রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্টে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।



রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসা




বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি একদিন একটি রেস্টুরেন্টে ঘোরাঘুরিও খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে । এর আগের বিভিন্ন পোস্টে আমি উল্লেখ করেছি আমার কাছে বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে ভীষণ ভালো লাগে । তাই তো মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়ি বাইরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলিতে খাওয়া দাওয়ার জন্য । শহরে এখন ওলিতে গলিতে রেস্টুরেন্ট করে উঠেছে । অসংখ্য রেস্টুরেন্টে ভরে গিয়েছে , তার পরেও বেশ কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে যার সবগুলোতেই মোটামুটি আমার খাওয়া শেষ । তারপরেও আজ আমি রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্ট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ।যদিও এর আগে দু একবার এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছি ।আর আমার কাছে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে যেতে ভালো লাগে দুপুরবেলায় । তার কারণ হচ্ছে সেদিন রান্নার ঝামেলা থেকে আমি বেঁচে যাই । যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ঘুরে আসি রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্ট থেকে ।

20221112_152729.jpg

20221112_152710.jpg


রেস্টুরেন্ট টা মোটামুটি একটি ছোট আকারের রেস্টুরেন্ট । খুব বেশি এরিয়া নিয়ে এটি তৈরি নয় , অল্প স্পেস এর মধ্যে মোটামুটি বেশ ভালই ডেকোরেশন করে রেস্টুরেন্টটি তৈরি করা হয়েছে । বাইরের ডেকোরেশনটি মোটামুটি মানের ছিল ।

20221112_152655.jpg

20221112_143537.jpg

20221112_143535.jpg


আমরা রেস্টুরেন্টেতে পৌঁছলাম , তারপর ভালো একটি সিট দেখে আমরা সেখানে বসে পড়লাম । যখন আমরা রেস্টুরেন্টে পৌঁছাই তখন দুপুর আড়াই টা বাজে । বাসা থেকে বের হতে হতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল । ওখানে পৌঁছানোর পর আমার হাজবেন্ডের বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিল । তাই সে রেস্টুরেন্টের লোককে ডেকে ম্যেনু কার্ড এর একটি সেট ম্যেনু দেখিয়ে তাড়াতাড়ি দিতে বলল । বলল যে আমার খুব খিদে পেয়েছে একটু তাড়াতাড়ি হলে ভালো হয় । তারপর ওয়েটার ভাইয়া বলল বিশ মিনিটের মধ্যে খাবার এসে যাবে । তারপর আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম এবং গল্প করতে থাকলাম । দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর তারা স্যুপ দিয়ে গেল।

20221112_145355.jpg


আমরা যেই সেট ম্যেনুটা অর্ডার করেছিলাম বেশ ভাল ছিল সেটা । এদের তখন অফার চলছিল । প্রথমেই আমাদেরকে যে স্যুপটি দিয়ে গেল সেটি স্পেশাল চিকেন থাই চিকেন থাই স্যুপ ছিল । বেশ সুস্বাদু ছিল খেতে ।ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার কাছে । এদের সেট মেন্যুতে ছিল চিকেন থাই সুপ , ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই , সিজলিং ,ভেজিটেবল এবং ড্রিঙ্কস।

20221112_150047.jpg

20221112_150118.jpg


স্যুপ শেষ হতে না হতেই এরা বাকি খাবার গুলো সার্ভ করল । বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই দেখলাম এরা তাদের খাবারটি আমাদেরকে দিয়ে গেল । এদের খাবারটি বেশ সুস্বাদু ছিল প্রতিটি খাবারের টেস্ট আমার কাছে ভালো লেগেছিল । তবে এদের সিজলিং টি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল । সেট ম্যেনুর বাইরেও আমরা ভেজিটেবল ও ফ্রাইড রাইস এক্সট্রা অর্ডার করেছিলাম ।

