ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্ব:১||১০%বেনিফিশিয়ারী আমার প্রিয় shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?সবাই খুবই ভালো আছেন তাইনা?আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজ আমি আমার একটি ভ্রমণ পর্ব আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।কিছুদিন আগে আমি ঢাকা বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি একদিন ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আজ আমি সেই চিড়িয়াখানার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।


ঢাকার চিড়িয়াখানাটি বিশাল একটি জায়গা নিয়ে গঠিত।সেখানে প্রতিটি প্রাণী দেখতে হলে প্রচুর হাঁটতে হয় । একটি থেকে আরেকটি প্রাণীর অবস্থান একটু দূরে দূরে।সবার চিড়িয়াখানায় প্রচুর এনার্জি নিয়ে যাওয়া দরকার।আমরা বেশ কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম।শেষের দিকে আমি আর হাঁটতে পারছিলাম না।হাঁটতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল।তবুও বিভিন্ন পশু পাখি দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম।আর কথা না বাড়িয়ে আমার চিড়িয়াখানা ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।

Polish_20211104_210334528.jpg

আমি চিড়িয়াখানায় বেশ কয়েক বছর আগে একবার গিয়েছিলাম ।তাই এবার আমার কাছে তেমন একটা আলাদা কিছু মনে হয়নি। কিন্তু আমার মেয়ে এই প্রথম চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করল ও খুব এক্সাইটেড ছিল ।আমি শুধু ওর আনন্দ দেখছিলাম।

ফটোগ্রাফি-১

20211011_154635.jpg

ফটোগ্রাফি-২

20211011_154613.jpg

গাড়ি থেকে নেমেই চিড়িয়াখানার নেমপ্লেট টি দেখতে পেলাম।দেখেই অন্য রকম ভালো লাগার একটা অনুভূতি হল।

ফটোগ্রাফি-৩

20211011_154602.jpg

এটি হচ্ছে চিড়িয়াখানায় প্রবেশের টিকেট কাউন্টার। এখানে প্রতিজনের টিকেট মূল্য ৫০ টাকা করে ।আমরা আমাদের সবার টিকিট গুলি কেটে নিলাম।

ফটোগ্রাফি-৪

20211011_125206.jpg

এটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার মানচিত্র। এই মানচিত্র দেখে আমাদের প্রতিটি জায়গা চিহ্নিত করতে সুবিধা হয়।

ফটোগ্রাফি-৫

20211011_125017.jpg

ফটোগ্রাফি-৬

20211011_124930.jpg

আমরা এখন চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করেছি। এখন প্রাণীগুলো দেখতে আমরা সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছি।

ফটোগ্রাফি-৭

20211011_125319.jpg

ফটোগ্রাফি-৮

20211011_125311.jpg

চিড়িয়াখানায় প্রথমেই আমরা যে প্রাণীটিকে দেখলাম সেটি হচ্ছে বানর ।বানরটি দেখতে খুবই কিউট ছিল ।অনেকগুলো ছোট বড় মাঝারি সাইজের বানর ছিল। একেকটা একেক রকমের কান্ড করছিল দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। অনেক খাবার দাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল এদের খাওয়ার জন্য। আমরা এদের খাওয়ানোর জন্য আগে থেকে বাদাম কিনে নিয়েছিলাম। সেগুলো এদেরকে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরা বাদাম ছিলে খুব সুন্দর করে খাচ্ছিল। দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো। আমার মেয়ে খুবই আনন্দ পাচ্ছিল এদের বাদাম খেতে দিয়ে।

ফটোগ্রাফি-৯

20211011_131913.jpg

ফটোগ্রাফি-১০

20211011_131918.jpg

ফটোগ্রাফি-১১

20211011_131939.jpg

এটি হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।বাঘটি অনেক দূরে ছিল ।দূর থেকে খুব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল না ।সেইজন্য ফটোগ্রাফিগুলো খুব একটা ভাল হয়নি ।এদেরকে অনেক নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়।
আমরা দেখলাম বাঘটিকে একটি জীবন্ত মুরগি দেয়া হলো ।মুরগিটি পালাচ্ছিল আর বাঘ শিকার করার জন্য এর পেছনে চুপি চুপি হাঁটছিল। মজার একটি দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।

ফটোগ্রাফি-১২

20211011_132344.jpg

ফটোগ্রাফি-১৩

20211011_132353.jpg

এটি হচ্ছে পশুর রাজা সিংহ। সিংহটি সাদা ছিল ।এটি মেয়ে সিংহ ছিল। অনেক দূরে থাকায় ছবিগুলো বেশি পরিষ্কার হয়নি । সিংহী টি দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলো।

ফটোগ্রাফি-১৪

20211011_130029.jpg

ফটোগ্রাফি-১৫

20211011_130054.jpg

এটি হচ্ছে মদনটাক ।দেখতে বেশ লম্বা ।পাদুটো সরু। দেখতে বেশ ভালই লাগে।

ফটোগ্রাফি-১৬

20211011_130144.jpg

ফটোগ্রাফি-১৭

20211011_130127.jpg

স্থান-লিংক

এটির নাম আমি ভুলে গিয়েছি। এটি দেখতেও বেশ সুন্দর ।অনেক মোটাসোটা লাগে দেখতে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি।কেমন লেগেছে আমার আজকের আয়োজন?মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোনো লেখা নিয়ে। আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার@wahidasuma
ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

