সবুজ প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভালো লাগার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে এসেছি । বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । আসলে গ্রামের প্রকৃতি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । তাই তো যখন গ্রামে যাই তখন গ্রামের প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করার চেষ্টা করি ।যার কারণে যেখানটায় বেশি গাছপালা সেখানে চলে যাই। আমার নানু বাড়িতে নদীর পারে চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। যেগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে । সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফিই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি
সাধারণত গ্রামে গেলেই বাঁশের ঝাড় দেখতে পাওয়া যায় । প্রতিটি গ্রামেই বাঁশের ঝাড় রয়েছে। আমার নানু বাড়ির এই জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ।দুই পাশে বাঁশ বন মাঝখান দিয়ে রাস্তা । কেমন যেন একটু ভুতুড়ে ভুতুড়ে ভাব আছে । দিনের বেলায় যদিও বেশ ভালো লাগে রাতের বেলায় মনে হয় ভীষণ ভয় লাগবে । যদিও রাতের বেলায় কখনও এখান দিয়ে যাওয়া হয়নি । নদীর পার হওয়াতে এখানে প্রচুর বাতাসও রয়েছে। এখানে বাসের একটি বেঞ্চ করা রয়েছে যেখানে সবাই মিলে বসে আনন্দ উপভোগ করা যায়।
নদীর পাড় দিয়ে এভাবে হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু বাঁশের বন দেখতে পাওয়া যায় । এটি আরো একটি বাঁশের বন । দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছিল । তাই তো ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের দেখানোর জন্য ।নিশ্চয়ই আপনাদেরও ভালো লেগেছে।
আর এ দুটি হচ্ছে তাল গাছের ফটোগ্রাফি । এখন গ্রামেও তালগাছ খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না ।তবে আমার নানুবাড়িতে বেশ কয়েকটি তালগাছ রয়েছে দেখলাম । যদিও আমার দাদা বাড়িতে তালগাছ দেখাই যায় না । এই গাছগুলো একটা সময় প্রচুর সারিসারি রাস্তার পাশ দিয়ে থাকতো । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। অনেকদিন পর তালগাছ দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
আর এদুটি হচ্ছে কলার মোচার ফটোগ্রাফি ।অনেকদিন পর কলার মোচা দেখলাম । অনেকেই এটি রান্না করে খেয়ে থাকে । যদিও আমি এটি কখনো রান্না করি খাইনি । নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এরকম আরো বেশ কিছু গাছ দেখতে পেলাম যেগুলো আজ আর শেয়ার করা হলো না । অন্য কোন একদিন হয়তো শেয়ার করব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন আপনি। আসলে গ্রামে গেলে বেশিরভাগ বাঁশঝাড় দেখা যায়। আপনার নানাদের এলাকার এই জায়গাটা আপনার অনেক বেশি পছন্দের এটা জেনে ভালোই লাগলো। আর এরকম জায়গাগুলোতে ঘোরাঘুরি করতেও খুব ভালো লাগে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখেও খুব ভালো লেগেছে। নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় আরো বেশ কিছু দৃশ্য উপভোগ করেছিলেন এবং ফটোগ্রাফি করেছিলেন। সেগুলো পরবর্তীতে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ, এই জায়গাগুলোতে ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে । তাই তো যখনই যাই তখনই এখান দিয়ে ঘুরে বেড়াই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতি আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাই তো যখন ইচ্ছা করে তখনই বেশিরভাগ সময় প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করার জন্য বেরিয়ে পড়ে। আপনার তাহলে আপনার নানুর বাড়ির এই জায়গাটা অনেক বেশি পছন্দের। আর ঘুরাঘুরি করার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন। বাঁশঝাড়ের ওখানে বিকেল বেলায় বসে থাকতে খুব ভালো লাগবে। আর আপনি কখনো কলার মোচা রান্না করে খেয়ে দেখেননি। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এটি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া বাঁশঝাড়ের ওখানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলাম । দারুন লাগে বসে থাকতে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে কমবেশী সকলেই ভালবাসে। আপনি নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বেশ আনন্দ করেছেন। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়িয়েছেন সাথে কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। ঠিক তাই আপু এখন আর তেমন ভাবে তাল গাছ দেখা যায় না গ্রামে গেলে। আর আপনি মোচা খাননি ! খেতে কিন্তু বেশ মজা। একদিন খাবেন ,আশাকরি ভালো লাগবে।। সুন্দর কিছু অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই এই মোচা গুলো কিভাবে রান্না করে সে টি আমার জানা নেই । যদি কখনো কেউ রান্না করে খাওয়ায় তাহলে খাব ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রাতের বেলায় বাঁশঝাড়ে এমনিতেই ভয়ের সৃষ্টি হয় ভূতকে কেন্দ্র করে। যাহোক, রাস্তা দুই পাশে বাঁশের ঝাড়ের সবুজ শ্যামল পরিবেশে কাটানো মুহূর্তটুকু বেশ আনন্দের হয়। আর এরকম সবুজ প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটালে সব সময় মানসিক শান্তি অনুভব করা সম্ভব হয়। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এরকম প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ালে মানসিক শান্তি অনুভব করা যায় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে গেলে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। কারণ এত সবুজ প্রকৃতি আর কোথাও দেখা যায় না। তাছাড়া নানু বাড়ির এই রাস্তাটা অনেকদিন পরে দেখলাম খুব ভালো লাগলো দেখে। অনেকদিন পর এই চেনা রাস্তাগুলো দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। তাছাড়া খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপু ছোটবেলায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনার পুরনো দিনের কথা মনে পড়েছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে পুরনো দিনগুলি সত্যি অনেক আনন্দের ছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।