20221112_150057.jpg

20221112_150051.jpg

20221112_150128.jpg

20221112_150145.jpg


তারপর ধীরে ধীরে গল্প করতে করতে আমরা খাবারগুলো শেষ করলাম । খাবার গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল । রেস্টুরেন্ট টি ছোট হলেও এদের খাবারের মান যথেষ্ট ভালো আর মূল্যও সাধ্যের মধ্যেই ।বেশ ভালই ছিল রেস্টুরেন্টটি ।তারপর শেষে ড্রিঙ্কস শেষ করে আমরা আমাদের বিল পরিশোধ ও টিপস দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০
লোকেশনরয়েল চিলিস রেস্টুরেন্ট, ফরিদপুর

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 2 years ago 

রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্টে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন যেদিন রেস্টুরেন্টে যাই তখন দুপুরবেলায় রান্না করার প্রয়োজন পড়ে না ।ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়। রেস্টুরেন্টের খাবারের মান তো দেখছি অনেক ভালো সবগুলো খাবার অনেক চমৎকার। আমার থাই সুপ বেশি পছন্দ হয়েছে ।ফ্রাইড রাইসের কালারও খুবই দারুণ । সবগুলো রান্নাই মজা হয়েছে নিশ্চয়ই।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু সবগুলো খাবারই বেশ সুস্বাদু ছিল। আর খেতেও বেশ ভালো ছিল।সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 
বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে আমার খুব ভাল লাগে। আর এদের মধ্যে চাইনিজ আর থাই খাবার আমার বেশি পছন্দ। রেস্টুরেন্ট খুব বেশি বড় না হলেও আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। খাবার দেখেও খুব ফ্রেশ লাগছে। সিজলিং আইটেম গুলো গরম খেতে কিন্তু বেশ মজার হয় । কিছু রেস্টুরেন্ট আছে সিজলিং আইটেমগুলো ফায়ার সহ সার্ভ করে। খাবারের ছবি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু
 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে সিজলিং গুলো ফায়ার সহই সার্ভ করে ।আমিও এর আগে একটি রেস্টুরেন্ট গিয়েছিলাম সেখানের এভাবে ফায়ার সহ সার্ভ করেছিল।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আমিও মাঝেমধ্যেই রান্নার ঝামেলার জন্য এরকম বাইরে বেরিয়ে পড়ি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। আপনি যে খাবারগুলো অর্ডার করেছেন সবগুলোই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। থাই স্যুপ খুব ভালো লাগে আমার কাছে খেতে। ভাইয়ার অনেক বেশি ক্ষুধা পেয়েছিল জন্যই মেন্যু দেখে সময় নষ্ট না করে সেট মেন্যু অর্ডার করে দিলেন। তাছাড়া খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ সুস্বাদু ছিল। খাবার আসতে আসতে নিজেদের মধ্যে গল্প করে সময় পার করলেন। সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে বাইরে খেলে রান্নার ঝামেলা বেশ আড়ানো যায়। আর খাবারগুলো কিন্তু বেশ সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

জি আপু ঠিকই বলেছেন দুপুরে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে রান্নার ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়।রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্টে আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।তাছাড়া তাদের খাবারের মান ভালো ছিল তাই আপনার ভালো লেগেছিল।এরকম ভালো রেস্টুরেন্ট গুলোতে যেতে বেশ ভালই লাগে।ধন্যবাদ ভালো লিখেছেন ব্লগটি।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এদের খাবারের মান বেশ ভালই ছিল। আমার কাছে বেশ সুস্বাদু লেগেছিল। এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলোতে গেলে ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

