বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করতে এসেছি আমার রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত নিয়ে ।রেস্টুরেন্টে যেতে আমার কাছে বরাবরই বেশ ভালো লাগে। মনে হয় যেন মাঝে মাঝেই রেস্টুরেন্টে যাই ।এর একটি কারণও আছে। তার কারণ হচ্ছে রেস্টুরেন্টে গেলে তো আর বাসায় রান্না করতে হয় না। রান্নায় ফাঁকি দেওয়ার ধান্দা আর কি। কিছুদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম দুপুরে খেতে।আমি রাতের বেলায় রেস্টুরেন্টে খুব একটা যেতে রাজি হই না। তার কারণ হচ্ছে দুপুরে রেস্টুরেন্টে গেলে আমার দিনের বেলায় রান্নাটা করা লাগলো না সেদিক দিয়ে বেঁচে গেলাম। সেদিনও তাই হঠাৎ করে রান্না করতে ইচ্ছা করলো না তাই চলে গেলাম দুপুরে রেস্টুরেন্টে খেতে। সেই মুহূর্তগুলিই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
আমাদের শহরে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সবগুলোতেই প্রায় যাওয়া শেষ ।এখন আর অল্প কিছু বাকি আছে। আমাদের শহরে প্রায় একই এলাকাতেই অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আছে। তবে এটি খুব একটা বড় নয় ।খুবই ছোট একটি রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টটিও রাস্তার সাইডেই ছিল |
অল্প কিছু জায়গা নিয়ে রেস্টুরেন্টটি তৈরি হলেও ভেতরের ডেকোরেশন বেশ ভালোই ছিল, খুব একটা খারাপ ছিল না ।এমনিতেই আমরা গিয়েছিলাম দুপুরবেলায়, তার ওপর ছিল প্রচন্ড গরম ।যাবার পরে ভাবলাম রেস্টুরেন্টে বেশ আরামদায়ক পরিবেশের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে। কিন্তু যাবার কিছুক্ষণ পরেই আকাশ মেঘলা হয়ে গেল ,বজ্রপাত শোনা যাচ্ছিল। তারপর গেল কারেন্ট চলে কিন্তু তারা বজ্রপাতের কারণে তাদের জেনারেটর ছাড়তে ভয় পাচ্ছিল। আবার জেনারেটর অন করলেও এসি চালাচ্ছিল না নষ্ট হয়ে যাবার ভয়ে। আবার এদের ফ্যানেরও ব্যবস্থা ছিল না। গরমে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। |
আমরা একটি সেট মেন্যু অর্ডার করেছিলাম। এদের সেট মেন্যু তে ছিল চিকেন চাওমিন, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, অন্থন, চিকেন মাসালা, চিকেন ভেজিটেবল এবং ড্রিঙ্ক। যেহেতু এদের রেস্টুরেন্টে প্রথম খেতে এসেছি তাই খাবারটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম । কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন খাবারটা দিল তখন দেখলাম এদের খাবারের টেস্ট বেশ ভালই আছে। আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু প্রথমে চিকেন চাওমিনটি খাবার পরে বাকিগুলো খুব একটা ভালো খেতে পারিনি। অল্প অল্প করে সবগুলো একটু একটু খেয়েছি। তবে এদের খাবারটা বেশ ভালই লেগেছে ।সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালই লেগেছিল ,যদি মাঝখানে কারেন্ট না যেত তাহলে মুহূর্তগুলো বেশ ভালো কাটত। তার পরেও আলহামদুলিল্লাহ। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতে আমারও ভালো লাগে।আপু ঠিক বলেছেন রেস্টুরেন্টে গেলে রান্নায় ফাকি দেওয়া যায়।ভালো ছিলো রেস্টুরেন্টে টা।খাবার গুলো ও বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো বেশ লোভনীয় লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে খাবারগুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার কথা রেস্টুরেন্টে খেতে ভয় পাই এখন খুব। গেলেও অল্প আর হালকা করে খাই। গরম সহ্য করে তারপর যে ভালো মানের খাবার পেয়েছেন এটাই অনেক ভালো লাগলো। ছোট হলেও খুব সুন্দর সাজানো গোছানো ছিল রেস্টুরেন্টের চারদিকটা।
আপনার কাছে রেস্টুরেন্টে চারপাশ টা ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আর আপনি ঠিকই বলেছেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া একটু সমস্যাই। এ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে প্ল্যান করার মজাই আলাদা। খুব সুন্দর ছিলো রেস্টুরেন্ট টি,ছোটো জায়গার মধ্যে হলেও ডেকোরেশন বেশ সুন্দর। ঠিক যেভাবে আপনি আপনার পোস্টটি সুন্দর করেছেন, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো। খুব সুন্দর করে আপনি পোস্টটি সাজিয়েছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার কাছে আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে এবং রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি তো সপ্তাহে একবার হলেও গিয়ে থাকি। আপনি তো দেখছি রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক খাওয়া-দাওয়া করলেন। আপনার এই পোস্ট আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি সপ্তাহে একবার রেস্টুরেন্টে যান জেনে বেশ ভাল লাগল। এভাবে রেস্টুরেন্টে যেতে আমার কাছেও বেশ ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দিনের বেলায় রেস্টুরেন্টে গেলে রান্না করা লাগে না এজন্য দিনের বেলায় যান বিষয়টি কিন্তু বেশ দারুণ ছিল। শুনে আমার বেশ হাসি এসেছে হা হা। যাইহোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং যে উদ্দেশ্যে যাওয়া সেটা বেশ ভালোভাবে পূর্ণ হয়েছে। যাইহোক সবমিলিয়ে দারুণ ছিল পোস্ট টা।
ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে আপনি মজা পেয়েছেন জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছে ।ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেস্টুরেন্টে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার রেস্টুরেন্টে কাটানো এই মুহূর্তটা স্মৃতির পাতায় অবশ্যই থেকে যাবে অনেকদিন তবে আশা করব খুবই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এই সময়টায়। আর এই আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।এভাবেই সুন্দর মন্তব্য নিয়ে পাশে থাকবেন আশা করছি ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
রেস্টুরেন্টে এর ডেকোরেশনটা সুন্দর ছিল। আসলে বাহিরে বের হয়ে এইরকম খাওয়া আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ফ্রাইড রাইস টা দেখে জিহ্বা পানি চলে এসেছে আপু। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
আমার রেস্টুরেন্টের খাবার দেখে আপনার জিব্বা দিয়ে পানি চলে এসেছেন সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া ।আসলে ভালো খাবার গুলো দেখলে এমনিতেই খেতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।