একদিন সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসা
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একদিন সুইচ গেটে ঘুরতে যাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি । আমাদের শহরে বেশ অনেক বছর আগে সুইট গেট এমন একটি জায়গা ছিল যেখানে বিকেলবেলায় শহরের বেশিরভাগ মানুষই ঘুরতে যেত। আমরা যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন পরিবারের সবাই এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে একসঙ্গে সুইচ গেটে ঘুরতে যেতাম, সেখানে নৌকায় চরতাম। তখন পরিচিত অনেক মানুষের সঙ্গে ছুইচ গেটে যেয়ে দেখা হতো। এমনকি স্কুলের অনেক বান্ধবীদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। কেননা তখন আমাদের শহরে ঘোরার জন্য এই একটা জায়গাই বেশ সুন্দর ছিল। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুইচ গেটেরও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে এখন ওই দিকে লোকজনের তেমন একটা ভিড় দেখা যায় না। এছাড়াও শহরে অন্যান্য ঘোরার অনেক জায়গা তৈরি হয়েছে যার জন্য এখানে আগের মত আর লোকজন হয় না। যাই হোক সেখানের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
একদিন সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসা
সুইচ গেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি আমার হাজবেন্ড , আর আমার মেয়ে । আমার হাজবেন্ড বেশ কিছুদিন শহরের বাইরে ছিল তাই আসার পর একদিন বলল , চলো আমরা সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসি । যদিও সে সহজে ঘুরতে নিয়ে যেতে চায় না কিন্তু এবার নিজে থেকেই নিয়ে যেতে চাইল । তাই আর দেরি না করে রাজি হয়ে গেলাম । সবাই মিলে এক বিকেলে ঘুরতে বের হলাম ।
যাওয়ার আগেই জানতে পেরেছিলাম সুইস গেটের পাশে নতুন আরেকটি সুইচ গেট হয়েছে । পুরনোটা নাকি বন্ধ করে দিয়ে নতুনটা চালু করা হবে । কিন্তু যেয়ে দেখি নতুনটা এখনো চালু করা হয়নি । সেই আগের পুরোনো টাই চালু রয়েছে । নতুন এই সুইচ গেটটি বেশ বড় করে ও সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে।
এই সুইচ গেটের পাশে দেখতে পেলাম একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে । আমার হাজবেন্ড আমাদেরকে ওই রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলো , আমরা ওখানে যাব কিনা ? কিন্তু রেস্টুরেন্ট টি দেখে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগলো না । তাই আর ওখানে যায়নি । পরে অবশ্য এর থেকে অনেক ভালো আরও একটি ভাসমান রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম । যেটি পদ্মা নদীতে বানানো হয়েছে । সেই গল্প আরেকদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
এটি হচ্ছে পূর্বের সেই পুরনো সুইচগেট । যেখানে অল্প কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে পানি দেখছে । আমরা ওখানে গেলাম পানি দেখার জন্য।
এটি হচ্ছে সুইচগেটের উল্টো পাশ । এপাশের পানি একদমই নীরব এবং শান্ত ।আর অপর পাশে প্রচুর পানি । যেটি দেখতে খুবই ভালো লাগে ।
এপাশে সুইচগেট খুলে দেওয়া হয়েছে । আর পানি তার নিজ গতিতে বয়ে চলেছে । সত্যি চমৎকার লাগছিল । দীর্ঘদিন পর এই সুইচগেটের পানি দেখে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আমরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করলাম ।
সেদিনকার আকাশটাও বেশ চমৎকার ছিল । যদিও বিকেল বেলা তারপরেও রোদ ছিল । দূরে দেখা যাচ্ছে জেলেরা মাছ ধরার জন্য জাল পেতে রেখেছে । চমৎকার দৃশ্য গুলি দেখতে বেশ ভালই লাগছিল ।
এটি হচ্ছে সুইচগেটের উল্টো পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ এই সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। সত্যি চমৎকার লাগছিল চারপাশের প্রকৃতি দেখতে। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আমি কখনো সুইচ গেট দেখিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সুইচ গেট দেখতে এবং এর সম্মন্ধে জানতে পেরেছি। আপনার হাসবেন্ড অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়েছে। সুইচগেটে অনেক পানি ত্থৈ থৈ করছে। নিশ্চয়ই কাছ থেকে দেখতে আরো সুন্দর লাগছিল। ছবিগুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন। আপনার ভাসমান রেস্টুরেন্টের লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি যেহেতু কখনো সুইচগেট দেখেননি তাহলে আপনার দেখলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগবে ।কারণ জায়গাটি অনেক ভালোলাগারই জায়গা ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
এর আগে রুপক ভাইয়ের পোস্টে পড়েছিলাম সুইচ গেটে আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা। সত্যি নতুন জায়গার মোড়কে চাপা পড়ে যায় এইরকম পুরাতন জায়গা গুলো। সুইচ গেট জায়গাটা বেশ দারুণ লাগছে। বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।।
ভাইয়া আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন ।
আসলেই সুইচ গেইট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় কি ভিড়টাই না হতো এই সুইচ গেটের আশেপাশে।আর নৌকায় চড়ার মজা। এখন তো একদমই ফাঁকা। আমিও গতবার যখন গিয়েছিলাম তখন একদম ফাঁকা পেয়েছি। হয়তো নতুনটা চালু হলে আবারও কিছুটা ভিড় হতে পারে । ছবিগুলো খুবই চমৎকার তুলেছেন। বিশেষ করে শান্ত পানির পাশটা খুব ভালো লাগছে দেখতে।
আমারও তাই মনে হয় নতুন সুইচ গেট চালু হলে লোক সমাগম বাড়তে পারে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন ।
আমাদের শহরে এরকম একটি সুইচগেট রয়েছে। চমৎকার ভাবে প্রত্যেকটি বিষয়ে বর্ণনা দিয়েছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো অনেক চমৎকার ছিল আপু।
ভাইয়া আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন।