আমার ভ্রমনের কিছু ফটোগ্রাফি|| ১০% বেনিফিসিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা, আপনারা কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার ভ্রমনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব ।করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘর থেকে বের হওয়া হয় না। কোথাও যাওয়া হয়না। করোনার ভয়ে এক প্রকার গৃহবন্ধি ছিলাম। আজ তিন বছর পর ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম ।
আমাদের ফরিদপুর থেকে ঢাকা যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগার কথা।কিন্তু বেশি সময় লাগে জ্যামের কারণে ।এজন্য আমার ঢাকায় যেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না ।বেশির ভাগই পৌঁছাতে সারা দিন কেটে যায়। কিন্তু এবার একটা বিশেষ কারণে ঢাকায় যেতেই হচ্ছে ।আমাদের গাড়ি ছিল সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ।সুতরাং বাসা থেকে সাড়ে সাতটায় বের হলাম। তারপর নির্ধারিত সিটে বসলাম। শুরু হয়ে গেল ,আমাদের ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা পথ।
ফটোগ্রাফি-১
সিটে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন গাড়ি ছাড়বে? তখন জানালা দিয়ে এই ফটোগ্রাফটি তুলেছি।
ফটোগ্রাফি-২
ফটোগ্রাফি-৩
আমি জানালার পাশের সিটে বসেছিলাম। জানালা দিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। তখনই মনে হলো এত সুন্দর প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফ তুলে রাখি ।সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
ফটোগ্রাফি-৪
ফটোগ্রাফি-৫
তারপর আমরা এক ঘণ্টা পর ফেরি ঘাটে এসে পৌঁছালাম। আমাদের ঢাকায় যেতে হলে পদ্মা নদীর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এখানে ফেরিতে করে আমাদের পদ্মা নদী পাড়ি দিতে হয়।
ফটোগ্রাফি-৬
দূরে অন্য ফেরি দেখা যাচ্ছিল ।নৌকা নিয়ে লোকেরা নদী পার হচ্ছিল । কেউ যদি পদ্মা নদীর পানির মধ্যে একবার পড়ে যায় তাহলে তার আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। প্রচুর পানির স্রোত এখানে।
ফটোগ্রাফি-৭
আমি জানালা দিয়ে বাইরের দিকে দেখছিলাম ।আকাশটা এতো চমৎকার লাগছিলো যে বলে বোঝাতে পারবো না। আজকে প্রকৃতি যেন সত্যিই অন্যরকম সুন্দর লাগছিল। নীল আকাশ দেখতে প্রচন্ড রকম ভালো লাগছিল। আমার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় আমি ফেরি থেকে নামতে পারিনি ।জানালা দিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলাম।
ফটোগ্রাফি-৮
ফেরি পার হতে আমাদের প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। এবার যেন খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আমরা ফেরি থেকে নেমে পড়লাম। আমি প্রতিবার যখন ফেরিতে উঠি, তখন গাড়ি থেকে নেমে ফেরির মধ্যে ঘুরে বেড়াই ।উপরের ক্যান্টিনে যাই, সেখানে যেয়ে চা খাই ।বাইরে দাঁড়িয়ে পানি দেখি, আকাশ দেখি খুব ভালো লাগে ।কিন্তু এবার আর সেটি হয়নি ।এবার আমি বাসের ভেতর থেকেই প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখছিলাম।
ফটোগ্রাফি-৯
এই সেই পদ্মানদী যেখানে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। মূলত ইলিশের বসবাস এই পদ্মায়। পদ্মার ইলিশ খেতে দারুণ সুস্বাদু ।নদীতে এখন পানি থইথই করছে ,দেখলে গা শিউরে ওঠে ।একবার পড়লে আর রক্ষে নেই।
ফটোগ্রাফি-১০
এভাবে আমরা কিছুক্ষণ পরই ফেরি থেকে নেমে পড়লাম। তারপর শুরু হল আমাদের একটানা যাত্রা । আমাদের বাস চলতে লাগলো ।আমরা দুপুর একটার দিকে আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম ।
এভাবেই শেষ হলো আমার আজকের ভ্রমণ ।যদিও প্রতিবার অনেক বেশি সময় লাগে ।এবার খুব কম সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম ।আল্লাহর রহমতে কোন রকম সমস্যা হয়নি ।শুধু আমার মেয়ে রাস্তায় বেশ কয়েকবার বমি করেছিল, এতে শরীরটা একটু খারাপ হয়ে পড়েছিল। এটাই ছিল সমস্যা। তা ছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা ছিল না ।
