রেসিপি তৈরি করেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে না পারার কষ্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এইতো কদিন আগে হয়ে গেল আমাদের মাছের চপের প্রতিযোগিতা। আমিও অংশ নেব এই আশায় ছিলাম। তবে প্রথম দিকে শরীর একটু খারাপ থাকার কারণে রেসিপিটি তৈরি করতে দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল নয় টায় সময় শেষ ছিল কিন্তু আমি বুধবার রেসিপিটি তৈরি করি। তারপর সন্ধ্যার সময় যখন রেসিপিটি লেখা প্রায় শেষ করে ফেলেছি মাত্র অল্প কিছু বাকি ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে মোবাইলের ডিসপ্লে চলে গেল। এতটা কষ্ট লেগেছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না। সত্যি আমি কল্পনাও করিনি এমনটা হবে।খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন রাতের বেলায় আর দোকানে সারাতে যেতে পারি নি । আমার পোস্ট লেখা প্রায় কমপ্লিট ছিল অল্প কিছু সময়ের জন্য শেষ হয়নি। আসলে ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হয় না।
এমনিতে কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড গরম ছিল। সেই গরমের মধ্যে রেসিপিটি তৈরি করলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। এটি কতটা কষ্টের অনেকেই হয়তো বুঝতে পারবেন। মাত্র অল্প কিছু সময়ের জন্য আমার পোস্টটি শেষ হলো না। এই পোস্টটির একটিমাত্র ছবি ছাড়া আমার কাছে আর কোন ছবি নেই। এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছিলাম সেটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারলাম না। আসলে যখন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তখন থেকেই চিন্তা করছিলাম আমিও অংশগ্রহণ করব। কিন্তু কি নিয়ে অংশগ্রহণ করব সেটা নিয়ে চিন্তা করতে করতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। তারপরেও শরীরটা বেশ খারাপ ছিল যার কারণে রেসিপিটি তৈরি করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ যখন ঠিকই তৈরি করলাম কিন্তু আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়ে উঠল না।
আসলে এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আর রেসিপি হলে তো কোন কথাই নেই। ভালোলাগার একটি প্রতিযোগিতা ছিল। আর মাছের চপ আমি এর আগে কখনো তৈরি করিনি। এ বারই প্রথম তৈরি করেছিলাম। খেতে এতটা সুস্বাদু হবে আমি চিন্তাও করিনি। খেতে কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছিল। মাছের চপ খেতে যে এতটা চমৎকার হয় সেটি নিজ হাতে তৈরি করে বুঝতে পারলাম। বাসার সবাই খেয়েও বেশ মজা পেয়েছে। যাই হোক আপনারাও হয়তো দেখে বুঝতে পারছেন এটি খেতে কতটা মজার হয়েছিল। এটি ছিল কাতলা মাছের চপ।
আসলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে যখন কোন কাজ করা হয় তারপর যখন সেটি বাস্তবায়িত না হয় তখন মনটা একেবারেই ভেঙে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছিল। আসলে অনেক সময় মানুষ যেটা চিন্তা করে হয় তার বিপরীত। তার পরেও সব কিছু নিজের নিয়মে চলতে থাকে। কারো জন্য কোন কিছু থেমে থাকে না। যাই হোক পরবর্তীতে হয়তো কোন একদিন আবারো রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। তবে এবারের ঘটনা থেকে আমি বেশ বুঝতে পারছি কোন কাজই সময় শেষ হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে করা ঠিক নয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগল। সত্যি এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা কখন কিভাবে আসে বুঝা মুশকিল। আসলে কোন উদ্দেশ্যে কিছু করা হলে, তারপর সেটা দিতে না পারলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে।কি আর করা ভাগ্যে যা আছে তার ওপর তো কারো হাত নেই। যাইহোক পরবর্তীতে আবারো আপনার রেসিপি দেখতে চাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপু আপনার কথা ভেবে আমারও খুবই খারাপ লাগছে। মাঝে মাঝে আমরা এমন কিছু পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি যেই সময় গুলোতে ভীষণ।খারাপ লাগে। হঠাৎ করে মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে চলে যাওয়াতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি জেনে খুবই খারাপ লাগছে। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপির ডেকোরেশন অসাধারণ হয়েছে। সম্পূর্ণ রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আপু এই রেসিপির সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার পুরনো মোবাইলে ছিলো। এর কোন ফটোগ্রাফি আমার নেই। আবার যদি কখনো এই রেসিপিটি তৈরি করি তখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে আমি হেডিং দেখে মনে করেছিলাম কারেন্ট না থাকায় পোস্ট দিতে পারেননি। পরে পড়ে দেখলাম মোবাইলের ডিসপ্লে নস্ট হয়ে গেছে। কোন উদ্দেশ্য যখন কোন কিছু করা হয় তখন তা পূরন নাহলে বেশ মন খারাপ হয়। আপনি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করতে পারেননি জেনে বেশ খারাপ লাগলো।
