগ্রাফ গুলো আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একভাবে বেশিদিন শহরের ইট পাথরের মধ্যে ঘরে বন্দি থাকলে হতাশা ভাবটা আশা স্বাভাবিক। পাশাপাশি নিজের মনটাও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। দারুণ একটি জায়গাই ঘুরতে গিয়েছেন আপু। আহ কী সুন্দর চমৎকার জায়গা। একেবারে সবুজ শান্ত পরিবেশ। এককথায় দারুণ।
আপনার কাছে আমার কোন ফটোগ্রাফি ও জায়গাটি ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ।সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আপু আপনি তো মনটাকে উত্তাল করে দিলেন, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে ছুটে যাই গ্রামবাংলার সেই মায়ের কমন কোলো। আপনি যেখানে গিয়ে রিক্সা থেকে নেমে ছেন দুইনাম্বার ফটোগ্রাফি টা বেশ ধারণ ছিল। কারণ ওই ফটোগ্রাফিতে গ্রামের এবং ছোট বেলার সোনালী অতীতের অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। পাকা কাঁচা খেজুরের থোকা দেখে মনে পড়ে গেল সেই ছোটবেলার কথা। পড়ার টেবিলের থেকে উঠে গিয়ে খেজুরের থোকা কেটে নিয়ে লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতাম। প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ওইগুলা লবণাক্ত পানি থেকে উঠিয়ে খেতাম। অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে লিখেছেন। আপনার সবুজ ঘাসের বুকে কাশফুলের মত যেই ছোট ফুল গুলো দেখেছেন এগুলো সত্যি দারুন। তবে অনেক ছোট বিধায় ফুলগুলো ছোট। শুভেচ্ছা রইল আমাদেরকে এত সুন্দর একটা গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য পড়ে সত্যিই মনটা ভরে গেল। আপনার লবণপানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।আসলে ছোটবেলায় আমরাও ঐ গুলো মনে করতাম লবণপানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখলে ওগুলো পেকে যায়। আসলে পাকেও মনে হয়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের মজাটাই আলাদা। গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে বিলিয়ে দিতে অনেক বেশি ভালো লাগে। শির শির বাতাস, সবুজের সমারোহ সব মিলিয়ে খুব দারুণ উপলব্ধি করা যায় ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সত্যিই বেশ ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
অসাধারণ অসাধারণ আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো ৷আর আমার গ্রামের গ্রামের ফটোগ্রাফি বরাবরই ভালো লাগে ৷গ্রামের পরিবেশ সবুজ শ্যামলা রুপ দেখে মুগ্ধ হওয়ার মতো ৷আপনি খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷
ভাই আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লেগেছে জেনে সত্যি ভালো লাগলো। আর গ্রামের ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লাগে এটি জেনেও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এরকম গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি ভীষণ ভালোবাসি এভাবে ঘুরতে। আপনার অনেক ভালো এবং অনেক সুন্দর সময় কেটেছে মনে হচ্ছে ঘুরতে গিয়ে। খুব সুন্দর ভাবে আপনার ঘোড়ার অনুভূতি এবং কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে একে একে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলে ধরেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ঘুরতে গিয়ে সেই সময়টা সত্যিই অনেক ভালো কেটেছে ।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি বলতে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমি সাধারণত শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকা এই জীবনটা তেমন একটা উপভোগ করতে পারিনা। তবে গ্রামীণ পরিবেশ আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আপনার এই পোস্ট দেখে সত্যিই আমি আমার নিজের গ্রামকে খুব মিস করছি।
গ্রামীণ পরিবেশ আপনার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।