আজকের মত এ পর্যন্তই আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার আজকের ব্লক টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আমাদের এইদিকের লোকের ঢাকা যেতে এই একটাই সমস্যা। পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে অনেক সময় লাগে। এবং আপু আমারও জানালার ধারের সিট খুব পছন্দের। নদী এবং ফেরি ঘাটের ছবিগুলো খুব ভালো তুলেছেন। নীল আকাশের নিচে সুন্দর প্রবাহিত নদী। একেবারে অসাধারণ।।
অনেক ধন্যবাদ
বাহ!আপু আপনি তো সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন।আপনার ফটোগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।আর আপনার পোস্টের বর্ণনাটাও সুন্দর ছিলো।শুভকামনা রইলো আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি আপনার ভ্রমনের সময়ে বেশ দারুন দারুন মুহুর্ত এর চিত্র নিজের ক্যামেরায় বন্দি করেছেন অনেক সুন্দর হয়ছে।
আপনাকে ধন্যবাদ
আপু আমার ভ্রমন অনেক প্রিয় কেউ বললেই তার সাথে ভ্রমনে চলে যাই। আপনার ভ্রমনের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর আপনি অনেক সুন্দর সময়টা উপভোগ করেছেন। পদ্মা নদীর ছবি গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মন ভরে গেল। যে পদ্মা নদী আপনি দেখালেন যেখানে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। যা খাওয়ার জন্য আমরা একান্ত বসে থাকি খুবই উত্তেজনা কাজ করে । সত্যি অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি। ছবিগুলো তুলেছেন তখন আপনি হয়তো অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন আমরা যেমন আপনার পোস্টটি দেখে আনন্দ পায় কিন্তু আপনি সেখানে অবস্থান করছেন আপনি কতটা আনন্দ পেয়েছেন মুহূর্ত যখন কিল্কিক করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রফের বর্ণনা অসাধারণ ছিল এবং আশপাশে যতগুলো ফটোগ্রাফিক করেছেন তার তুলনা হয় না আপনাকে প্রশংসা করতে হয়। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন শুভকামনা রইলো
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রকৃতির সেই মনোমুগ্ধকর সুন্দর দৃশ্য,আপনে আপনার পোষ্টের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনার পোষ্টা টা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনি ঠিকই বলেছেন,করোনার মধ্যে আমরা প্রায় অনেক টা গৃহবন্দী ভাবেই জীবন যাপন করেছি।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নীল আকাশের নিচে পানির উপর ভেসে থাকা লঞ্চ এর ছবি গুলো খুবই ভালো ছিল। অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু😍😍
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে আমিও খুবই মুগ্ধ হয়েছি আপনার ফটোগ্রাফি সেই সাথে আরো সুন্দর বর্ণনা করেছেন এবং আপনার জার্নিটা ছিল খুবই সুন্দর বিশেষ করে আপনার কিছু ছবি দেখলাম যেগুলা নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে আরো বেশী সুন্দর লাগছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে আপনার ছবিগুলোতে আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু জানেন আপনার ছবিগুলো দেখে আমার অনেক স্মৃতি মনে পরে গেলো।কারণ বলছি,
যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বাড়িতে যেতাম ফেরি করে। গাড়ি ফেরিতে উঠার পর আমরা গাড়ি থেকে নেমে যেতাম, খুব মজা করতাম।
আপনার ছবি গুলো দেখে ভালো লাগলো খুব।
হ্যা আপু সত্যিই অনেক মজার।ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা করছি আপনার ভ্রমণ অনেক আনন্দময় হয়েছে এবং ভ্রমণের জায়গাটা খুবই সুন্দর। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণের দিনটা অনেক মজা করেছেন তাই আমার ইচ্ছা করছে আপনার এই জায়গাতে আমিও ভ্রমণ করি, খুবই সুন্দর লেগেছে। আর বিশেষ করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।