আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে ফ্রাইড রাইস রেসিপি। ফ্রাইড রাইস আমার মেয়ের খুবই পছন্দের একটি খাবার। যদিও মাঝেমধ্যে বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া হয় তারপরেও মেয়ের আবদার বাড়িতে ফ্রাইড রাইস তৈরি করতে হবে। তার মায়ের হাতের ফ্রাইড রাইস নাকি তার অনেক ভালো লাগে। সেই জন্য মাঝে মধ্যেই বাড়িতে ফ্রাইড রাইস তৈরি করা হয়। রান্না কিন্তু খারাপ করি না , বেশ ভালই হয় খেতে । সেই ফ্রাইড রাইসের রেসিপিটিই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি ফ্রাইড রাইস রেসিপি।
ফ্রাইড রাইস রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
পোলাওয়ের চাল | ১/২ কেজি |
বরবটি | পরিমাণমত |
গাজর | ৩ টি |
ডিম | ৩ টি |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টি |
আদা কুচি | পরিমাণমত |
রসুন কুচি | ১ টি |
টমেটো সস | ২টেবিল চামচ |
চিলি সস | ২টেবিল চামচ |
সয়া সস | ৩টেবিল চামচ |
লেবু | ১ টুকরো |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
ঘি | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে আমি বরবটি ও গাজরকে ভালোভাবে ধুয়ে ছবির মত করে কেটে নিয়েছি । |
তারপর আমি রাইস কুকারে ১ লিটার পানি দিয়ে দিয়েছি । পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল গুলি দিয়ে দিয়েছি । |
তারপর সামান্য একটু তেল, পরিমাণ মতো লবণ ও এক টুকরো লেবু চিপে দিয়েছি । তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করেছি । চালগুলো 80% সিদ্ধ করে নিয়েছি। |
চালগুলি 80% সিদ্ধ হলে একটি চালনীতে পানি ঝরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢেলে দিয়েছি। তারপর একটি বাটিতে তিনটি ডিম ভেঙে নিয়েছি ও সামান্য একটু লবণ দিয়ে ডিম ফেটে নিয়েছি। |
তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে আগে থেকে ফেটে রাখা ডিম দিয়ে দিয়েছি। |
দিমগুলি ঝুড়িঝুড়ি করে হালকা করে ভেজে একটি প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি। |
তারপর একটি বাটিতে সয়া সস, টমেটো সস, চিলি সস দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে একটি সসের মিশ্রণ তৈরি করি। |
তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে দেই । তারপর আদা কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দেই । |
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালোমতো ভেজে গাজর কুচি দিয়ে দেই । |
তারপর বরবটি দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে নেই ও সামান্য একটু লবণ দেই । |
এভাবে কিছুক্ষণ ভাজার পর সসের মিশ্রণ অল্প দিয়ে দেই। |
তারপর ভালোমতো নেড়ে চেড়ে সবজি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভেজে নেই । সবজিগুলো সিদ্ধ হলে আগের সিদ্ধ করে রাখা পোলাও দিয়ে দেই। এক্ষেত্রে পোলাও ঠান্ডা করে দিতে হবে। |
তারপর ভালোমতো নেড়ে চেড়ে নিয়ে এভাবে একটু একটু করে সবগুলো পোলাও করাইতে দিয়ে দেই এবং ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নেই। |
এখন আগে থেকে তৈরি করা সসের মিশ্রণটি দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নেই ও আগে থেকে ভেজে রাখা ডিমগুলি দিয়ে দেই । |
এখন ভালো মতো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেই । ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার ফ্রাইড রাইস রেসিপি। এখন একটি প্লেটে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে । আমি এই ফ্রাইড রাইস চিলি চিকেন এবং চিকেন ফ্রাই দিয়ে খেয়েছিলাম । সেগুলোও বাড়িতে তৈরি করেছিলাম । সেই রেসিপিগুলো পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের রেসিপিটি ভালো লেগেছে। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
VOTE@bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।ফ্রাইড রাইস কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি।যখনি খাওয়া হয় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয়।আমি খুব একটা বেশি খাওয়া পারি না। কিন্তু আপনার রান্না পরিবেশনা দেখে মনে হচ্ছে কোন রেস্টুরেন্টে থেকে কিনে নিয়ে আসছেন।ফ্রাইড রাইস তৈরি করার ধাপসমূহ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবে একবার বাড়িতে তৈরি করে দেখবেন খেতে কিন্তু ভীষণ মজার। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধুমাত্র আপনার ক্ষেত্রে নয় আপু পৃথিবীর সকল মানুষের কাছেই তার মায়ের হাতের রান্না করার রেসিপি গুলো পৃথিবীর সবথেকে সুস্বাদু রেসিপি।
