ঘি বানানোর রেসিপি||১০% বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি ঘি কিভাবে বানাতে হয় সেই রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার রেসিপি টি ভালো লাগবে ।ঘি আমরা সবাই খুব বেশি পছন্দ করি। কিন্তু খাঁটি ঘি পাওয়াটা খুবই দুস্কর ।বাজারে যে সব ঘি পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগই নকল টাইপের ঘি হয়ে থাকে ।সেগুলো কেনার পর প্রথমে কয়েকদিন খুব ভালো ঘ্রাণ থাকে তারপর কিছু দিন গেলেই আর ঘ্রাণ পাওয়া যায় না।কিন্তু বাসায় বানানো ঘি শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই রকমই থাকে।তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বাসায় বানানো ঘি খেতে।ঘির ব্যবহার আমাদের নিত্য দিনেই হয়ে থাকে। যেকোনো জিনিস রান্না করতে ঘি প্রয়োজন হয় ।এছাড়া খিচুড়ির সঙ্গে খেতেও খুবই মজা লাগে । তাই এটি বাসায় বানাতে পারলে সেটা খুবই উপকারী হয় ।আর ঘি বানানো খুবই সোজা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি বানিয়ে ফেলা যায় ।ঘি বানাতে দুধের সর জমিয়ে রাখতে হয়।আমাদের বাসার কেউই দুধের সর খায় না ।আমি নিজেও খাই না ।তাই আমি সর ফেলে না দিয়ে জমিয়ে ঘি তৈরি করি।
আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন আপনাদেরকে দেখিয়ে আসি কিভাবে ঘি বানাতে হয়।
ঘি বানানোর রেসিপি:
উপকরণ:
দুধের সর
পানি
প্রুস্তুতপ্রণালী
১ম ধাপ
ঘি বানানোর জন্য প্রথমে কিছুদিনের দুধের সর জমিয়ে রাখতে হবে। আমি এক বাটি জমিয়ে রেখেছি।
২য় ধাপ
তারপর একটি ব্লেন্ডারে সরটাকে ঢেলে নিয়েছি।
৩য় ধাপ
তারপর একটু ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর এই অবস্থায় এসেছে।
৫ম ধাপ
তারপর একটু ঠান্ডা পানি দিয়ে সরটাকে দুইবার ধুয়ে নিতে হবে।
৬ষ্ঠ ধাপ
৭ম ধাপ
তারপর একটি কড়াইয়ে ঢেলে চুলায় বসিয়ে দেই।
৮ম ধাপ
৯ম ধাপ
১০ম ধাপ
১১তম ধাপ
১২তম ধাপ
চুলায় দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে হয়ে যখন রংটা বাদামি হয়ে যাবে তখন আমার ঘি তৈরি হয়ে গেল।
১৩তম ধাপ
এখন একটি বৈয়ামে উপর থেকে ঢেলে নিতে হবে।নিচের অংশ টা ফেলে দিতে হবে।
১৪তম ধাপ
ঠান্ডা হওয়ার পর এই অবস্থায় এসেছে।
এভাবেই হয়ে গেল আমার বাসায় তৈরি ঘি। আশা করছি আপনাদের আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু ঘি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার।ভর্তা ভাতের সঙ্গে ঘি মাখিয়ে খেতে খুব মজার।সাধারণত ঘি কিনে খাওয়া হয়।ঘি বানানোর রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
খুব ভালো ভাবে ঘি বানানো খেয়াল করলাম দারুন হয়েছে। চেষ্টা করবো এভাবে বানাতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ।
আপু সত্যি বলতে কি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। অনেকেই ঘি বিক্রি করে কিন্তু আমি এই যাবত কাউকে দেখিনি ঘি এর রেসিপি দিতে সত্যিই আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আমার মনে হয় এই রেসিপিটা আমার খুব বেশি প্রয়োজন ছিল আর সেটা আপনি দিয়েছেন । রিস্ট্রিম করে দিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।এভাবে করে দেখবেন কেনা ঘির থেকে অনেক বেশি ভালো হবে।
আরে বাহ! আমিতো শিখে গেলাম আজ কিভাবে ঘি বানাতে হয়, এখন বানাবো আর বেচঁবো, আহা কি আনন্দ তবে টাকার ভাগ কিন্তু আপনাকে একদম দিবো না, বলে দিলাম আগেই, হা হা হা
খুব সুন্দর হয়েছে আপু, ধাপগুলো বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, সহজেই এখন আমরাও বাড়ীতে বসে ঘি তৈরী করতে পারবো। ধন্যবাদ
ভাইয়া প্রথমেই বলছি অনেক অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।আপনি তো এখন আমার পোস্টে মন্তব্য করতে ভুলেই গিয়েছেন,যাক তবু আজকে মনে পড়েছে।
আর হ্যাঁ আমাকে ভাগ দিতে হবে না ,আপনি পেলেই আমি খুশি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঘি বানানোর রেসিপি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর আপনার ধাপ গুলো দেখে অনেক সহজেই আমরাও তৈরি করতে পারব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঘি আমারও খুবই পছন্দের একটি খাবার। আমিতো খিচুড়ি ছাড়াও অন্যান্য ভাজির সঙ্গেও ঘি খাই। তাছাড়া আমার ছোট বাচ্চাকেও খাওয়াই। আপনার ঘি বানানোর পদ্ধতি টা দেখে ভাল লাগল। খুবই সহজ পদ্ধতিতে ঘরের জিনিস দিয়ে আপনি ঘি তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে আপনার ঘি বানানোর পদ্ধতিটি। বাজারের কেনা ঘি এর থেকেও ভালো লাগছে দেখতে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘী খেতে আমি অনেক ভালবাসি। বিশেষ করে শীতের সময়ে এটি খেতে অনেক ভালো লাগে এবং এটি খেলে শরীর অনেক গরম থাকে ।অনেক সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল একটি রেসিপি আমাদের ঔ মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
ওয়াও আপু, আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু বাজারের থেকেই ঘি কিনে আনার পর কিছু দিন ঘ্রাণ থাকার পর আর সেই ঘ্রাণ টা থাকে না।যদি বাসায় তৈরি ঘি হয় তাহলে ঘির ঘ্রাণ টা অনেক ভালো থাকে এছাড়াও ঘি হবে স্বাস্থ্যকর। আপু, আমি ঘি তৈরি করতে পারে না।তবে আপনার ঘি তৈরি রেসিপি দেখে আমি শিখে নিলাম কিভাবে ঘরে খুব সহজে ঘি তৈরি করতে হয়। ধন্যবাদ আপু, ঘি তৈরি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
এত সহজে যে ঘি তৈরি করা যায় এইটা তো আমার একেবারেই জানা ছিল না। সত্যিই খুব দারুণ লেগেছে আপু আপনার রেসিপিটি। আসলে এই রেসিপিটি আমার একেবারে জানা ছিল না বললেই চলে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ঘি তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো থাকবেন।
ওয়াও ঘি তৈরির ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন। আসলে ঘি তৈরি হওয়ার পরে একটা আলাদা আচার মতো তৈরি হয় ওইটা আমার কাছে খুব মজা লাগে। ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।