আসলে আপু প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হয়ে অংশগ্রহণ করতে না পেরে বেশ খারাপ লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই খারাপ লাগলো বিষয়টি শুনে, সত্যি অনাকাংখিত বিষয় মাঝে মাঝে হুট করে আমাদের সকল পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়। এই কষ্টটা আমি বেশ অনুভব করতে পারছি আপু, কারন এই রকম অনেকবার আমার সাথে হয়েছিলো, যদিও ফোন নষ্ট হয় নাই তবে সময় সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তবে রেসিপিটি কিন্তু দারুণ হয়েছে, একটা ফটো দেখেই জীবে জল চলে আসলো।
আসলে ভাইয়া এরকম ঘটনা ঘটলে সত্যি খুবই কষ্টের হয়ে থাকে। যাক তবুও আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন আপু কিন্তু কিন্তু আমাদের সাথে শেয়ার করতে না পারার কারণে আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে বুঝতে পারছি। আপনার মতো আমারও প্রায় একই অবস্থা আমিও এই প্রতিযোগিতায় রেসিপি তৈরি করেছিলাম কিন্তু সেটা শেয়ার করতে পারিনি। আমিও পরবর্তীতে কোন একদিন সম্পূর্ণ রেসিপিটি শেয়ার করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া আপনারও আমার মত অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগলো। তবে আমার তো মোবাইল নষ্ট হয়েছে আপনার কি হয়েছিল তা তো জানতে পারলাম না।যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম শেষের দিকে তৈরি করেছিলাম ভাবছিলাম যে কম মেম্বার অংশগ্রহণ করেছে তাই টাইম হয়তো বাড়াবে তাই পোস্ট করছিলাম না। কিন্তু পরে সবার অংশগ্রহণ দেখে আর টাইম বাড়াই নাই। এটা আমার নিজের ভুল।
অহ খুবই দু:খ জনক।
হুম আপু।
রেসিপি তৈরি করে পোস্ট লেখার একেবারে শেষের দিকে মোবাইলের ডিসপ্লে চলে গিয়েছিল, তখন যে আপনার কাছে কেমন লেগেছিল, সেটা আর বলে বুঝাতে হবে না আপু। আসলে আমাদের জীবনে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি চলে আসে, যার জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত থাকি না। দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন আপু। যাইহোক মন খারাপ করবেন না আপু। আশা করি সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
ভাইয়া আমার ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এধরনের ঘটনা বেশ কষ্ট দায়ক। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রতিযোগিতার জন্য রেসিপিটি তৈরি করেও আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেননি এটা দেখে সত্যি ভীষণ খারাপ লেগেছে। পোস্টটা প্রায় তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মোবাইলের ডিসপ্লে চলে গিয়েছিল হঠাৎ করে, তখন আর রাতের বেলায় ঠিক বানানোর জন্য যাননি। যার ফলে রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেননি। আপনার রেসিপিটা কিন্তু সত্যি খুবই ইউনিক ছিল। আর ডেকোরেশন টাও খুবই সুন্দরভাবে করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট ছিল। যদি অংশগ্রহণ করতেন তাহলে কিছু না কিছু তো অবশ্যই হতে পারতেন। ইচ্ছে করে কিছু একটা করলে তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তখন খুবই খারাপ লাগে। যাই হোক পরবর্তীতে আশা করছি রেসিপিটা শেয়ার করবেন আবারো তৈরি করে।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার কথা ভেবে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে আপু।।
এত মজার এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি প্রস্তুত করলেন এই গরমের মধ্যে এতটা কষ্ট করে। শেষ মুহূর্তে এসে ডিসপ্লে চলে যাওয়াতে শেয়ার করতে পারলেন না।।
সত্যি ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হয় না।।
তবে আপু রেসিপি র পরিবেশনের ফটোগ্রাফিটি দেখে কিন্তু লোভে পড়ে গেছি খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।
আমার রেসিপিটি দেখে আপনার লোভ লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি প্রতিযোগিতার জন্য রেসিপিটি তৈরি করেও চলে যাওয়ার জন্য শেয়ার করতে পারেননি, এটাকে শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু। অনেক সময় অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের সবাইকে। আপনার কাছে কি রকম লেগেছিল তা অনুভব করতে পারছি। কারণ এরকম সমস্যার সম্মুখীন আমিও হয়েছি। এমনিতেই আপনার রেসিপিটা কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল। সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি।
আপু এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আপনি হয়েছেন জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে এটা যার সঙ্গে হয় সেই বুঝতে পারে এটা কেমন কষ্টদায়ক। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি প্রতিযোগিতার জন্য এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে খারাপ হওয়ার কারণে আপনি পোস্টটি করতে পারেন নাই। সত্যি এরকম হলে আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগতো। আসলে কোন কিছু অধিক আগ্রহ নিয়ে করলে কোন কারণে তা সম্পূর্ণ না করতে পারলে এমনিতে অনেক খারাপ লাগে। জাগ দেরিতে হল আপনার রেসিপিটি আমরা দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এধরনের ঘটনা ঘটলে খুবই কষ্ট লাগে। সত্যি আমি এর জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।