ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্ব:২(শেষ পর্ব)||১০%বেনিফিশিয়ারী আমার প্রিয় shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন, সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি ।
আমি কিছুদিন আগে আপনাদের সঙ্গে ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম।আজ আমি ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণের আরো কিছু ফটোগ্রাফ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।ঢাকা চিড়িয়াখানা এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।যেখানে রয়েছে বহু প্রাণীর সমাহার এছাড়া আরো রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।যা দেখে আপনার মন ভালো না হয়ে পাড়বে না।কেউ যদি প্রকৃতির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চায় তাহলে সে চিড়িয়াখানায় যেতে পারে।কেননা সেখানের গাছ পালা আর প্রকৃতি এত সুন্দর যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।সেখানে অনেক বড় বড় গাছ আছে,চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ঘুরে আসি ঢাকা চিড়িয়াখানা।
ফটোগ্রাফি-১
ফটোগ্রাফি-২
এটি হচ্ছে সবারই চেনা জেব্রা।জেব্রা গুলি খুব কাছে থেকে দেখেছি।এর গায়ের ডোরা কাটা দাগ গুলো আমার দারুন লেগেছে।জেব্রা দেখতে খুবই সুন্দর।
ফটোগ্রাফি-৩
ফটোগ্রাফি-৪
এটি হচ্ছে প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা প্রাণী জিরাফ।এটি সত্যি অনেক অনেক লম্বা।দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে।ওনেক গুলো জিরাফ এক সঙ্গে ছিল দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি-৫
ফটোগ্রাফি-৬
এটি হচ্ছে চিড়িয়াখানার মধ্যে একটি বিশাল লেক ।আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। লেকের পাশে বসে থাকতে বেশ ভালই লাগছিল।লেকের মধ্যে দুটি বক বসে ছিল ।চমৎকার লাগছিলো দৃশ্যগুলি দেখতে।
ফটোগ্রাফি-৭
ফটোগ্রাফি-৮
এগুলি হচ্ছে হরিণ ।আমার মেয়ে সবথেকে বেশি আনন্দ পেয়েছে হরিণকে বাদাম খাইয়ে। আমার মেয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদেরকে খাইয়েছে ।এক ঝাঁক হরিণ কাছে এসেছিল খাওয়ার জন্য দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।
ফটোগ্রাফি-৯
ফটোগ্রাফি-১০
এটি হচ্ছে কুমির ।কুমির গুলো পানির মধ্যে ছিল ।চকচকে পানির মধ্যে কুমির গুলি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিলো ।আমার মেয়ে কুমিরগুলো দেখে খুব আনন্দ পেয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-১১
ফটোগ্রাফি-১২
ফটোগ্রাফি-১৩
ফটোগ্রাফি-১৪
ফটোগ্রাফি-১৫
ফটোগ্রাফি-১৬
এরপর আমরা গন্ডার,উট,হাতি,ঘোড়া,গাধা,ময়ূর,ভাল্লুক আরো অনেক রকমের প্রাণী দেখলাম। সব গুলো প্রাণীর ছবি শেয়ার করা সম্ভব হলো না। খুব কাছ থেকে প্রাণীগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। একেকটি একেক রকমের সুন্দর।
ফটোগ্রাফি-১৭
ফটোগ্রাফি-১৮
চিড়িয়াখানায় সবথেকে যে প্রাণীটি সবাইকে আকর্ষণ করে সেটি হচ্ছে বানোর ।এটি এত কিউট যে কি বলব ।আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি কত সুন্দর ।আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এই প্রাণীটিকে।
ফটোগ্রাফি-১৯
ফটোগ্রাফি-২০
বলুনতো এই প্রাণীটির নাম কি?এই প্রাণীটির নাম হচ্ছে উল্লুক।এটি দেখতে খুবই সুন্দর।আমার কাছে এই প্রাণীটি খুবই ভালো লেগেছে।এটি খুবই সুন্দর করে তাকিয়ে থাকে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছো আপু, অনেকগুলো পশুপাখি একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছি,হ্যাঁ তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে চিড়িয়াখানার মাঝে ছোট লেকটি, দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে।হরিণগুলো দেখতে খুবই কিউট লাগছে।অনেক ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
হ্যা আপু লেকটি খুবই সুন্দর দেখতে।আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু চিড়িয়াখানার প্রকৃতি আসলেই খুব সুন্দর। সেখানে এত গাছপালার সমাহার যে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। আমার কাছে তো পশুপাখি দেখার থেকে সেখানকার গাছপালার পরিবেশে বেশি ভাল লেগেছিল। আপনি বেশ কিছু পশুর ছবি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে চিড়িয়াখানার এত সুন্দর পরিবেশে এবং পশুপাখির কিছু ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আজকে। চিড়িয়াখানার পশুপাখি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এটা অনেকদিন পর দেখতে পেলাম। আসলে অনেকদিন চিড়িয়াখানায় যাই না। যাওয়ার সময় পাইনা। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর ফটো গ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আবার যাবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আসলে বানরগুলো খুব কিউট হয়। বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনার মেয়ে যে হরিণকে বাদাম খাইয়ে বেশ খুশি হয়েছে তা তার একটু মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আসলে বাচ্চারা এরকম জিনিস অথবা কাজ করতে পারলে সব সময় খুশি হয়। আর ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো কিছু দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আপনি যদি ছবিগুলো শেয়ার না করতেন তাহলে আমরা হয়তো এসব দেখতে পারতাম না এতো সহজে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।ভালো থাকবেন।
দিদি আপনার এই পোস্টটি দেখে সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছে আমার ছোট ভাই। অনেকগুলো প্রাণীর ছবি শেয়ার করেছেন। আমার ভাই খুব মজা পাচ্ছিলো দেখে। হাতি আর বানর আমার ভাইয়ের খুব পছন্দের। হিহিহিহি।
আর আমার যেটা মনে হলো এই চিড়িয়াখানা টা ছোটদের যেমন আনন্দ দেবে, বড়দের জন্যও সময় কাটানোর উত্তম একটা জায়গা। লেকটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
হ্যা আপু বাচ্চাদের খুবই ভালো লাগে চিড়িয়াখানা সঙ্গে বড়দের ও।আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঢাকা চিড়িয়াখানা এখনও আমি যায়নি। তবে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।আপনার পোস্টটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রায় সব ধরনের পশু পাখির ছবি শেয়ার করেছেন।গন্ডার জিরাফ উট জেব্রা এগুলো প্রথমবার দেখলাম। সরাসরি এগুলো কখনো দেখিনি।কিন্তু বাকি গুলা দেখেছি।দারুন ছিল পোস্ট। আপু ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল ভাইয়া।ভালো থাকবেন।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঢাকা চিড়িয়াখানায় পারিবারিকভাবে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমি ছোটবেলায় ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম,আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। অনেক রকম পশু দেখলাম হাতি, জিরাফ, জল হস্তি,
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আবার যেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলা দিন আগে গিয়েছিলাম তারপর আর যাওয়ার সুযোগ হয় নাই, তবে ছোট বেলায় স্কুল জীবনে থাকতে প্রায় সময় যেতাম, সবই আজ শুধুই স্মৃতি।
জেব্রার দৃশ্যগুলো বেশ লেগেছে আমার কাছে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এছাড়া হাতির দৃশ্যগুলো ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
সময় করে আবার যাবেন ভাইয়া।ভালোই লাগে তবে হাঁটতে একটু কষ্ট হয় এই আর কি?
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।