নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একদিন একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি ।আসলে রেস্টুরেন্টে খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে, যেটি আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আসলে প্রতিদিন বাসায় রান্না খেতে খেতে মাঝে মাঝে মনে হয় বাইরের কিছু খাবার খাই। আর বাইরের খাবার গুলো আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে ।আর একটা সুবিধা হয় এক বেলা রান্না করার হাত থেকে আমি বেঁচে যাই। সেই দিন তেমনি হঠাৎ করে আমার হাসবেন্ড সকাল বেলায় বলছিল আজ রেস্টুরেন্টে খেতে যাবা নাকি? আমি তো শুনে রেডি ।আমি বললাম হ্যাঁ যাওয়া যায়। তখন সে বলল কোন রেস্টুরেন্টে যাব এবং কি খাব ?তখন আমি ভাবলাম সাধারণত সবসময় রেস্টুরেন্টগুলোতে যেয়ে চাইনিজ সেট ম্যেনু খাওয়া হয়। অনেক দিন মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া হয় না ।তাহলে আজকে কাচ্চি খাই। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করল সে কি খাবে ?মেয়ে আবার বিরিয়ানি খেতে চায় না সে চাইনিজ খাবার পছন্দ করে।তারপর ঠিক করলাম আমরা কাচ্চি খাব আর মেয়ে চাইনিজ সেট ম্যেনু খাবে।তাই যে রেস্টুরেন্টে দুইটাই পাওয়া যাবে সেখানেই যাব ঠিক করলাম।তারপর যথা সময়ে আমরা রেডি হয়ে চলে গেলাম নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে।


নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে একদিন


IMG20231008153854.jpg

IMG20231008153846.jpg

সাধারণত অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলো আমাদের বাসা থেকে যতটা কাছে এটি ততটা কাছে নয় একটু দূরে । তারপরেও যেতে খুব বেশি সময় লাগে না কিন্তু সেদিন রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে যেতে বেশ ভালো সময় লেগেছিল । তারপর রেস্টুরেন্টে আমরা যেয়ে পৌঁছালাম। সেদিন বেশ গরম ছিল রাস্তায় জ্যামে বেশ খারাপ লাগছিল। তবে রেস্টুরেন্টিতে পৌঁছানোর পর সব খারাপ লাগা শেষ হয়ে গেল। কেননা এখনকার সব রেস্টুরেন্ট গুলোতেই এসি থাকে।


IMG20231008144026.jpg

IMG20231008143908.jpg

রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর দেখলাম মোটামুটি বেশ ফাঁকাই আছে ।কেননা এটি শহর থেকে একটু ব্যাক সাইডে। যার কারণে লোকজন শহরের রেস্টুরেন্ট গুলোর তুলনায় এখানে একটু কম আসে। এই রেস্টুরেন্টে এর আগেও আমি একবার এসেছিলাম ।এদের খাবারের মানটা বেশ ভালো যার কারণে দ্বিতীয়বার আবার আসা । তারপর ওয়েটার এসে ম্যেনু কার্ড দিয়ে গেল ।ম্যে নু কার্ড দিয়ে দেওয়ার পর দেখলাম সেখানে রিজনেবল প্রাইসে বেশ কিছু ভালো খাবার ছিল । তখন আমার হাজবেন্ড বলল কাচ্চি আরেকদিন খেও, আজ চাইনিজ খাবার খাই । তখন আমিও বললাম ঠিক আছে ।তারপর আমরা অর্ডার করেছিলাম থাই ফ্রাইড রাইস, চিকেন সিজলিং, চিকেন চিলি অনিয়ন আর থাই ফ্রাইড চিকেন।


IMG20231008144033.jpg

রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র বেশ সুন্দর ।বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে ।যেহেতু আমাদের খাবার দিতে একটু দেরি হবে সেহেতু দেখলাম টিভিতে পুরনো দিনের হিন্দি গানগুলো হচ্ছে।সেগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে । তাই বসে বসে দেখছিলাম আর গল্প করছিলাম । সময়টা বেশ ভালই কাটছিল।


IMG20231008150453.jpg

IMG20231008150536.jpg

IMG20231008150742.jpg

IMG20231008150652.jpg

IMG20231008150445.jpg

কিছু সময়ের মধ্যেই আমাদের খাবার চলে এলো ।খাবারগুলো সত্যিই ভীষণ টেস্টি ছিল। তবে আমাদের তিনজনের তুলনায় খাবারটা অতিরিক্ত ছিল যার কারণে আমার খাবার শেষ করতে পারিনি । তবে প্রত্যেকটি খাবারই খুবই মজার ছিল। সবথেকে বেশি মজা লেগেছিল আমার কাছে চিকেন সিজলিং ।এদের ফ্রাইড রাইসের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে চিকেন ছিল। অন্যান্য ফ্রাইড রাইসে দেখা যায় চিকেনের পরিমাণ থাকেই না বলতে গেলে। কিন্তু এরা প্রচুর পরিমাণে চিকেন দিয়েছিল এবং খেতেও খুবই মজার ছিল ।এরকম ভালো মানের খাবার হলে সেই রেস্টুরেন্ট গুলোতে যাওয়ার আগ্রহ সবার বেশি থাকে ।পরবর্তীতে আবারো একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে এখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আমরা একটু নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম, সেটি আপনাদের সঙ্গে অন্য একদিন শেয়ার করব।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 9 months ago 

