হঠাৎ করে এলাকার ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়া
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বেশ কিছুদিন আগে আমি ,আমার হাসবেন্ড ও আমার মেয়ে আমরা আমাদের বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটা গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম । সেখানে বেশ কিছুক্ষণ খুব ভালো সময় কাটিয়েছি । অনেক ঘোরাঘুরি করেছি । তারপর ঘোরাঘুরি করে যখন বাসার দিকে ফিরছিলাম তখন বাসার কাছে একটি ফাস্টফুডের দোকান দেখতে পাই , নিজেদের এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে। হঠাৎ করে এই ফাস্ট ফুডের দোকানটি দেখে আমি আমার হাজবেন্ড কে বলি এই দোকানটি কবে হলো ? তখন আমার হাজবেন্ড বললো এই দোকানটি অল্প কয়দিন হলো ওপেন করেছে । তখন আমাকে বলল যে , এখানে এর আগে রাস্তায় পাশে একটি ভ্যান ছিল তোমার মনে আছে ? যেখানে চিকেন ফ্রাই বিক্রি হতো। আমার তখন মনে পড়লো। ওরাই এখন একটা দোকান নিয়েছে তারপর আমি সেটি চিনতে পারলাম । সেই ফার্স্ট ফুডের দোকান ও খাবার দাবার সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
VOTE@bangla.witness as witness
হঠাৎ করে এলাকার ফাস্ট ফুডের দোকানে খাওয়া দাওয়া
আসলে এই দোকানটির লোকটি প্রথমে একটি ভ্যানে করে বিভিন্ন ধরনের খাবার জিনিস বিক্রি করত । তার মধ্যে চিকেন ফ্রাই , চিকেন সাসলিক , চিকেন পপকর্ন আরো বিভিন্ন ধরনের চিকেন সংশ্লিষ্ট খাবার বিক্রি করত । বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিল ভ্যানটি ।এলাকার প্রায় সকলেই এখান থেকে কিনে কিনে খেত । এদের একটি বিষয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো সেটি হচ্ছে এরা ছোট ছোট পিস করে চিকেন ফ্রাই তৈরি করত ১৫ টাকা দামের ।যদিও এতে মাংসের পরিমাণ ছিল একদম সীমিত তারপরেও এটি দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল । যারা দামি চিকেন ফ্রাই কেনার কথা কল্পনাও করতে পারে না ,তারা খুব সহজেই এই চিকেন ফ্রাইগুলো খেতে পারতো । এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল ।
তারপর আমরা দোকানের ভিতরে প্রবেশ করলাম ।আমরা ভেতরে যাবার পরপরই দোকানদার আমাদেরকে একটি ম্যেনু কার্ড দিল । আমরা তো বেশ অবাক হলাম যে ওদের আবার রেস্টুরেন্টের মত ম্যেনু কার্ড আছে । তারপর ম্যেনু কার্ড দেখে আমরা চিকেন ফ্রাই ও চিকেন চিজ বার্গার অর্ডার করলাম । খাবারের টেস্টটা ওদের ভালই ছিল ।খাবারটা খেয়ে বেশ ভালো লাগলো । যদিও বেশ ঘোরাঘুরি করে এসেছি তাই খিদে পেয়েছিল । গ্রামের ওখানে খাবার কোন ব্যবস্থা ছিল না ।
খাবার অর্ডার করার পর খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি । খুব তাড়াতাড়ি তারা খাবারটা সার্ভ করেছিল । চিকেন ফ্রাই টা বেশ মুচমুচে ছিল । আর বার্গারটাও বেশ টেস্টি ছিল । আমার মেয়ে তো খুব মজা করে খেয়েছে ।তার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।
আসলে এলাকার মধ্যে এরকম খাবার দোকান থাকলে ভালই হয় । মাঝে মাঝে বিকেল বেলায় নাস্তা খাওয়া যায় । তাহলে আর রেস্টুরেন্টে যেতে হয় না ।
ছোট্ট একটি দোকান হলেও এরা বেশ সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছিল । প্রতিটা দেয়ালের কালার ভিন্ন ভিন্নভাবে সুন্দর করে করেছিল । দেখতে বেশ ভালো লাগছিল । অবশেষে খাবার শেষ করে আমরা আমাদের বাসার দিকে হেঁটে হেঁটে যেতে শুরু করলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
সব থেকে বেশি ভালো লাগলো এটা দেখে যে বেশ কম দামের ভেতরে সবার কথা ভেবে তারা আয়োজন টা করেছে। আর আপু এই রকমের রেস্তোরাঁ গুলোতে খাবারের স্বাদ টা বেশ ভালো পাওয়া যায়। তবে গতবছর চিকেন ফ্রাই খাওয়ার পর একবার পেটে মারাত্মক ট্রাবল হয়েছিল। তারপর থেকে কেন যেন আর ফ্রাই খাওয়ার দিকে খুব একটা লোভ হয় না 😉। যাই হোক বেশ ভালো ছিল রেস্তোরার ডেকোরেশন টা।
ভাইয়া আপনার একবার সমস্যা হওয়ার কারণে এই খাবারের প্রতি আপনার ভয় ধরে গেছে । এজন্য হয়তো খাবার ইচ্ছা হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে খাওয়া দাওয়া হল হঠাৎ করেই হয়ে যায় প্লান আমাদের যেমন কিছুদিন আগে এমন হঠাৎ করে খাওয়ার অলান হয়েছিল দারুন উপস্থপনা করেছেন আপনি আপু।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল । ভাল থাকবেন ।