🦐ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাক ভাজি🦐।।১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox.
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের জন্য খুবই সহজ একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি।আর সেটি হচ্ছে ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁই শাক ভাজি।পুঁই শাক এমনিতেই খুবই ভালো লাগে ,তারপর তার মধ্যে যদি ছোট চিংড়ি দেওয়া হয় তাহলে তো আর কথাই নেই।এর স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ।পুঁইশাক এমনিতেই খুবই পুষ্টিগুণ সম্মৃদ্ধ একটি শাক।তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের রেসিপি ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাক ভাজি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
পুঁইশাক | ১আটি |
চিংড়ি | ১০০গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ৩টি |
কাঁচা মরিচ | ৭টি |
রসুন কুচি | ২টি |
লবন | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমান মতো |
প্রুস্তুতপ্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াইয়ে ধুয়ে রাখা পুঁইশাক দিয়ে দেই।তারপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ ও স্বাদমতো লবন দিয়ে ঢেকে দেই।
২য় ধাপ
তারপর দেখা যাবে শাকের থেকে পানি বের হয়েছে।তারপর একটু নেড়ে চেড়ে আবার ঢেকে দেই।
৩য় ধাপ
পানি একদম শুকিয়ে এলে একটি বাটিতে তুলে রাখি।
৪র্থ ধাপ
তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই।
৫ম ধাপ
তেল গরম হলে তাতে চিংড়ি গুলি দিয়ে দেই।
৬ষ্ঠ ধাপ
তারপর চিংড়িতে একটু হলুদ,একটু লবন ছিটিয়ে দেই।
৭ম ধাপ
তারপর পেয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নেই।
৮ম ধাপ
পেঁয়াজ ও রসুন কুচি ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তাতে সিদ্ধ করে রাখা পুঁইশাক দিয়ে দেই।
৯ম ধাপ
পুইশাকের সাথে পেঁয়াজ কুচি, রসুন ও চিংড়ি ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেই।
১০ম ধাপ
ব্যাস এভাবে হয়ে গেল আমার চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক ভাজি।
১১তম ধাপ
এখন একটি বাটিতে উঠিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে হবে।এটি খুবই মজার একটি শাক ভাজি।সবাই বাড়িতে করে দেখবেন ভালো লাগবে।
সব গুলি ছবির স্থান-লিংক
সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।আশা করছি সবার কাছে ভালো লেগেছে।আজকের মত এই পর্যন্তই।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
ধন্যবাদ
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
রেসিপিটার দেখে মনে হচ্ছে একটা আচাড়ের মতো। তবপ আমার কাছে পুয়ের শাক দিয়ে এই রেসিপিটা বেশ ভালো লাগে। বাসায় থাকলে অনেক সময় খাওয়া হয়। আসলে ম্যাচে তো কোনো দিন এই সব খাবার রান্না হয় না। তাই বেশি একটা খাওয়া হয় না। ধাপগুলো সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন। শুভ কামনা।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ভালো থাকবেন সবসময়।
ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাক ভাজি রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপির জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন।ভালো থাকবেন।
কষ্ট করে আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়েছেন। চিংড়ি মাছ আমার অনেক ভালো লাগে।আর পুঁইশাক দিয়ে রান্না করলেতো আরো অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ
তোমাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়েছ।ভালো থেকো।
আল্লাহর অশেষ রহমত যে তুমি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছো দেখে খুব ভালো লাগছে। পুঁইশাক আমার খুব প্রিয়,অনেকদিন খাই না, তোমার খাবারটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ,দেখতে অনেক ভালো লাগছে।
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো থেকো সবসময়।
এবছর আমাদের বাড়িতে অনেক পুঁইশাক হয়েছে।আমাদের বাড়িতে ও পুঁইশাক বেশিরভাগ সময় চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়।আপনার রান্নাটি ও সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি পড়ার জন্য।
এটি দেখতে খুবই সুস্বাদু। এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।