একদম পারফেক্ট কম্বিনেশন। আমার বন্ধু যেমন ঘোরাফেরা আর বাইরের খাবার পছন্দ করে আপনিও তেমনি। তাই মিলেছে ভালো। এই রেস্টেুরেন্টে এখনো যাওয়া হয়নি। জায়গা কম হলেও খাবার তো ভালোই মনে হল।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া আমার কাছেও ঘোরাঘুরি এবং বাইরের খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে। ভাইয়া আপনি যেহেতু এখানে এখনো যাননি তাহলে অবশ্যই একবার যেয়ে ঘুরে আসবেন ।খাবার কিন্তু খারাপ ছিল না, বেশ ভালই ছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপু আমারও বাইরে ঘোরাঘুরি করে খেয়ে আসতে অনেক ভালো লাগে।ঠিক বলছেন বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে ঘরের রান্না থেকে বেঁচে যাই😅।আপনার খাবারের ম্যানু দেখে তো আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।খাবারের ম্যানু দেখে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। আপনিও সময় করে বাইরে যেয়ে একদিন খেয়ে নিন।রান্নার ঝামেলা থেকে এক বেলা হলেও বেঁচে যাবেন হা হা হা। বাইরের খাবার খেতে ভীষণ মজা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্ট ছোট হলেও, ডেকোরেশন খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। খাবারের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, খাবারের মানও বেশ ভালো। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন ফ্রাই বেশি ইয়াম্মি হয়েছে খেতে। যাইহোক দেখেই বোঝা যাচ্ছে রয়েল চিলিস রেস্টুরেন্টে,খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া খাবার গুলো বেশ ভালই ছিল ।রেস্টুরেন্টটিও বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি । ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

রেস্টুরেন্ট ছোট হলেও ডেকোরেশন মোটামুটি ভালোই করেছে।আপনি যে খাবারগুলো অর্ডার করেছেন,এসব খাবারই আমার খুব পছন্দের।থাই স্যুপ খুবই ভাল লাগে। আর খাবারগুলোর ছবি দেখে মনেই হচ্ছে খাবারগুলো ফ্রেস।অনেক সুন্দর কিছু মুহুর্ত কাটিয়েছেন। আবার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ ভাল ছিল। আর সিজলিং টি খুবই চমৎকার ছিল ।খুব ভাল সময় কাটিয়েছি আমরা সেদিন ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আমার কাছে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে যেতে ভালো লাগে দুপুরবেলায় । তার কারণ হচ্ছে সেদিন রান্নার ঝামেলা থেকে আমি বেঁচে যাই ।

তাইতো বলি রেস্টুরেন্ট এত মেয়ে মানুষ যায় কেন। আজকে জানলাম আসল কারন। এই জন্যই হাসবেন্ডকে ভুলভাল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে যান। আপনার খাবার মেনু আর আইটেম দেখে ভালই লাগলো। বেশি তাকালাম না,পরে আবার পেট খারাপ করবে, হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ভাই আপনার মন্তব্যটি সত্যিই ভীষণ মজার ছিল। আসলে রেস্টুরেন্ট গুলোতে খেতেও যেমন মজা লাগে তেমনি একটু রান্নায় ফাঁকিবাজিও করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

রেস্টুরেন্টের নামের সঙ্গে ভেতরের আম্বিয়েন্সের বেশ মিল দেখতে পাচ্ছি।রেস্টুরেন্টে দেখতে অনেকটা স্পোর্টি টাইপের। ছেলেদের মনে হয় মেয়েদের তুলনায় বেশি পছন্দ হবে এই রেস্টুরেন্টটা।মানে যেন মনে হচ্ছে খেলা দেখার পরিবেশ। আর খাবার-দাবারের কোয়ালিটিও মনে হচ্ছে ভালোই হবে। বিশেষ করে বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নই মনে হল। স্যুপ সব সময় অ্যাপিটাইজারের কাজ করে। তাই যে কোন মেইন কোর্স শুরুর আগে, একটু স্যুপ খেয়ে নেওয়া বেশ ভালো। তাতে খিদেটা বাড়ে।আর এটা একদম ঠিক রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকতে কারোই ভালো লাগেনা। যত তাড়াতাড়ি খাবার সার্ভ করবে, সেটা সেই রেস্টুরেন্টের একটা প্লাস পয়েন্ট। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যা আপু আপনি ঠিক বলেছেন মেইন কোর্স শুরুর আগে স্যুপ খেয়ে নিলে খিদে টা একটু বাড়ে এটি আমার কাছেও মনে হয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68014.74
ETH 3533.72
USDT 1.00
SBD 2.81