Sort:  
 3 years ago 

আমি শুধু ওর আনন্দ দেখছিলাম।

এইটা একদম ঠিক বলেছেন আপু। সামনে যত সুন্দর বা নতুন জিনিষ ই থাকুক না কেনো। বাচ্চারা যখন অনেক খুশি হয় তার চেয়ে ভালো দৃশ্য আর হতেই পারেনা।অন্তত আমার কাছে এমনটাই মনে হয়।
শেষের পাখিটির নাম আমিও জানতাম। তবে আমিও আপনার মতো সেইম ভুলে গেছি।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

বন্য প্রানীকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য চিড়িয়াখানা বেস্ট। সেখানে নিজেকে সেফ জোনে রেখে হিংস্র প্রাণিদের সাথে মোলাকাত করা যায়।আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যা সত্যি প্রশংসনীয়। আর খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা।

 3 years ago 

ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ

 3 years ago 

আমি কখনো বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় যায়নি।তবে শুনেছি এটা এতো বড় যে সম্পূর্ণটা একদিনে ঘুরে দেখা সম্ভব না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।প্রায় সবরকম জীবজন্তুর ছবি তুলেছেন। বাঘটা দেখতে দারুণ লাগছিল।তবে শেষের পাখিটা সম্ভবত সারস হতে পারে কিন্তু আমি নিশ্চিত না। পোস্টটা অনেক সুন্দর ছিল।

 3 years ago 

সারস না ভাইয়া।কি যেন নাম ছিল ভুলে গিয়েছি।

 3 years ago 

😊😄

 3 years ago 

আমি বেশ কিছুদিন আগে একবার গেয়েছিলাম। আবার যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু করোনার জন্য যাওয়া হয় নি। আপনার চিড়িয়াখানার ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা আপনার জন্য।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

যদি এটি মেয়ে সিংহ হয় তাহলে আবার রাজা হয় কিভাবে? বলুন এটি প্রাণীদের রানি রানি.। যদিও ক্লিয়ার হয়নি দূর থেকে ছবি উঠাইছেন তারপরও ভালো হয়েছে।

সমস্ত ফটোগ্রাফি এবং আপনার বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে খুব ভালোই উপভোগ করেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানা।

 3 years ago 

হ্যা ঠিকই বলেছেন রানী।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

বাঘ দূর থেকে দেখাই ভাল কারণ কাছে আসলেই ভয় হাহাহাহা ।তবে খারাপ লাগে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানাগুলোতে আগের মতো ভালো লাগে না প্রতিটা পশুপাখি প্রাণীগুলোর প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত আমার মনে হয় না ঠিক তেমনি ভাবে যত্ন নেয় ।

আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর ছিল🙏🙏❤️❤️❤️❤️

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।ভালো থাকবেন।

 3 years ago 

সত্যি কথা বলতে ঢাকা চিড়িয়াখানায় এখনো আমার যাওয়া হয়নি তবে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে ভালো একটা ইনফরমেশন পেলাম সেটি হলো অনেক এনার্জি নিয়ে সেখানে যেতে হবে তাহলে হাঁটতে হাঁটতে আর কষ্ট করতে হবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।আপনার জন্য শুভ কামনা।

 3 years ago 

চিড়িয়াখানায় গেলে বেশ আনন্দ লাগে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীগুল দেখতে অনেক ভাল লাগে। আমিও যখন লাস্ট কলকাতার চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম তখন এইসব প্রাণী দেখেছিলাম । চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখীগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

 3 years ago 

হ্যা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সব প্রাণী একসঙ্গে দেখতে বেশ ভালোই লাগে।আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এইযে বাঘ এবং সিংস এদেরকে দেখে এখন মোটেও ভয় লাগলো না কিন্তু এইগুলা যদি খাঁচা ছাড়া সামনাসামনি আসলে কি হবে ওইটাই ভাবতেই তো গা হাত পা কেঁপে উঠতেছে। সব কিছুর মধ্যে আমার বেশি ভালো লাগছে বানরটা।

 3 years ago 

হ্যা ঠিকই বলেছেন ভাইয়া খোলা অবস্থায় প্রাণী গুলো সামনা সামনি এলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত।আর বানর সত্যিই অনেক মজার মজার কান্ড করে দেখতে ভালোই লাগে।

 3 years ago 

ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণের অনেক সুন্দর একটি মুহুর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আসলে আমার এখন পর্যন্ত ঢাকা চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করা হয় নি। তব একদিন যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি অনেক গুলো প্রাণী দেখতে পেলাম। বাঘ মামার হেঁটে চলার দৃশ্য টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর ভাবে চিড়িয়াখানা ভ্রমণের প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 💞

 3 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57340.70
ETH 3072.28
USDT 1.00
SBD 2.37