নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো কয়েকদিন আগে ঘুরে এলাম নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট থেকে। আসলে কিছুদিন পর পর রেস্টুরেন্টে খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাই শহরের রেস্টুরেন্ট গুলোতে মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। তবে একেক দিন একেক রেস্টুরেন্টে যেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। যদিও এই রেস্টুরেন্টে এর আগেও কয়েক বার গিয়েছিলাম ।তবে এর আগে ফ্রাইড রাইস খেয়েছিলাম ।কিন্তু এবার খেতে গিয়েছিলাম মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি ।হঠাৎ করে কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছিল ।তাই হঠাৎ করে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম এই রেস্টুরেন্ট থেকে খাব ।কেননা এদের কাচ্চি বিরিয়ানিটা শহরে বেশ নামকরা। আর খেতেও বেশ টেস্টি।
নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে একদিন
আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দুপুরে যাব ।তাই দুপুরের গোসল সেরে রেডি হয়েই আমরা বেরিয়ে পড়লাম নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে। আমাদের বাসা থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই চলে যাওয়া যায়। কেননা খুব বেশি দূরে নয়। তবে অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলো যতটা কাছে এই রেস্টুরেন্টটি তার থেকে তুলনামূলকভাবে একটু দূরে ।শহরের একটু ব্যাক সাইডে রেস্টুরেন্ট টি অবস্থিত। তারপর আমরা রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম।
রেস্টুরেন্টে পৌঁছানোর পর দেখলাম রেস্টুরেন্টটিতে খুব একটা ভিড় নেই । বেশ ফাঁকাই ছিল ।তারপর ম্যেনু কার্ড দেখে আমরা খাবার অর্ডার করলাম ।যেহেতু আমরা আগেই থেকে ঠিক করেছি কাচ্চি বিরিয়ানি খাব তাই আমরা কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। আর মেয়ে যেহেতু কাচ্চি বিরিয়ানি খাবে না, সে ফ্রাইড রাইস খাবে ,তাই তার জন্য সেট মেনু অর্ডার করলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই তারা খাবারগুলো পরিবেশন করল। কেননা আগেই কাচ্চি বিরিয়ানি দিতে চেয়েছিল ,কেননা এটি ওদের রেডি থাকে। পাশে ওদের কাচ্চির হোটেল আছে ।তবে আমরা সবগুলো খাবার একসঙ্গে দিতে বললাম তাই একটু দেরি হলো।
সেট ম্যেনু তে অল্প কয়েক আইটেমের খাবার ছিল ।তাও মেয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল ।আর এদের খাবার তো বেশ ভালই হয়ে থাকে ।এর আগেও আমরা খেয়েছি। এদের খাবারটা ভীষণ টেস্টি। এদের সেট ম্যেনুতে ছিল চিকেন ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই ,ভেজিটেবল, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ,অনিয়ন রিং, চিকেন কারি, সালাদ ও ড্রিংকস।
আর মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি খেতেও খুবই মজার ছিল। যদিও আমাদের খাবারটা অনেক বেশি পরিমাণে ছিল। শেষ করে উঠতে পারিনি। এদের বিরিয়ানির সঙ্গে ছিল টিকিয়া ,ড্রিংকস। তবে সেদিন বেশ মজা করে খেয়েছি এবং বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। মাঝে মাঝে এরকম খেলে মন্দ হয় না। আশা করছি আপনাদের ও ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্ট এ নতুন নতুন খাবার খেতে ভালই লাগে। যদি পরিবারের সবাই বাহিরের খাবার পছন্দ করে।যেহেতু আপনারা বাহিরে খেতে সবাই পছন্দ করেন তাই বাহিরে খাবার খেতে যেতে পারেন । কিন্তু আমার বর বাহিরের খাবার খেতে তেমন পছন্দ করে না। তাই বাহিরে খুব কম খাওয়া হয়। গেলেও সেখানে কেবল আমার জনই আর্ডার দেই । সে খুব কমই খায়। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে। সুন্দর কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে সবাই মিলে বাহিরে খেতে পছন্দ না করলে বাইরে কম যাওয়ারই কথা ।কারণ একজন না খেলে একা একা খেতেও ভালো লাগে না ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার মাঝে কোন রকম ভালো লাগা কাজ করে সবসময়ই আর সেটা যদি নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনার মেয়ের সঙ্গে। এরকম রেসিপি দেখলে জিভে তো জল চলে আসে। যাইহোক আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন রেসিপিগুলো লোভ লাগার মতোই ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি বাইরে খেতে পছন্দ করেন তা জেনেছি।তাইতো কিছুদিন পর পর বাইরে গিয়ে পরিবারের সাথে গিয়ে খেয়ে আসেন।নতুন স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খেতে পরিবারের সাথে গেলেন।মেয়ে ফ্রাইড রাইস পছন্দ করে।তাই মেয়ের জন্য তা অর্ডার করলেন।খাবার সব একসাথে এলো। সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন সব সময়।
অজানা অচেনা একটি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে ধারণা পেলাম আপনার আজকের এই সুন্দর ব্লগের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি সেখানে খাওয়া-দাওয়ার দারুন মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিস্তারিত সুন্দরভাবে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন আজকের এই পোস্টে। খুবই ভাল লাগল ভালোলাগার মুহূর্তটা জানতে পেরে।
ভাইয়া মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ভালো থাকবেন।
আসলে মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে কিছু খাওয়া উচিত। কারণ প্রতিনিয়ত ঘরে রান্না খেতে খেতেও বোর হয়ে যায়। যাই হোক আপনারা দুপুরবেলায় নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি খেতে গিয়েছিলেন যেটা ভালো লাগলো। এবং সেখানকার খাবারের মান খুব ভালো জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া নিয়ে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেলে রুচিরও পরিবর্তন আসে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।