সত্যিকারের ভালোবাসা (পর্ব -১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।


বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে গল্প মানে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা । বাস্তবকে কেন্দ্র করেই গল্প গড়ে ওঠে। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাই হচ্ছে এক একটি গল্প। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি গল্পে ।



সত্যিকারের ভালোবাসা (পর্ব-১)


balloons-1046658_1280.jpg
Source

গ্রামের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে দোলা । বেশ হাসিখুশি চুপচাপ স্বভাবের একটি মেয়ে ছিল । ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করে সে। পড়ালেখায় মোটামুটি ছাত্রী ছিল। তবে সহপাঠী এবং পাড়ার মেয়েদের সঙ্গে তার খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল । বেশ হাসি খুশি ও খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তার জীবন কাটছিল । কিন্তু হঠাৎ করেই তার পরিবারের লোকজন তার বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র দেখতে শুরু করে । সে একেবারেই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না । কেননা কি বা বয়স হয়েছিল তার । তার সহপাঠীদের কারোরই তখনও বিয়ে হয়নি।


কিন্তু তার পরিবারের লোকজন তার কথা খুব একটা পাত্তা না দিয়েই বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে শুরু করলো । তারপর কয়েক দিনের মধ্যেই একটি পাত্র পক্ষ তাকে দেখতে আসলো । প্রথম দেখাতেই তাদের মেয়ে পছন্দ হলো । তারপর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হলো ।তারপর দোলা আর তার পরিবারের কাউকে কিছু না বলে সেও বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেল । অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার বিয়ে হয়ে গেল। ছেলে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতো । বাড়ির অবস্থাও বেশ ভালই ছিল।


বিয়ের পর দোলা তার শ্বশুরবাড়িতেই ছিল । সেখানে শশুর ,শাশুড়ি ,দেবর ,ননদ সবাই ছিল । তবে তার স্বামী চাকরি করত অন্য এক শহরে। প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করত বাড়িতে আসার জন্য । দোলার স্বামী দোলা কে ভীষণ ভালোবাসতো। কিছু দিন যাওয়ার পর দোলার স্বামী আর দোলা কে ছেড়ে থাকতে পারছিল না। বড্ড ভালোবাসত যে। দোলাও তার স্বামীকে অন্ধের মত ভালবাসত । কেননা ভালোবাসা কাকে বলে দোলা তার স্বামীর কাছ থেকেই শিখেছে । এভাবে যখন দুজন দুজন কে না দেখে থাকতে পারছিল না তখন দোলার স্বামী শহরে একটি বাসা নিল ।তারপর দোলা কে সেখানে নিয়ে গেল ।



শহরে যাবার পর দোলা তার নতুন সংসার একটু একটু করে গোছানো শুরু করলো । বেশ কিছুদিনের মধ্যেই সে তার সংসার পুরো সাজিয়ে ফেললো । তখন তাদের সুখের সংসার । দুজন বেশ হাসি আনন্দে তাদের দিন কাটাচ্ছিল । তাদের ভালোবাসা আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে গ্রামের লোকজন পর্যন্ত জানতো । দুজন দুজনকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসতো । কেউ কাউকে ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারতো না । এটা যেমন দোলার শশুর বাড়ির লোকজন জানতো , ঠিক তেমনি তার বাপের বাড়ির লোকজনও জানতো । এমনকি তার বান্ধবীরা ও বিষয়টি জানতো ।এভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে গেল । কিন্তু তাদের সংসারে কোন সন্তান আসছিল না ।

(চলবে)



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 last year 

দোলা প্রথমে বিয়েতে রাজি না হলেও পরে কিন্তু হাসবেন্ডকে ঠিকই ভালোবেসে ফেলেছে। আসলে ভালো মানুষকে কে না ভালোবাসে। তার হাজবেন্ডের ভালবাসায় তাকে ভালবাসতে বাধ্য করেছে। তাছাড়া দুজন দুজনকে এত ভালোবাসে দূরে থাকা কি যায়। এজন্যই তো তার হাজবেন্ড বাসা নিয়ে দোলা কেউ নিয়ে গেল। বেশ ভালই তো যাচ্ছিল দুজনের সংসার না জানি সামনে কি অপেক্ষা করছে। বেশ ভালো লিখছেন গল্পটি আপু।

 last year 

আপু গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করেছি সময় করে পড়ে নিবেন । ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দোলার মতো অনেক মেয়ে আছে গ্রামের বা শহরে যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অল্প বয়সে বাবা-মা বিয়ে দেওয়াটাই শ্রেয়। ছেলে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। তাদের মধ্যে ভালোবাসার খুবই সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শহরে গিয়ে আস্তে আস্তে তাদের সংসার সুন্দর মত গুছিয়ে নিয়েছে। এ পর্যন্ত আপনার লেখা গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বটি পাওয়ার আশায় অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ভাইয়া আপনার কাছে আমার গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন।

 last year 

তবে গ্রামে এরকম অনেক মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি আছে যেখানে তাদের মেয়েদের কথা বলার কোন সুযোগ থাকে না। যেমন দোলার পরিবারের কথা বলতেছি। আপনার প্রথম পোষ্টের মধ্যে বুঝতে পারলাম। দোলা বিয়ের পর থেকে তার স্বামীকে অনেক পছন্দ করে এবং অনেক ভালোবাসে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে তাদের ছেলে সন্তান এখনো হয়নি। তবে এখনো ফ্যামিলিতে অশান্তি দেখতে পারতেছি না। যাই হোক পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় আছি।

 last year 

আপু আমি বলেছি তাদের সন্তান হচ্ছে না, ছেলে সন্তানের কথা বলিনি । যাই হোক পরবর্তী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইল ধন্যবাদ।

 last year 

আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত মেয়েদের বিয়ের সময় তেমন মতামত নেয় না। দোলা মেয়েটি সবে মাত্র ক্লাস নাইনে পড়তেছে। এই বয়সে তার ফ্যামিলির তাকে বিয়ে দিলেন। তবে দোলা তার হাজবেন্ডকে অনেক পছন্দ করে । তার হাজবেন্ড তাকে অনেক পছন্দ করে। যদিও চার-পাঁচ বছর হয়ে গেল তাদের এখনো ছেলে সন্তান হয় নাই। তার হাজবেন্ড যেখানে চাকরি করে তাকে সেখানে বাসায় নিয়ে গেল। তবে আপনার পোষ্টের মধ্যে এখনো কোনো ঝামেলা দেখতেছি না। দেখি পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষায় রইলাম। গল্পটি পড়ে অনেক ভালই লাগলো।

 last year (edited)

ভাইয়া আমি গল্পে ছেলে সন্তানের কথা বলিনি ।বলেছিলাম তাদের কোন সন্তান হচ্ছে না । দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করেছি । ভালো লাগলে সময় করে পড়ে নেবেন । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62311.03
ETH 2443.26
USDT 1.00
SBD 2.69