মেয়ের আবদার পূরণ করার জন্য খুবই চমৎকার ভাবে ফ্রাইড রাইস তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। ছোট ভাইদের কেউ একদিন এরকম একটা রেসিপি তৈরি করে দাওয়াত দিয়ে দিন।
ভাই আপনার দাওয়াত থাকলো , যখন ইচ্ছে হবে আসবেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনার ফ্রাইড রাইচ রেসিপিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে আপু।খুব সুন্দর সহজ ভাবে গুছিয়ে উপস্থপনা করেছেন আপনার জন্য শুভ কামনা আপু।
আমার ফ্রাইড রাইস রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও ফ্রাইড রাইস রেসিপি টা অনেক মজা লাগে আর আপনার মেয়ে ঠিকই বলেছে মায়ের হাতের রান্না সব সময় সন্তানের কাছে বেস্ট হয়। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মনি।
ভাইয়া আমার রেসিপিটি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।
কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের বেশ পছন্দের কিন্তু বাসায় তৈরি করা হয় না। এর কারণ হচ্ছে ঐ প্রস্তুত প্রণালি কিছুটা জটিল। এতো অনেক উপাদান প্রয়োজন দেখছি ফ্রাইড রাইস তৈরিতে। ফ্রাইড রাইস টা ভালো তৈরি করেছেন আপু। এবং পরিবেশন করেছেন একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ভাইয়া একটু জটিল হলেও খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু। একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
আপনার মেয়ের আবদার পূরণ করার জন্য বাড়িতে ফ্রাইড রাইসটা খুব সুন্দর ভাবেই তৈরি করেছেন। আসলে সত্যি কথা বলতে আপনার মেয়ের মতো আমিও ফাইড রাইস খেতে অনেক পছন্দ করি রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে 😋, যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমার ফ্রাইড রাইস রেসিপি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
আসলে মায়েরা হয়তো এমনই হয়। সন্তান যে খাবারটা অনেক বেশি পছন্দ করে তারা মাঝে মাঝেই চেষ্টা করে সেই খাবারটি রান্না করার জন্য। আপনার ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে আপনার মেয়ে ফ্রাইড রাইস পছন্দ করে বিধায় আপনি এটা বাসায় রান্না করেছেন। মায়ের এরকম ছোট ছোট গিফট সন্তানের জন্য অনেক বড় কিছু। যাই হোক আপনার এই ফ্রাইড রাইস রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুশান্ত ছিল। মাঝে মাঝে এরকম রেসিপি খাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি এতে শরীরে মন দুটোই ভালো থাকে হাহাহা।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই ধরেছেন খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ।এজন্যই তো আমার মেয়ে এটি বেশ পছন্দ করে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
এভাবে বরবটি এবং গাজর দিয়ে ফ্রাইড রাইস তৈরি করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করি। তবে অনেকদিন হলো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার মেয়েও নিশ্চয়ই তৃপ্তি করে খেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হ্যাঁ আপু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল এবং আমার মেয়ে ও বলেছে রেস্টুরেন্টের মতই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
আপু আপনি অনেকগুলো উপকরণের সমন্বয়ে ফ্রাইড রাইস রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপিতে গাজর এবং বরবটি সবজি দুটি প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।ফ্রাইড রাইস রেসিপি পড়ে আমি নিশ্চিত যে খাবারটি খেতে অনেক মজাদার ছিল। যদিও আমি এ ধরনের খাবার খেতে তেমন পছন্দ করি না।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই ধরেছেন খাবার টি বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি একবার খেয়ে দেখবেন বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।