মেলার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আবহাওয়াটা মোটামুটি ঠান্ডা হয়েছে। ভীষণ বাতাস, যদিও বৃষ্টির দেখা নেই। শুধু মেঘ ডেকে চলেছে ।তারপরেও আবহাওয়া বেশ চমৎকার ।দেশের প্রায় জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি ।যাই হোক আশা করছি খুব দ্রুতই আমাদের এখানেও বৃষ্টি হবে ।তো বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে মেলার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি ।মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরনের মজার মজার খাবার দেখতে পাওয়া যায়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেতেও ভীষণ ভালো লাগে ।সেরকমই মেলার কিছু মজার খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেলার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি
প্রথমেই যেই ফটোগ্রাফিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে ছোলা ভুনার ফটোগ্রাফি। এই মেঘলা মেঘলা দিনে ছোলা ভুনা খেতে সত্যিই ভীষণ মজার। যদিও যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখন মোটেই ওয়েদারটা ভালো ছিল না। একদম গরম আবহাওয়া ছিল, যার কারণে ছোলা ভুনা খাবার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ ছিল না ।তবে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল । দেখে মনে হচ্ছিল খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। এমনিতে ছোলা ভুনা খেতে বেশ ভালোই লাগে।
আর এটি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের ফলের মাখা।এই দোকানে হরেক রকমের ফল রয়েছে। যে যেটা খেতে চায় দোকানদার সেটাই বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে দেয়। যেটা খেতে খুবই মজার লাগে ।এ ধরনের জিনিস এর আগেও আমি খেয়েছি ।যেটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল ।এ দোকানগুলো থেকে এর আগে আমি কাঁচা আম মাখা, পেয়ারা মাখা এগুলো খেয়ে ছিলাম ।বেশ ভালো লেগেছিল। যদিও এবার কিছুই খাওয়া হয়ে ওঠেনি ।তবে এখানে বেশ কিছু ফলের মাখা দেখেছিলাম।
আর এগুলো হচ্ছে কটকটির দোকান ।মেলায় যাব আর কটকটি দেখব না তাই হয় নাকি। যে বারই মেলায় যাওয়া হয় না কেন সে বারই এই দোকান গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের কটকটি কেনা হয় ।যদিও এবার মেলা থেকে কটকটি কিনি নি ।কেন যেন একদম খোলা অবস্থায় দেখে কিনতে ইচ্ছে হলো না। তবে এগুলো খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। এই দোকানগুলোতে হরেক রকমের কটকটি থাকে। মিষ্টি, নোনতা, ঝাল যে যেটা পছন্দ করে।
আর এটি হচ্ছে বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি শরবতের দোকান। এ দোকানগুলো আমি মার্কেটের সামনেও দেখি। যদিও কখনো খেয়ে দেখা হয়নি ।আমার কাছে মনে হয় খেতে একটুও ভালো লাগবে না। যার কারণে কখনো খেয়ে দেখার চেষ্টা করিনি। তবে বিভিন্ন রকমের ফল দিয়ে এই শরবত তৈরি করে ।অনেকে দেখি বেশ আগ্রহ নিয়ে খায়। জানিনা কেমন লাগে খেতে।
আর এটি হচ্ছে কোন আইসক্রিমের ভ্যান গাড়ী। যখন ছোটবেলায় স্কুলে পড়তাম তখন স্কুলের সামনে এই কোন আইসক্রিম নিয়ে আইসক্রিম ওয়ালা দাঁড়িয়ে থাকতো ।তখন খাবার জন্য কি অস্থির না হতাম ।কিন্তু এখন বুঝতে পারি এটি খাওয়া একদমই ঠিক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো নোংরা জায়গায় নোংরা পানি দিয়ে তৈরি করে। তবে এই কোন আইসক্রিম গুলো কিন্তু ব্যাপক বিক্রি হয় ,বাচ্চারা বেশ আগ্রহ নিয়ে খায়।
আর এটি হচ্ছে পপকর্নের দোকান। পপকর্ণ গুলো খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আসার সময় কয়েক প্যাকেট কিনে এনেছিলাম ।আমার মেয়ে পপকর্ন খেতে বেশ ভালোবাসে। আমার কাছেও খুব একটা খারাপ লাগে না। যাইহোক আশা করছি আপনাদের কাছেও মেলার এই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে । মূলত এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি বেশ কিছুদিন আগে আমাদের এখানে জসীম মেলা থেকে তুলেছিলাম। মূলত যেকোনো মেলায় এই একই ধরনের খাবারগুলো দেখা যায় ।যা মেলার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে যুগের পর যুগ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | জসীম মেলা, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
