আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে গত কয়েকদিন ধরে আমাদের জনজীবন বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । সবকিছুই যেন থমকে গিয়েছে হঠাৎ করেই । আমাদের জীবন যেন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে ।এর একমাত্র কারণ হচ্ছে একদিকে যেমন প্রচন্ড গরম অন্যদিকে তেমনি বিদ্যুতের বিপর্যয় । সবকিছু মিলিয়ে যেন আমাদের জীবন স্থবির একটা অবস্থার মধ্যে পড়ে রয়েছে । কোন কাজই ঠিকমতো করা যাচ্ছে না ।এর আগে এরকম গরম দেখেছি বলে আমার মনে হয় না । এ বারই প্রথম এরকম গরম আমরা সবাই মোকাবেলা করছি । শুধু গরম হলেও সহ্য করা যেত যদি বিদ্যুতের এরকম বিভ্রাট না দেখতে পেতাম । সত্যিই অসহনীয় একটা পর্যায়ে চলে এসেছে আমাদের এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। |
কয়েকদিন থেকেই বিদ্যুতের এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি । তবে গতকাল রাত্রে আমার কাছে মনে হয়েছে সব থেকে বেশি মাত্রার বিদ্যুৎ বিভ্রাট । প্রতি ৪০ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ গিয়েছে এসেছে এক ঘন্টার বেশি সময় পর । সারারাত ঘুমাতে পারিনি । এসি চলছিল তারপরেও এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার ফলে তাতে কাজ হচ্ছিল না । এত গরম লাগছিল যার কারণে সমস্ত রাত ঘুম হয়নি । আসলে রাতে ঘুম ভালো না হলে কোন কাজই ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না । সারাদিন টাই খারাপ যায় । আর দিনের বেলাও যে ঘুমানো যাবে তার কোন উপায় নেই। দিনের বেলাও প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে । সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণ সবাই নিরবে এটা সহ্য করে যাচ্ছে ।প্রতিবাদ করার একটা মানুষও নেই দেশে । |
আমার কাছে মনে হচ্ছে এই গরমে যতটা না আমরা কষ্ট পাচ্ছি তার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে আমাদের বাইরে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলো । প্রচণ্ড গরমে যেখানে ঘরের ভেতরে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে এই মানুষগুলোকে দুমুঠো ভাত জোগাড় করার জন্য বাইরে বের হতে হচ্ছে । যদিও এই গরমে তারাও খুব একটা কাজ পাচ্ছে না । আমার পরিচিত একজন শ্রমজীবী মানুষকে আমি চিনি যে কিনা প্রতিদিনই কাজ করে । একটি দিনও বসে থাকে না । তাকেও কাল প্রচণ্ড গরমে দেখলাম কাজ না পেয়ে রাস্তার ধারে একটি ছায়ায় বসে আছে ।চোখে মুখে ক্লান্তি ও চিন্তার ছাপ । কাজ না পেলে এই মানুষগুলো তাদের সংসার চালাবে কি করে । প্রতিকূল পরিবেশ এই মানুষগুলোকে সব থেকে বেশি ভোগায় । |
আমাদের মানুষের প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলার কারণে প্রকৃতিও আজ আমাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে । যার কারণে আবহাওয়ার এই অবস্থা । জানিনা কবে স্বস্তির বৃষ্টি দেখতে পাবো । প্রকৃতি আবার শীতল হয়ে উঠবে । তবে একটা মজার বিষয় হলো ছোটবেলায় যখন আমার দাদা বাড়িতে গ্রামে যেতাম, তখন দেখতাম বৃষ্টি না হলে গ্রামের মহিলা, বাচ্চারা সবাই মিলে বাইরে বের হতো এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাল ডাল সংগ্রহ করত এবং বৃষ্টির জন্য নাচ গান করতো । কয়েকদিনের মধ্যেই নাকি বৃষ্টি হত । যদিও এটি গ্রাম বাংলার প্রচলিত নিয়ম ছিল । জানিনা এর সত্যতা কতটুকু । তবে কালের বিবর্তনে এ গুলোও হারিয়ে গিয়েছে। |
যাইহোক এখন আমাদের সবার প্রত্যাশা একমাত্র বৃষ্টিই পারে এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে। তাছাড়া এভাবে চলতে থাকলে একটা পর্যায়ে আমাদের জনজীবন স্থবির হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। কেননা এরকম অসহনীয় গরম দিনের পর দিন সহ্য করা যায় যা। দিন দিন অসুস্থ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে । তাই এখন সকলেরই কাম্য একটু বৃষ্টি। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
VOTE@bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy