ঈদের আগের রাতে মেহেদি নেওয়া

in আমার বাংলা ব্লগlast year

ঈদ মোবারক


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।


সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট ।এই ঈদে অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক সবার জীবনে এই প্রত্যাশাই করি। ঈদের আগের দিন রাতে কাজের বেশ চাপ থাকে যার কারণে আমার মেহেদী নেওয়া হয়ে ওঠে না । যদিও বিয়ের আগে প্রতি ঈদের আগের রাতে মেহেদী নেওয়ার ধুম পড়ে যেত । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। এখন ঈদের আগের রাতে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কাটে ।যার কারণে মেহেদী নেওয়া হয়ে ওঠে না । যদিও মাঝে মাঝে আমি মেহেদী ঈদের পরদিন নিয়ে থাকি। যাই হোক আমি না নিলে কি হবে আমার মেয়ে মেহেদী নেওয়ার জন্য বেশ অস্থির হয়ে ওঠলো। তাই আমি চিন্তা করলাম আমার তো সময় হবে না তাই আমাদের দোতলার ভাড়াটিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিলাম । তাদের বাসায় তাদের আত্মীয় এসেছে সে ভালো মেহেদী দিতে পারে । যদিও প্রতিবার ঈদের আগের দিন রাতে মেয়েকে ওদের বাসায় পাঠিয়ে দেই ওরাই মেহেদী পরিয়ে দেয়। এবারও মেয়ে যাওয়ার জন্য বেশ বায়না ধরল তো আমি তাকে নিয়ে গেলাম ।



ঈদের আগের রাতে মেহেদি নেওয়া



IMG20230628233053.jpg

ওদের বাসায় যাওয়ার পর দেখলাম ওর ভাবি এসেছে । সাথে দুটি বাচ্চা নিয়ে এসেছে । বাচ্চাদের বড় টি আমার মেয়ের সমবয়সী । আমার মেয়ে তো ওখানে যেয়ে বেশ খুশি ।বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা শুরু করে দিল । বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পর মেহেদি লাগাতে বসলো । যদিও মাঝে মাঝে ছোট বাচ্চাটি এসে আক্রমণ করে মেহেদি নষ্ট করে দিয়েছে । বাচ্চাটি বেশ চঞ্চল যার কারণে তার মায়ের মেহেদী দিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। বাচ্চাটির মা দেখলাম বেশ ভালো মেহেদী দিতে পারে।


IMG-20230628-WA0001~2.jpg

এই মেহেদী গুলো ৫ মিনিটেই রং হয়ে যায় ।বাচ্চাদের হাতে দেওয়ার জন্য আমি এই মেহেদী গুলোই আনিয়েছি। কারণ বাচ্চারা মেহেদী নেওয়ার জন্য যতটা উৎসাহিত থাকে হাতে লাগানো সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার ধুয়ে ফেলার জন্য অস্থির হয়ে যায়। যার কারণে তাদের জন্য এই মেহেদি টাই বেশ ভালো হয়। মেহেদি টা কিভাবে দিয়েছে তা আপনাদের সঙ্গে একটু শেয়ার করি। প্রথমে দেখলাম দুটো দাগ দিয়ে দিল । তারপর তিনটি ফুল এঁকে নিল। তারপর ফুলের ভেতরে ও বাইরে কারুকাজ করে নিল।


IMG-20230628-WA0004~3.jpg

তারপর আরো একটি বড় ফুল এঁকে নিল ও ভেতরে ভরাট করে দিল । এভাবে করে আঁকতে থাকলো ।দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।


IMG-20230628-WA0002.jpg

তারপর একটি পানের মতো এঁকে নিল ও ভেতরে ভরাট করে দিল । তারপর পাশে ছোট ছোট অনেকগুলি ফুল এঁকে নিলো ও ভেতরে ভরাট করল।


IMG-20230628-WA0000~2.jpg

তারপর আরো একটি পান এঁকে নিল ও ভিতরে ডিজাইন করল ।তারপর আঙ্গুল গুলোতেও ছোট ছোট ডিজাইন করে দিল । এভাবে পুরো হাত ভরাট করে নিল । ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার মেয়ের হাতের মেহেদী।


মেহেদি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই সে ধোয়ার জন্য পাগল হয়ে গেল। অনেক বোঝাতে লাগলাম 5 মিনিট রাখো একটু শুকিয়ে নাও। কিন্তু কে শুনে কার কথা ।সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবে ।তারপর কি আর করা সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেললাম ।তারপরও দেখলাম চমৎকার রং হয়েছে। তারপর মেয়ে বলল দেখেছ কত সুন্দর রং হয়েছে। সে খুব খুশি হল। তারপর মেয়ে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করল ।তারপর আমরা বাসায় চলে আসলাম। আমি রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ব্যাস এভাবেই আমাদের ঈদের আগের রাত কাটল।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 last year 

