ক্যাফে ম্যাংগো রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আসলে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রেস্টুরেন্টে খেতে তো খুবই মজার লাগে ।তাই আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খাবার জন্য। এতে প্রতিদিনের খাবারের একঘেয়েমি যেমন দূর হয় এবং বেশ ভালো একটি সময়ও কাটানো যায় ।এইতো কিছুদিন আগে আমাদের শহরের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সেই রেস্টুরেন্টের মুহূর্তেই মূলত শেয়ার করব। এই রেস্টুরেন্ট টি খুব একটা বড় নয়। খুবই অল্প জায়গার মধ্যে মোটামুটি ডেকোরেশন করা এবং খাবারগুলো মোটামুটি বেশ ভালই ছিল।
ক্যাফে ম্যাংগো রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত
তবে এই শীতের সময়ে সব সময় ঘরের মধ্যে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখা হয় ঠান্ডার কারণে। যার কারণে কি পরিমান ঠান্ডা বাইরে না বের হলে খুব একটা বোঝা যায় না। আমরা সেদিন বুঝতে পারিনি ঠান্ডাটা এত পরিমাণে ছিল। বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় কোন লোকজনই ছিল না। যেমন ঠান্ডা, রোদ ওঠেনি ,আবার বাতাসও ছিল । রিক্সায় করে যাওয়ার সময় খুবই ঠান্ডা লাগছিল ।তাই আমরা বাইরে বের হয়ে ভাবছিলাম এই ওয়েদারের মধ্যে রেস্টুরেন্ট খোলা পাব কিনা । কিন্তু রেস্টুরেন্টে পৌঁছানোর পর দেখলাম রেস্টুরেন্টটি খোলাই ছিল। তবে কাস্টমার ছিল একেবারেই কম ।পুরো ফাঁকা ছিল রেস্টুরেন্টটি দু-একজন ছাড়া। আসলে এরকম আবহাওয়া বুঝতে পারলে আমরাও সেদিন বাসা থেকে বের হতাম না ।কেননা বের হওয়ার মত কোন অবস্থাই ছিল না সেদিন।
আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয় রেস্টুরেন্টটি। আমরা দুপুরবেলায় মূলত গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে। আমি সব সময় দুপুর বেলায় যাবার চেষ্টা করি ।সেটা তো এর আগেও আপনাদেরকে বলেছি রান্নার ফাঁকিবাজি করার জন্য। যাই হোক সেদিনও আমরা সবাই মিলে রেডি হয়ে চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। সেখানে যাবার পর একটি জায়গা দেখে বসে আমাদের পছন্দমত সেট ম্যেনু অর্ডার করলাম।
আমরা প্রথমেই ওয়েটারকে জিজ্ঞাসা করলাম খাবার দিতে কেমন সময় লাগবে ।তখন তারা বলল যেহেতু এটাই প্রথম অর্ডার একটু সময় বেশি লাগবে। তখন বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে স্টার্টার হিসেবে থাই স্যুপ এবং অন্থন খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে গিয়েছিল। তার বেশ কিছু সময় পর মূল খাবারটি পরিবেশন করল। সেখানে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন কারি ,ভেজিটেবল, চিকেন ফ্রাই ও ড্রিংকস।
তবে খাবারটা বেশ ভালোই ছিল। স্যুপ টি খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। অন্থন টি খেতেও খারাপ ছিল না। কেননা এই রেস্টুরেন্টের খাবার মোটামুটি বেশ ভালই ।আমরা এর আগেও অনেকবার এখান থেকে খেয়েছি। মাঝে মাঝে এখানে আসা হয়। তবে খাবারের পরিমাণটা এবার বেশ কম লেগেছে । যাইহোক পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছিলাম সেদিন। এভাবে মাঝে মধ্যে হলে মন্দ হয় না কি বলেন আপনারা?
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু আমি জানি আপনি দুপুরে বাইরে খেতে বেশী পছন্দ করেন।কারন তাতে রান্নার ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়।আপনারা বাসার কাছেই একটি রেস্টুরেন্টে গেলেন।আর এই শীতে স্যুপ খেতে খুব ভালো লাগে। এই রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো ভালো বললেন।তবে তো বলবো রান্নার ঝামেলা থেকে ভালো ই খাওয়া-দাওয়া হলো।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
হ্যাঁ আপু রান্নার ঝামেলা থেকে বেঁচে সেদিন বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।