টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি । আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি । টমেটো ও ডিম দিয়ে এভাবে ভাজি করলে সেটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । গরম ভাতের সঙ্গে খেতে তো ভীষণ মজার। সঙ্গে একটু ধনিয়া পাতা দিলে এটি আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে । আজ আমি এটি প্রস্তুত করেছিলাম তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে রেসিপিটি শেয়ার করি । হয়তোবা আপনারা এই রেসিপিটি এর আগে নাও খেয়ে থাকতে পারেন । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি ।
টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি
| উপকরণ | পরিমান |
|---|---|
| টমেটো কুচি | ২ টি |
| ডিম | ১ টি |
| পেঁয়াজ কুচি | ৫ টি |
| কাঁচা মরিচ | ৫ টি |
| আদা বাটা | ১/২ চা চামচ |
| রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ |
| হলুদ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| লাল মরিচ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| জিরা গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
| ধনিয়া পাতা | পরিমাণমত |
| লবন | স্বাদমতো |
| তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
 |  |
|---|
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই। তারপর পেঁয়াজ কুচি একটু ভেজে নেই।
 |  |
|---|
তারপর আদা বাটা, রসুন বাটা ও সব গুঁড়ো মসলা দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর লবণ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে টমেটো কুচি দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর টমেটো মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই।
 |  |
|---|
তারপর কাঁচা মরিচ দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
তারপর একটা ডিম ভেঙ্গে সামান্য একটু লবণ দিয়ে ফেটে নেই। তারপর ওই টমেটোর মধ্যে ডিমটি দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর ভালোমতো নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
তারপর একটু ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিয়ে নেড়ে চেড়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করি।
 | |
|---|
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি । এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম ভাতে সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে। একটা কথা খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
এই রেসিপিটা আমার কাছে একেবারেই নতুন। ছবি দেখে তো খুবই ভালো লাগছে । মনে হচ্ছে খেতেও খুব একটা খারাপ হয়নি। বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে বেশ ভালোই হয়েছিল । আপনি ও একদিন করে দেখতে পারেন । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ডিম আমার খুবই প্রিয়। বিভিন্নভাবে ডিমের রেসিপি তৈরি করে খেয়েছি। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ভিন্নভাবে খাওয়ার জন্য। তবে টমেটো দিয়ে এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে কখনো এভাবে ডিম রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমার তো বেশ ভালো লেগেছে এই রেসিপি। গরম ভাতের সাথে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগবে। একদিন অবশ্যই ট্রাই করে দেখব আপু। সত্যি আপু আপনার হাতের রান্না জাস্ট অসাধারণ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য । অবশ্যই একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন ভালোই লাগে কিন্তু । ধন্যবাদ আপনাকে ।
সত্যি আপু, এই রেসিপিটা গরম ভাতের সাথে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগবে। ডিমের যেকোনো রেসিপি আমার ভীষণ পছন্দের। আর শীতকালে টমেটোর রেসিপি তো আরো বেশি ভালো লাগে। তবে আপনি ডিম এবং টমেটো দুইটাই ব্যবহার করে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করলেন। তবে আপনার মতো করে কখনো খাওয়া হয়নি। ভাবছি আপনার মত তৈরি করব। কারন আমার দেখেই লোভ লেগে গেল।
হ্যাঁ আপু যেহেতু এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি তাহলে অবশ্যই একবার এভাবে খেয়ে দেখবেন । খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
টমেটো ও ডিম ভাজির এই মজাদার রেসিপিটি তো কখনো খাওয়া হয়নি। খাবারটি মনে হচ্ছে খুবই টেস্টি লাগবে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে । এত সুন্দর রেসিপি কোথা থেকে শিখলেন আপু আমার তো দেখেই খেতে মন চাইছে। আমিও কিন্তু আপনার কাছ থেকে শিখে নিয়েছি। এখন টমেটোর সিজন এই টাইমে এটা একটা পারফেক্ট রেসিপি আমার কাছে মনে হল।
আপনি যেহেতু আপনি এই রেসিপিটি শিখে নিয়েছেন তাহলে অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবেন । বেশি বেশি মরিচ দিয়ে দিবেন দেখবেন খুবই সুস্বাদু লাগে খেতে ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
খুবই ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এভাবে টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি আগে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন এভাবে ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেহেতু এটি কখনো খাননি তাহলে অবশ্যই একবার বাসায় ট্রাই করে দেখবেন । খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু এভাবে টমেটো দিয়ে ডিম মিক্স করে ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।টমেটো দিয়ে ডিমের ঝুড়ি ভাজি করছেন দেখতে অসাধারণ হয়েছে।এই ধরনের টমেটো দিয়ে ডিমের ঝুড়ি ভাজি গরম ভাতের সাথে কিংবা রুটিও পারোটার সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে।শীতকালে যেহেতু ফ্রেশ টমেটো পাওয়া যায় ডিম দিয়ে এভাবে ভাজি করলে অনেক ভালো হবে।অন্যদিকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে।
হ্যাঁ আপু এখন টমেটো যেমন পাওয়া যায় তেমনি এভাবে ভাজি করে খেতেও ভীষণ ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
টমেটো ও ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি দেখেই তো খেতে লোভ লাগছে আপু।আমার তো ডিম অনেক পছন্দের খাবার। আপনার সুন্দর রেসিপিটি আমি কালই বাসায় ট্রাই করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু তাহলে তো অবশ্যই আপনি বাসায় ট্রাই করে দেখেছেন । কেমন লেগেছে জানাবেন ? ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপু বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ যদিও এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি ডিম ঝুড়ি দিয়ে টমেটো ভাজি ৷ তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই মজার এবং সুস্বাদু হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷ একদিন এভাবে চেষ্টা করতে হবে..
হ্যাঁ ভাইয়া অবশ্যই একদিন এভাবে চেষ্টা করে দেখবেন । খেতে কিন্তু বেশ ভালই হয়েছিল । ডিম আর টমেটো বলে কথা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আলু দিয়ে ডিমের ঝুড়ি ভাজি অনেক খেয়েছি আপু তবে টমেটো দিয়ে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপু টমেটো দিয়ে যখন কখনো খাননি তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন । ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ডিম যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ডিম আমার খুবই পছন্দের। তবে টমেটো দিয়ে এভাবে কখনো ডিমের ঝুড়ি ভাজি রেসিপি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে আমি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন । তাহলে বুঝতে পারবেন এটি খেতে বেশ ভালোই লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।