শুধু আপনি কেনো আমার মনে হয় বিয়ের আগে সব মেয়েরাই মেহেদী পড়তো।সত্যি বলেছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব পরিবর্তন হয়ে যায়।যাক আপনি তো ভালো এক জনকে পেয়েছেন, সুন্দর মেহেদী দিয়েছে। আমি কিন্তু এখনো নিতে পারিনি, তবে রাতে নেব।ধন্যবাদ আপনাকে মেহেদি পড়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে হ্যাঁ সে ভালোই মেহেদী দেয় । তবে মেহেদি নিয়েছিল আমার মেয়ে । আমি নেইনি মেহেদী । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

সময়ের সাথে সাথে নিজের ইচ্ছে গুলো বদলে যায়। আসলে একটা সময় যে কাজগুলো করতে অনেক ভালো লাগতো সেই কাজগুলো হয়তো অনেকটা সময় ধরে করা হয় না। ঈদের আগের রাতে সেই মেহেদী দেওয়ার কথা এখনো মনে পড়ে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছুই বদলে গেছে। যাই হোক আপু আপনার মেয়ের হাতে পড়ানো মেহেদী খুবই সুন্দর হয়েছে। দোতালার ভাড়াটিয়ার বাসায় আসা মেহমান সত্যি দারুন মেহেদী পড়িয়েছেন।

 last year 

হ্যাঁ আপু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয় যেটি আমাদের ক্ষেত্রেও হয়েছে । হ্যাঁ বেশ ভালোই মেহেদী দিয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বিয়ের আগে মেহেদী না পরলে যেন ঈদই মনে হতো না। এখন আর তেমন করে মেহেদি পরা হয় না। সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন মেয়েদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখা ছাড়া তেমন করার কিছু নাই। তবে সকল মেয়েদেরই তাদের ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরন করা দরকার নিজের জন্য। আপনার মেয়ে মেহেদি ডিজাইন দেখতে বেশ লাগছে। ভাল কাটুক আপনাদের ঈদ। ঈদ মোবারক।

 last year 

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ঈদের আগের দিন যত রাতই হোক না কেন মেহেদী পড়া চাই । মেহেদি না নিলে মনে হত ঈদ ই হবে না আর এখন কতটা পরিবর্তন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

মেয়েরা বিয়ের আগে মেহেদী অনেক বেশিই লাগায় হাতে। কিন্তু বিয়ের পরে ব্যস্ত বা পরিবেশের সাথে মিলাতে অনেক হিমশিম খায়। তবে আমিও বিয়ের পরে মেহেদি লাগাতে পারিনা সময়ের কারণে। আজকে আপনার মেহেদি ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last year 

হ্যাঁ আপু মেহেদির ডিজাইনটি বেশ সুন্দর হয়েছিল। আমিও মেহেদী লাগাই না সময়ের অভাবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ঈদ মোবারক আপু। মেয়েদের বিয়ের আগে একরকম জীবন এবং বিয়ের পরে অন্যরকম জীবন। কারণ বিয়ের আগে তাদের একটু স্বাধীনতা থাকে। বিয়ের পরে সংসার এবং বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ততা থাকে। যাইহোক আজকে আপনি খুব সুন্দর করে হাতে মেহেদি ডিজাইন আর্ট করেছেন। অনেক সুন্দর আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনাকেও ঈদ মোবারক ভাইয়া । তবে মেহেদিটি আমি নেইনি । আমার মেয়ের হাতে একজন পরিয়ে দিয়েছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে প্রত্যেক ঈদের আগের রাতটা মেহেদী দেওয়াতেই কেটে যায়। আর ঈদের আগে রাতটা অনেক সুন্দর কাটে সবার সাথে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করা হয়। মেহেদির ডিজাইন টা কিন্তু সত্যি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আর আপনার মেয়ের হাতেও দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগতেছে এটি। ধোয়ার পরে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগতেছিল এটি দেখতে।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া ধোয়ার পরে এটি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে ছোট বাচ্চারা মেহেদি দিতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর মেহেদি দেওয়ার পরে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। ছোট বাচ্চারা মেহেদী দেওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে ধোয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। আমি তো আমার মেয়েটাকে মেহেদি দেওয়ার পরে অনেক জোর করে কিছুক্ষণ পর্যন্ত বসিয়ে রেখেছিলাম। সে যেহেতু খুব ছোট তাই দুষ্টামি করছিল এমনিতে কিছুক্ষণ পর্যন্ত রেখেছিল। মেহেদি দেওয়ার পর সে তো অনেক খুশি হয়েছিল। আপনার মেয়েও খুশি হয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

আসলে আপু বাচ্চারা এমনই নেওয়ার জন্য পাগল থাকে আবার উঠানোর জন্যও পাগল থাকে। বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56586.95
ETH 2389.49
USDT 1.00
SBD 2.34