খুবই চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। দুর্দান্ত হয়েছে প্রতিটা ফটো।খুবই নিখুঁত ভাবে প্রতিটা ফটো তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি মেলার কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেশের তাপমাত্রা যেহেতু এখন অনেকটাই কমে গেছে সেহেতো এই ঠান্ডা ঠান্ডা সময় ছোলা খেতেও খুব ভালো লাগে। আর আপনার কটকটির ফটোগ্রাফি দেখে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। যখন ছোট ছিলাম তখন এই কটকটি এবং ঝুড়ি মুরকি ছাড়া যেন মেলা চলতোই না। যাইহোক মেলার সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমার কটকটির ফটোগ্রাফি দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলার সব থেকে এই খাবারগুলো আমার বেশি ভালো লাগে। যদিও আমরা জানি এই খাবারগুলো খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয় তারপরও কিন্তু আমাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই খাবারগুলো। আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু অনেক সময় খাবার গুলো অস্বাস্থ্যকর জেনেও দেখে কিন্তু লোভ লেগে যায় ।তখন কিন্তু না খেয়ে পারি না ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু মেলায় গিয়ে মজার মজার খাবার গুলো দেখতে যেমন ভাল লাগে ঠিক তেমনি খেতেও ভীষণ স্বাদ লাগে। মেলায় যাব আর মজার মজার খাবার খাব না এমনটা কখনোই হয় না। যাইহোক আপু, আপনি মেলায় গিয়ে খুবই মজার মজার কিছু খাবারে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন মেলায় গিয়ে মজার খাবার গুলো দেখে না খেয়ে পারা যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখার মাধ্যমে মেলার ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক অনন্য চিত্র ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভাল লাগল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি আপনার এলাকার একটি মেলা থেকে বেশ কিছু খাবার ও খাবারের দোকানের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে মেলার মধ্যে ঘুরতে গেলে প্রায় সব ধরনের খাবারের দেখা পাওয়া যায়। আপনি মেলার মধ্যে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু দোকানের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে আপনার তোলা বেশিরভাগ ফটোগ্রাফী গ্ৰাম্য খাবার দোকানের।
ভাইয়া আমি যে খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি করেছি এগুলো মেলা থেকে তোলা। আর মেলা মানেই হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এই জন্যই তো আমাদের স্কুলের পাশে আমি আইসক্রিমের গাড়ি দাঁড়াতে দেই না। কেননা আমি বুঝতে পারি এই আইসক্রিমগুলো তৈরি হয় বেশিরভাগ সময় নোংরা পানি ব্যবহার করে। এটা সত্য কথা যে মেলাতে ভ্রমন করতে গেলে অনেক লোভনীয় লোভনীয় খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়।
হ্যাঁ ভাই আমরা সবাই জানি এই আইসক্রিমগুলো নোংরা পানি দিয়ে তৈরি করা হয় ।এগুলো বাচ্চাদের না খেতে দেওয়াই ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের ছোটবেলায় এই ধরনের আইসক্রিম ওয়ালাদের ঘিরে আমাদের একটা আবেগ কাজ করত। এখন তো প্রতিটা দোকানেই আইসক্রিম পাওয়া যায় । কিন্তু আমাদের সময় তেমনটা ছিল না। বৃষ্টির দিনে ছোলা ভুনা আসলেই ভালো লাগে। শরবত এবং বাদামের ফটোগ্রাফি টাও বেশ সুন্দর করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মেলায় গিয়ে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এদিকেও একই অবস্থা আপু। মেঘ ডাকছে কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। তবে আকাশটা বেশ মেঘলা। আর প্রকৃতিও অনেকটা ঠান্ডা। যাই হোক আপু দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেলায় গেলে ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে।
হ্যাঁ, আপু মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।মেলায় গেলে আসলে হরেক রকমের খাবার দেখা যায়। দেখলে লোভ ও লেগে যায়। তবে কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত হবে এটা ভেবে খাওয়া হয় না আসলে।তবে পপকর্ন আমার ও কোথাও গেলে কেনা হয়।গরম গরম পপকর্ন খেতে ভীষণ মজার।ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ভাবেই ক্যাপচার করেছেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু গরম গরম পপকর্ন খেতে বেশ ভালই লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।