একদিন সকালে বাসার বাইরে নাস্তা করা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
একদিন সকালে বাসার বাইরে নাস্তা করা
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একদিন সকালে বাইরে নাস্তা করার অনুভূতি শেয়ার করব। বেশ কিছুদিন থেকেই আমার হাজবেন্ড বলছিল একদিন বাইরে নাস্তা করতে নিয়ে যাবে। কিন্তু বাইরে নাস্তা করতে হলে একটু সকাল সকাল গেলে ভালো হয়। কিন্তু আমার সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা খুবই কষ্টকর মনে হয়। এই জন্য যাব যাব করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না। বেশ কিছুদিন ধরে এই প্ল্যান করছিলাম তারপরেও প্ল্যানটা ক্যান্সেল হচ্ছিল শুধুমাত্র আমার কারণে। কেননা আমি খুবই ঘুমকাতুরে স্বভাবের। আমার জীবনের সবথেকে বেশি পছন্দের হল ঘুম। যাই হোক তারপর এই তো কদিন আগে বিজয় দিবস এলো। তার আগের দিন ঠিক হলো আমরা স্টেডিয়ামের মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে যাব। সেই দিন সকালে বাইরে নাস্তা করব। আমিও হ্যাঁ বলে দিলাম কিন্তু মনে মনে ভাবছিলাম আমি কি যেতে পারবো? তারপরেও শেষমেষ বাইরে বের হতে পেরেছিলাম। কেননা আমার মেয়ে খুবই জোর করছিল বাইরে যাবার জন্য। তারপর স্টেডিয়ামে যাওয়ার পূর্বে আমরা একটি হোটেল থেকে নাস্তা করে তারপর সেখানে গেলাম।
এটি হচ্ছে আমাদের শহরের খুবই পুরনো এবং নামকরা একটি খাবার হোটেল। সেই ছোটবেলা থেকেই হোটেলটি দেখে আসছি। সামান্য কিছু পরিবর্তন হলেও খাবারের স্বাদ মনে হয় যেন সেই একই রকমই আছে ।এদের খাবারের মান যথেষ্ট ভালো। বেশ নামকরা হোটেল এটি। এই হোটেলের নাম অনেকেরই পরিচিত।খন্দকার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নাম এটির। আমাদের শহরের বাইরে থেকে কোন লোক শহরে প্রবেশ করলে তারা এসে এখানে নাস্তা করে। আমি তো যেয়ে রীতিমতো অবাক দেখলাম লোকজনে একদম ভর্তি হয়ে আছে। সকাল সকাল হোটেলে এত মানুষ আসে সত্যি অবাক করার মতো। এটি মূলত প্রথমে একটি খাবার হোটেল ছিল ।পরবর্তীতে এটিকে দোতলা করা হয় এবং উপরে রেস্টুরেন্ট বানানো হয় যেখানে চাইনিজ ফুড পাওয়া যায়।
আমরা ওখানে যাবার পর ওয়েটারকে ডেকে পরোটা, ডাল ভাজি ,কলিজা ও চা অর্ডার করলাম। এদের কলিজা খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। এটির বেশ নাম। আমরা এখানে নাস্তা করলে কলিজাটা অবশ্যই অর্ডার করি। তারপর কিছু সময় পরেই আমাদের নাস্তা টা দিয়ে গেল। তারপর আমরা ঝটপট নাস্তাটা করে ফেললাম ।তারপর কিছু সময় অপেক্ষা করার পর চা দিয়ে গেল। এদের চা টা বেশ ভালই হয়। সাধারণত বাইরের চা খুব একটা ভালো হয় না ।কিন্তু এদের চা আমার কাছে বেশ ভালোই লাগল ।
তারপর নাস্তা শেষ করে আমরা স্টেডিয়ামে চলে গেলাম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখার জন্য। বেশ ভালই লেগেছিল আজকের সকালটা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
লোকেশন | খন্দকার হোটেল নীলটুলি,ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
মেয়ে জোর করছিল বলেই আপনি বিজয় দিবসের দিন বাইরে নাস্তা করতে পারলেন । পরোটা,ডাল ভাজি ,কলিজা ও চা দিয়ে বেশ ভালই নাস্তা করলেন, যদিও চা টা ভালো ছিল না যা আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম । সকাল বেলা নাস্তা করার হোটেল গুলোতে লোকজনের ভিড় দেখলে অবাক হয়েই যেতে হয়। আমাদের এইখানেও এই ব্যাপারগুলো আমি দেখি।
না ভাইয়া আপনি ভুল বুঝেছেন চা টা বেশ ভালই ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এতদিন জানা ছিল না আপনি যে ঘুমকাতুরে মানুষ। আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যাই হোক কষ্ট করেও যে সকাল সকাল উঠে বাইরের নাস্তা করতে পেরেছেন এটা শুনে ভালোই লাগছে। যদিও ক্রেডিট দিতে হবে মেয়েকে, মেয়ের কারণেই হয়তো তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে যেতে পেরেছেন। বিজয় দিবসের দিন বের হওয়ার কারণে একসাথে দুইটা কাজই সম্পন্ন হয়ে গেল।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন মেয়ের জন্য বের হতে পেরেছিলাম এবং বের হয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
বিজয় দিবসে মেয়ের সাথে বাইরে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে প্রতিদিন সকালবেলা নাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয় না। তাই অনেক সময় আমাদের বাইরে নাস্তা করতে হয়। যখন কয়দিন পর পর বাইরে নাস্তা করি তখন খুবই ভালো লাগে। আপনি বাইরে নাস্তা করার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করে দেন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া মাঝে মাঝে বাইরে নাস্তা করতে বেশ ভালই লাগে ।বাড়িতে প্রতিদিন খেতে খেতে কেমন জানি একঘেয়েমি চলে আসে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু যারা ঘুমপ্রিয় মানুষ সকালে উঠতে তাদের ভীষণ কষ্ট হয়ে যায়। আসলে মাঝে মাঝে বাহিরে নাস্তা করতে ভালোই লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে সুস্বাদু কলিজা খেতে ইচ্ছে করছে আপু। নাস্তা করার পর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখেছেন স্টেডিয়ামে গিয়ে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং সেই অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে বাইরে নাস্তা করতে বেশ ভালই লাগে ।কলিজাটা কিন্তু খেতে বেশ মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি তো অনেক কষ্ট করে হলেও ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে গেছেন। আমি তো ছুটির দিন হলে ঘুমের কারনে নাস্তাই খেতে পারি না। তবে অফিসের কারনে মাঝে মাঝে কপালে নাস্তা জুটে, হা হা হা। বিজয় দিবস ছিলো তো তাই হোটেলটিতে এত মানুষের ভিড় ছিল। ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখছি ভাইয়া আমার থেকেও অনেক বেশি ঘুমকাতুরে। বেশ ভালই ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।