কুমড়ো ফুলের পাকোড়া||১০% বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় কমিউনিটি"আমার বাংলা ব্লগের"সকল বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।আমিও বেশ ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের জন্য খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি।আর সেটি হচ্ছে কুমড়ো ফুলের পাকোড়া।কুমড়ো ফুল খুবই পুষ্টিগুণ সম্মৃদ্ধ একটি খাবার।কুমড়ো ফুলে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এছাড়া কুমড়ো ফুল নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয়।তাছাড়া কুমড়ো ফুলে পর্যাপ্ত ভিটামিন 'এ' থাকায় এটি চোখের জন্য ও খুবই উপকারী।তাই কুমড়ো ফুল একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তেমনি অন্য দিকে এটি খেতেও খুবই সুস্বাদু।আমি কুমড়ো ফুল দিয়ে পাকোড়া তৈরি করবো।এটি খেতে খুবই মজাদার।তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের রেসিপি কুমড়ো ফুলের পাকোড়া।
কুমড়ো ফুলের পাকোড়া
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কুমড়ো ফুল | ৬পিছ |
মসুর ডাল | ১কাপ |
পেঁয়াজ বাটা | ২টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
বেসন | ৩টেবিল চামচ |
চালের গুঁড়া | ৩টেবিল চামচ |
ধনে পাতা | ২টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমান মতো |
প্রুস্তুতপ্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে এক কাপ মসুর ডাল এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর পাটায় বেটে নিয়েছি।
২য় ধাপ
তারপর কুমড়ো ফুলের নিচের দিকের অংশটা কেটে নিয়েছি ও ভেতরের রেনুটা ফেলে দিয়েছি।তারপর ফুলটা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
৩য় ধাপ
তারপর একটি বাটিতে ডাল বাটা নেই।তারপর তার মধ্যে পেঁয়াজ বাটা,আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দেই।
৪র্থ ধাপ
তারপর হলুদ,জিরা,লাল মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দেই।
৫ম ধাপ
তারপর বেসন , চালের গুঁড়া ও ধনে পাতা দিয়ে দেই।
৬ষ্ঠ ধাপ
তারপর মিশ্রণ টা সামান্য একটু পানি দিয়ে মাখিয়ে নেই।
৭ম ধাপ
তারপর ফুল গুলোকে ওই মিশ্রনের মধ্যে এপাশ ওপাশ মাখিয়ে নেই।
৮ম ধাপ
তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই।তেল গরম হলে পাকোড়া গুলি দিয়ে দেই।
৯ম ধাপ
পাকোড়া গুলি বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে নেই।
১০ম ধাপ
এখন গরম গরম পরিবেশন করি।এই পাকোড়া গুলি ভাতের সাথে খেতেও মজা লাগে।এভাবে করে দেখবেন ভালো লাগবে।
আজকের মত এই পর্যন্তই।এরপর আবার দেখা হবে নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে ধন্যবাদ।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
পাকোড়াগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই মুচমুচে হয়েছে দেখেই খেতে মন চাইছে। এই পাকোড়াগুলো খেতে খুবই মজা লাগে।খুব সুন্দর ভাবে তুমি রেসিপিটি উপস্থাপন করেছ।অনেক ধন্যবাদ মজার একটি খাবার শেয়ার করার জন্য।
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট, পাকোড়া আমি অনেক পছন্দ করি তবে কুমড়ো ফুলের পাকোড়া খাওয়া হয়নি কখনো বোন। একটি রেসিপি পোস্ট করতে মোটামুটি অনেক ভালো পরিশ্রম করতে হয় তা বোঝা যায় পোস্ট সম্পূর্ণ করার পরে৷ যাইহোক, কুমড়ো ফুলের পাকোড়া দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে, ইসস যদি খেতে পারতাম 🙂
আমিও এই প্রথম তৈরি করলাম ভাই।খেতে খুবই মজা লাগে।এর আগে অন্যের হাতের তৈরি করাটা খেয়েছি ।আজ নিজে তৈরি করলাম।হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন একটা রেসিপি পোস্ট করতে অনেক সময় লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে স্বাগতম বোন! যাক আলহামদুলিল্লাহ আপনার নতুন অভিজ্ঞতা। আপনার জন্য ভালোবাসা রইলো বোন ❤️
অনেক ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা।
❤️❤️
অসাধারণ রেসিপি আপি।।
এরকম রেসিপিটি এর আগে আমি কখনো দেখিনি আপি কুমড়ো ফুলের পাকোড়া। এটি আমার কাছে নতুন । তবে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খাওয়ার ইচ্ছে করছে ।।
সত্যি নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম আজ।
শুভ কামনা রইল আপি...❤️❤️🌷🌷
খেয়ে দেখবে ভাইয়া ভালো লাগবে।তোমার জন্য শুভকামনা।
হুম আপি অবশ্যই।🥰
আমার বাসায়ও এমন পাকোড়া বানায় মা।এগুলো মচমচে করে ভেজে নিলে সাথে গরম ভাত হলে আর কিছু লাগে না। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
হ্যা ঠিকই বলেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
কুমড়ো আমার কাছে ভালোই লাগে। কিন্তু কুমড়োর ফুল দিয়ে যে এতো সুন্দর পকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আগে জানতাম না। খুব সুন্দর রেসিপি আপু। এইরকম রেসিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে থাকুন। ধন্যবাদ।।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।ভালো থাকবেন।
খুবই সুস্বাদু এই খাবারটি।কুমড়ো ফুল এর বড়া আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার।কুমড়ো ফুল এবং মসুরের ডাল এর রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে আপু।ধাপে ধাপে বর্ণনা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনি।
আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার রেসিপিটি রান্না হাত ভালো। খুব সুন্দর ভাবে কুমড়া ফুলের বড়া রান্না করেছেন। খুবই সুস্বাদু রেসিপি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপু
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।আপনার জন্য শুভকামনা।
খুব সুন্দর হয়েছে আপু।এটি খেতে ভীষণ মজার।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।আপনার জন্য শুভকামনা।
কুমড়ো ফুলের পাকোড়া এই প্রথম দেখলাম। খেতেও ভাল হবে নিশ্চই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।তোমার জন্য শুভকামনা।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনি আমার সবথেকে প্রিয় একটি খাবারের রেসিপি করলেন। এটি আপনি আমাকে যতগুলি দেবেন এতো গুলো আমি খেতে পারবো। 😋😋😋😋
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ♥️
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।