ঈদের রাতের ঘোরাঘুরি🎆
ঈদ মোবারক
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে ঈদের রাতের ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে কোরবানির ঈদে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় সবাইকে । আমারও ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল ।সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি । শেষে সন্ধ্যার পরে যখন একটু ফ্রি হয়েছি তখন আমার হাজবেন্ড বলল চলো রিকশায় করে বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। তখন আমিও যেতে রাজি হয়ে গেলাম । তারপর আমি ,আমার মেয়ে ও হাসবেন্ড আমরা তিনজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম রিকশায় করে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ।
আসলে রাতের বেলা ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । আর রিক্সায় করে ঘুরার সে তো অন্যরকম মজা । যদিও আমরা ছোটবেলায় দিনের বেলায় রিকশায় করে ঘুরে বেড়াতাম ঈদের দিন । কিন্তু এখন আর সেই সময়টা হয় না । তাই সেদিন রাতের বেলায় বেরিয়ে পড়েছিলাম । আসলে রাতের বেলায় ঈদের দিন শহরের সরকারি ভবন গুলোতে লাইটিং করা থাকে, এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় লাইটিং করা থাকে যেগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে । একটা সময় ছিল যখন বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে ছেলেরা সাউন্ড বক্স বাজাতো , লাইটিং করা থাকতো সেগুলো বেশ উপভোগ করতাম । এখন সাউন্ড বক্স বাজানো নিষেধ থাকায় সে বিষয়টা বেশ মিস করি । তারপরেও রাতের বেলায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ অন্যরকম । সেই অনুভূতিই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঈদের রাতের ঘোরাঘুরি
এটি হচ্ছে আমাদের শহরের লেকপাড় এলাকা। রিকশায় করে ঘুরতে গেলে আমরা সাধারণত এই জায়গাটায় অবশ্যই যাই । এখানে দারুন একটি লেক রয়েছে। শহরের একমাত্র লেক বলা চলে । জায়গাটা ভীষণ চমৎকার । দিনের বেলায় বেশ ভালো বোঝা যায় । এখন যেহেতু রাতের বেলা লেকটি দেখা যাচ্ছে না । কিন্তু রাস্তার দুইপাশে গাছগুলোতে লাইটিং করা যেগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
এখান দিয়ে যাবার সময় রিক্সাওয়ালাকে থামতে বললাম ।লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আর কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য । তারপর দু এক মিনিট দাঁড়িয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি তুলে আবার চলতে শুরু করলাম। এখান থেকে আমরা গিয়েছিলাম সুইস গেট দেখতে । সেখানে যাবার পর দেখি পানির ভীষণ শব্দ ।সুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে পানি বেরিয়ে যাবার জন্য । তবে রাতের বেলায় অন্ধকার ছবিতে বোঝা যাচ্ছিল না তাই আর ফটোগ্রাফি করিনি।
এটি হচ্ছে আমাদের শহরের পৌরসভা । এটি বেশিরভাগ সময়ই লাইটিং করা থাকে । তবে বিশেষ বিশেষ অকেশন গুলোতে আরো বেশি লাইটিং করা থাকে দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগে।
আর এটি হচ্ছে জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স । এখান দিয়ে যাবার সময় ভাবলাম এরও একটি ফটোগ্রাফি করি যদিও এখানে লাইটিং করা ছিল না।
আর এটি হচ্ছে ফরিদপুর শহরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় । এটি এত চমৎকারভাবে লাইটিং করা ছিল যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায় । পুরো বিল্ডিং টি বিভিন্ন রঙের বাতিতে জ্বলজ্বল করছিল । দেখে মনে হচ্ছিল যেন সত্যিই আজ ঈদ । চমৎকার লেগেছিল এখান দিয়ে যাবার সময় ,তাইতো ফটোগ্রাফি না করে পারলাম না । এভাবে পুরো এক ঘণ্টা আমরা রিকশায় করে শহরের মেইন মেইন স্পট গুলোতে ঘুরে বেরিয়ে ছিলাম । বেশ ভালো লেগেছিল ঈদের রাতে ঘোরাঘুরি করতে। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার ঈদের রাতের ঘোরাঘুরি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
রিক্সাতে ঘুরার মধ্যে কিন্তু আলাদা একটা আনন্দ রয়েছে, আমার রিকশায় ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে অবস্থান বুঝে, সরকারি ভবন গুলো খুব সুন্দর ভাবে আলোকসজ্জা সাজিয়েছে।
হ্যাঁ ভাইয়া রিকশাতে ঘোরার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ অনুভব করি । তাইতো ঘুরতে এত বেশি ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার অন্তরের জন্য।
ঈদ মানে অনাবিল আনন্দ। ঈদের এই আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। ঈদের রাতে বেশ চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ঈদের রাতে ঘুরাঘুরি মুহূর্তগুলো সত্যি বেশ অসাধারণ। মনের আনন্দে কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছেন। আলোকসজ্জা রাতের পরিবেশ খুবই সুন্দর। ঈদের রাতের এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া ঈদের রাতের পরিবেশ সত্যি চমৎকার ছিল । সারা শহরে আলোক সজ্জা ছিল । দেখতে বেশ ভালো লাগছিল । তাই ঘুরে বেড়াতেও বেশ আনন্দ অনুভব করেছি । ধন্যবাদ।
আমি তো সব পরিবহনের চেয়ে রিক্সায় চলতে বেশ পছন্দ করি আপু। তবে আপনাদের ফরিদপুর শহর টি কিন্তু বেশ সুন্দর। আর পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আপনাদের ফরিদপু শহর। আর ঈদের দিনে এরকমের পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
আপু আপনার মত আমারও রিকশায় চড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে । আমাদের শহরটা মোটামুটি বেশ ভালো । তবে ঈদের রাতে বেশি সুন্দর করে সাজানোর কারণে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে সন্ধ্যা বেলায় রিকশায় ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে সত্যি ভালো লাগলো আপু। আসলে ঈদের দিন ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। আর নিজের কাজগুলো শেষ করাও মুশকিল হয়ে যায়। হয়তো ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিনটি কেটেছে সবার। আর আমার কেটেছে অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে। যাই হোক আপু ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আহারে আপু আপনার জন্য সত্যি ভীষণ মায়া লাগছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান ।অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আত্মীয়-স্বজন গ্রামে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় এসে একত্রিত হয়। আর তাদের সাথে সময় করে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা আলাদা। আজ আপনি আমাদের মাঝে ঈদের আনন্দে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। যেখানে রাত্রে আপনি ঘুরতে গিয়েছেন সেই বিষয়ে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার ঈদ উদযাপনের বিশেষ মুহূর্তের অনুভূতি দেখে।
আসলে সেদিন রাতে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি ভীষণ মজা লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।