চিকেনের ফ্রাইড রাইস খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে বেশ সুন্দর মুহূর্ত বিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্ত গুলো অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 9 months ago 

নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন জেনে বেশ খুশি হলাম আপু। আমারও স্ত্রী বায়না ধরে রেস্টুরেন্টে যেতে। আমার ভালো লাগে তার সাথে চলে যায় মুহূর্তটা অনেক সুন্দর কাটে। ভাইয়া দেখছি বেশ সতেচন এই বিষয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া সুন্নত। খাবার গুলো দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে কি দারুন।

 9 months ago 

ভাইয়া আপনিও আপনার স্ত্রীকে নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরতে যান জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

আপনি বাইরের খাবার পছন্দ করেন সেটা জানি আপু।আর রেস্টুরেন্টটি খুবই সুন্দর ও নিরিবিলি বলে মনে হচ্ছে।খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল আর ভীষণ টেস্টি ছিল জেনে ভালো লাগলো।ঠিক বলেছেন আপু,ভালো মানের খাবারের প্রতি সকলের খাওয়ার চাহিদাও বেশি থাকে।দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি,ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। আর খাবার গুলো ভালো ছিল, খেতেও ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার দারুন একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই পোস্টের মধ্যে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটি পোস্ট। যেখানে লোভনীয় সব খাবারের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আর আপনার এই পোষ্টের মধ্য থেকে বেশ অজানা কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম।

 9 months ago 

ভাই আপনার কাছে আমার খাওয়া দাওয়ার অনুভূতি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

আপু আপনি দেখছি অনেক চালাক মানুষ মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে নিজের রান্নার কাছ থেকে বেঁচে যাওয়ার প্লান্টি দারুন । এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত আপনার রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বর্ণনা পড়ে ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান রান্নার কাছ থেকে কিছুটা হল মুক্তি দিবে।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া চালাকি করে সব সময় রেস্টুরেন্ট এ দুপুরবেলায় যাই। যাতে দুপুরের রান্নাটা করতে না হয় ।দুপুরে রান্নায়ই তো অনেক বেশি রান্না ঝামেলা থাকে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

জি মাঝে মাঝে বাইরে খেতে কার না ভালো লাগে, এই রেস্তোরাঁ ডেকোরেশনটা খুবই চমৎকার হয়েছে, বিশেষ করে উপরের ডেকোরেশনটা আমার কাছে খুব বেশি পছন্দ হয়েছে।

 9 months ago 

ভাইয়া আপনার কাছে রেস্টুরেন্টের উপরের ডেকোরেশন ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু। মাঝে মাঝে বাইরে খাবার খেলে একবেলা রান্নার হাত থেকে বাঁচা যায়। তবে রুচি পরিবর্তন করার জন্য মাঝে মাঝে বাইরে খেতে ভালই লাগে। আর এখন এতো রকমের খাবার পাওয়া যায় যে চয়েস করার সুযোগ থাকে। তবে আপনাদের পছন্দের চাইনিজ খাবার খেলেন বেশ মজা করে। বাইরে খাবার খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন বাইরের খাবার মাঝে মাঝে খেলে রুচির পরিবর্তন আসে ,যেটা সত্যি ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

দুপুর বেলা এরকম খাবারের প্রস্তাব পেলে আসলে ভালোই লাগে । আমার কাছে বেশি ভালো লাগে যে রান্না করা লাগবে না সেই খুশিতে । রেস্টুরেন্টে গেলে আমার কাছেও বিরিয়ানি খেতে ভালো লাগে না চাইনিজ খাবার গুলো বেশি ভালো লাগে খেতে । খাবারগুলো তো অনেক লোভনীয় লাগছে আমার তো দেখেই খেতে মন চাইছে ।ভালোই ছিল প্রত্যেকটা খাবার মনে হচ্ছে দেখেই ।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু খাবার গুলো খুবই টেস্টি ছিল।আপনি চাইনিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

আপু সব সময়ই দেখি একা একা খাওয়া দাওয়া করেন। যাক যা করেন তা ভালোই করেন। কিন্তু এত এত পছন্দের খাবার গুলো খেয়ে এসে যদি রিভিউ দেন তাহলে কেমন লাগে বলেন তো। আচ্ছা ওকে আমিও যাবো ঢাকার স্টার কাবাবে। তারপর সুন্দর করে রিভিউ দিবো কিন্তু। তখন দেখি কি বলেন। তবে কি আপু এমন করে মাঝে মাঝে বাহিরে খেতে যেয়ে কিন্তু ভালোই করেন এতে করে ফ্যামিলি বন্ডিং টা একটু বেশী হয়।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু আপনি ও খেয়ে এসে রিভিউ দিয়েন। দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

নিউ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন।আসলে মাঝে মধ্যে বাইরে খেলে নিজের ভেতরের বোরিং ফিল টা কমে যায় আর অনেক আনন্দও লাগে মনে। খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 9 months ago 

হ্যাঁ আপু আপনি একদম ঠিকই বলেছেন বাইরে গেলে মাঝে মাঝে বেশ ভালই লাগে। খাবারগুলো বেশ টেস্টিও ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63526.15
ETH 3387.82
USDT 1.00
SBD 2.56