এলাকার রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
এলাকার রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময়
রেস্টুরেন্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা রেডি হয়ে পড়ি।রেডি হয়ে আমি ভাবলাম আমার বোনকে বিষয়টা জানাই ।তখন ওকে জানানো মাত্রই ও বলল তাহলে আমিও আসছি। একসঙ্গে বসে খাওয়া যাবে ও কিছু সময় কাটানো যাবে। তখন আমিও বললাম ঠিক আছে আমরা যাচ্ছি তুমি আসতে থাকো ।এভাবেই আমরা বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।
এই রেস্টুরেন্ট টি আমাদের বাসা থেকে একটু সামনেই। রেস্টুরেন্টটি খুবই অল্প জায়গার মধ্যে সুন্দর ডেকোরেশন করা। রেস্টুরেন্টের ভেতরেই একটা খোলা জায়গা রেখেছে এরা যার ছাদ নেই। জায়গাটা বেশ সুন্দর ।দেয়ালে দারুন পেইন্টিং করা, একটা ঝুলানো আছে।
উপরের খোলা জায়গায় দেখলাম তারকাটা দেওয়া এবং তার ওপরে বোরইয়ের ডাল এসে পড়ছিল। জায়গাটা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। এছাড়া দেয়ালে দেখলাম অসংখ্য গাছ লাগানোর ঝুলন্ত টব রয়েছে ,যেখানে অল্প কিছু গাছও আছে।
আরেকপাশে দেখলাম বাশ জাতীয় ছোট ছোট গাছ টবে লাগানো ।যেগুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগছিল। এই গাছগুলো কি গাছ চিনতে পারলাম না ।তবে গাছ গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।
তারপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম আমার বোনের জন্য, আর আমার হাজবেন্ডের জন্য।আমার হাসবেন্ড নামাজ পড়তে গিয়েছিল।কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দেখলাম আমার বোন এবং আমার হাসবেন্ড এসে পড়ল। তারপর আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে কিছু খাবার অর্ডার করলাম। আমরা অর্ডার করেছিলাম সেট ম্যেনু, বারবিকিউ চিকেন, চিকেন পাস্তা।
বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর খাবারগুলো এসেছিল। খাবার দিতে বেশ সময় লাগিয়েছিল। তবে বারবিকিউ চিকেনটা খেতে বেশ মজার ছিল। কিন্তু সেট মেনু টা একদমই ঠান্ডা ছিল। শীতের দিনে ঠান্ডা খাবার খেতে কারোরই ভালো লাগেনি । সেট ম্যেনুতে ছিল চিকেন ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, সালাদ, চিকেন কারি। তবে চিকেন পাস্তা টা খেতে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। যাই হোক আমার মেয়ের কাছে খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছিল ।তবুও পুরোটা শেষ করতে পারেনি। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বিল পরিশোধ করে বাসায় চলে এলাম। আর আমার বোন ও ওর বাচ্চা আমার মায়ের বাসায় চলে গেল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনাদের খাওয়ার মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লাগলো।তবে আপনার মায়ের জন্য একটু খারাপ লাগলো। আসলে বাচ্চাদের একবার একটা জিনিস এর কথা বললে না দেওয়া পর্যন্ত তারা অস্হির হয়ে পড়ে। যাইহোক আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো খাবার
খেয়েছেন। ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সময়টা বেশ ভালোই কতিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমার মনে হয় তৌহিদা আপুকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাইনা আপু।যাইহোক আগে যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই হিসেবে বাচ্চারা তো মন খারাপ করবেই।কারণ ছোট ছোট খুশিগুলো তাদের জন্য অনেক বেশি কিছু।যাইহোক পরবর্তীতে আবারও চলে গেলেন হিসেবে ভালোই হয়েছে।বাচ্চাদের মনও ভালো হলো সাথে আপনাদের প্লানিংও সফল হলো।
বাহ বেশ অবাক হলাম আপনি কি করে বুঝলেন তৌহিদ আপু ছিল ।হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঐ যে আপুর ছেলের ছবি দেখলাম,তাই ভাবলাম আরকি।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা কোন কিছু কথা বললে তা না দেওয়া পর্যন্ত বেশ জেদ করে থাকে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ বেশি চমৎকার। খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত বেশ সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া বাচ্চাদেরকে রেস্টুরেন্টের কথা বললে সেখানে না নিয়ে গেলে তাদের মন ঠিক করা খুবই মুশকিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেশ ভালোই করলেন আপু যেহেতু বাচ্চা মানুষ আসলে রেস্টুরেন্টের নাম ধরলে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তাও আবার রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসায় নিয়ে আসলেন। না নিয়ে গেলে তো মন খারাপ করার কথা। শেষমেষ আপনি নিয়ে গেলেন খাওয়া দাওয়া করালেন। অনেক ভালো লাগলো পড়ে। খাবারের মেনু গুলো অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আপু বাচ্চা মানুষ কষ্ট পাবে এই জন্যই নিয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
যদিও প্রথমে ভেবেছিলেন সবাই একসাথে রেস্টুরেন্টে যাবেন, তবে আপনার আম্মু কিছুটা অসুস্থ থাকার কারণে তিনি যাবেন না বলেছিল। তবে বাচ্চাদের মন খারাপ হওয়ার কারণে আপনি এলাকার ভেতরের একটা রেস্টুরেন্টে তাদেরকে নিয়ে যাবেন ভেবেছিলাম, তখন আপুকে কল করার পর তিনিও আসতেছে বলেছিল। তারপরে সবাই মিলে খুব মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি। সময়টা খুব ভালো কাটিয়েছিলেন যেটা বোঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া সময়টা বেশ ভালই কাটিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।