চিংড়ি কুমড়োর মজাদার রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে চিংড়ি কুমড়োর মজার রেসিপি।এই রেসিপিটি আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি।আমার মা এই রেসিপিটি খুবই সুন্দর করে রান্না করত।খেতে খুবই মজার হত।আমি অনেক দিন আগে এটি আমার মায়ের হাতে খেয়েছিলাম।আজ নিজে রান্না করেছি।খেতে মায়ের হাতের মত না হলেও বেশ ভালোই হয়েছিল।আপনারাও করে দেখতে পারেন।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি চিংড়ি কুমড়োর মজার রেসিপি।
চিংড়ি কুমড়োর মজাদার রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
চিংড়ি মাছ | পরিমাণমত |
কুমড়ো | পরিমাণমত |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ২ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে চিংড়ি গুলি দিয়ে দেই।
তারপর সামান্য একটু হলুদ লবণ দিয়ে চিংড়ি গুলো ভালো মত নেড়ে চেড়ে ভেজে নেই।
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরো একটু ভালো মতো ভেজে নেই।
তারপর সব বাটা মসলা দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে নেই।
তারপর সব গুঁড়ো মসলা ও লবণ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করি।
তারপর চিংড়িগুলো কষানো হয়ে গেলে কুমড়ো গুলো দিয়ে দেই।
তারপর কুমড়ো গুলো মশলার সঙ্গে ভালো মত নেড়ে চেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে রান্না করি।
তারপর কিছুক্ষণ রান্না করার পর কুমড়ো গুলো সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই।
তারপর ঝোলের জন্য বেশি পানি দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি ।তারপর জিরা গুঁড়ো দিয়ে দেই।
এভাবে আরও কিছুক্ষণ রান্না করার পর ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার চিংড়ি কুমড়োর মজার রেসিপি ।এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে ।আশা করছি আপনাদের আমার রেসিপি টি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আসলে চিংডি মাছ এমনিতেই আমার অনেক ভালো লাগে ৷ আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে কুমড়োর খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ মনে হয় খেতে খুবই মজার হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাইয়া এই তরকারিটি খেতে খুবই মজার হয়েছিল ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মানেই মজাদার একটা খাবার খুব চমৎকারভাবে আপনি চিংড়ি কুমড়োর একটা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন, তরকারির কালার টা কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন চিংড়ি মানেই মজাদার একটি খাবার। আর এই রেসিপিটি খেতেও বেশ ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি মাছ আমার খুবই ফেভারিট কিন্তু এই মাছটি খাওয়া আমার নিষেধ। কি আর করার আপনাদের রেসিপিগুলো দেখেই তাকিয়ে থাকি। আজকে কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল।
ইস ভাইয়া চিংড়ি আপনার ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও এটি খাওয়া নিষেধ জেনে খুবই খারাপ লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কুমড়ো দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।এই রেসিপি পরিবেশনার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপেধাপে উপস্থাপন ছিল অসাধারণ।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
চিংড়ি, আমার এক অন্যরকম দূর্বলতা।চিংড়ির তরকারি হোক বা ভর্তা আমার কাছে সবই হিট
খুব সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।উপস্থাপনা ভালো ছিল, শুভ কামনা রইলো।
চিংড়ি মাছের প্রতি আপনি বেশ দুর্বল জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই মাছটি খেতেও বেশ সুস্বাদু ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি। যদিও আমি চিংড়ি মাছ খেতে পছন্দ করি না কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। রেসিপি কালার কম্বিনেশন খুবই চমৎকার ছিল। যা দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা করে খেয়েছেন। আপনার ধাপগুলো দেখে যে কেউ খুবই সুন্দর ভাবে সহজে এই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে। সবার সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আপু এই প্রথম আমি আপনার কাছ থেকে শুনলাম আপনি চিংড়ি মাছ খেতে পছন্দ করেন না ।আসলে সবাইকে দেখেছি চিংড়ি মাছ পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার মায়ের কাছ থেকে খুবই মজাদার রেসিপি শিখেছেন। আজ সেই রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমরা শিখতে পারলাম। আমার কাছে কুমড়ো দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন রেসিপিটি খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ যা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন রেসিপি তৈরি করলে তা খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি দেখছি চিংড়ি দিয়ে কুমড়ো রান্না করেছেন। আপনার চিংড়ি মাছের এই মজাদার রেসিপিটি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। কুমড়ো দিয়ে এভাবে কখনো চিংড়ি মাছ রান্না খাওয়া হয়নি তাই একটু বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এরকম মজাদার রেসিপির জন্য।
ভাইয়া আপনি যেহেতু কখনো এভাবে চিংড়ি মাছ খেয়ে দেখেননি, আর আমার রেসিপিটি দেখেও আপনার লোভ লেগেছে তাহলে অবশ্যই এভাবে একবার খেয়ে দেখবেন। নিশ্চয়ই ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন আগে আপনি এই রেসিপিটি আপনার মায়ের হাতে খেয়ে ছিলেন অবশেষে আপনি এটা নিজে রান্না করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মায়ের হাতের রান্না সব সময় অনেক বেশি মজাদার হয়ে থাকে আপনার এই রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। চিংড়ি মাছ যদি কুমড়া দিয়ে রান্না করা হয় সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে সব সময়ই। এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু ।মায়ের কাছ থেকে শেখা রান্না বলে কথা ।স্বাদ তো হতেই হবে ।যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিংড়ি কুমড়ো খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে অনেকদিন ধরেই চিংড়ি কুমড়ো খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপির কালার টা অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনার কাছে যেহেতু এ তরকারি টি খেতে ভালো লাগে এবং অনেকদিন খান না তাহলে তাড়াতাড়ি একবার খেয়ে নিবেন। বেশ ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।