আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে এসেছি। আর সেটি হচ্ছে ঝিঙে ও আলু দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি ।এখন গ্রীষ্মকাল । এখন সব জায়গায় প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে হালকা ঝোল খেতে বেশ ভালো লাগে। এই গরমে ভাজা ভুনার থেকে পাতলা ঝোল জাতীয় যে কোন তরকারি এক টুকরো লেবু দিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে ।এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই যখনই ঝিঙে ওঠা শুরু করে তখনই আমি ঝিঙে দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল করি। এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু । আপনারাও এভাবে রান্না করে দেখতে পারেন ।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করছি আমার আজকের রেসিপি ঝিঙে ও আলু দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি। |
উপকরণ | পরিমান |
টেংরা মাছ | ১০/১২টি |
আলু | ২ টি |
ঝিঙে | ২টি |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণমত |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে একটি কড়াইয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই। পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজা হলে সব বাটা মসলা ও সব গুঁড়ো মসলা, লবণ দিয়ে দেই। |
ধাপ-২
তারপর মশলাটা ভালোমতো নেড়েচেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে মসলা টা কষিয়ে নেই। |
ধাপ-৩
তারপর মাছগুলি দিয়ে ভালোমতো নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নেই। |
ধাপ-৪
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে মাছগুলি কষিয়ে নেই। |
ধাপ-৫
তারপর মাছ গুলি একটি বাটিতে তুলে রাখি।এখন ওই মসলার মধ্যে ঝিঙে ও আলু দিয়ে দেই । |
ধাপ-৬
তারপর ঝিঙে আলু মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি। |
ধাপ-৭
তারপর সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে মাছগুলি দিয়ে দেই। |
ধাপ-৮
তারপর ঝোলের জন্য বেশি পানি ও কাঁচামরিচ দিয়ে দেই। |
ধাপ-৯
তারপর ধনিয়া পাতা ও জিরার গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করি। |
ধাপ-১০
ব্যাস এভাবেই হয়ে গেল আমার ঝিঙে আলু দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি ।এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে ।আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপি টি ভালো লেগেছে। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
ঝিঙ্গে আলু দিয়ে টেংরা মাছের অসম্ভব মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টেংরা মাছ দিয়ে কখনো ঝিঙ্গে খাওয়া হয়নি। আপনি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপু। ঝিঙ্গে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ঝিঙ্গের মজাদার রেসিপি টা আমাকে মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনি একবার অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ।খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছ আমার খুব প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে টেংরা মাছ রান্না করেছেন। দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আসলে আপনার রান্নার ধাপসমূহ দুর্দান্ত হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত অসাধারন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাই আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য পড়ে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি। এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন।
আপু,টেংরা মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এই টেংরা মাছের সাথে ঝিঙে আলু দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। কালারটা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এরকম সুস্বাদু রেসিপি পেলে গরম গরম ভাতের সাথে খেলে খুবই ভালো লাগত। আপনার রন্ধনপ্রণালীর উপস্থাপনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া টেংরা মাছ আপনার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
গরম হোক কিংবা ঠান্ডা যেকোনো সময় ঝোল তরকারির সাথে লেবু চিপে খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আর টেংরা মাছ এভাবে ঝোল করে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদুও হয়। টেংরা মাছ আমি এর আগে আলু দিয়ে ঝোল করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো ঝিঙ্গে দিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে এই রেসিপিটি। আমি অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাই আপনি অবশ্যই রেসিপি টি একবার ট্রাই করে দেখবেন ।খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঝিঙে আমার খুব পছন্দ। আমি নিজের গাছ থেকে ঝিঙে তুলে এনে রান্না করি।ঝিঙ্গা রেসিপি দেখে আমার লোভ সামলাতে পারছিনা। তার মধ্যে আপনি টেংরা মাছ মিক্স করেছেন সাথে টেংরা মাছের স্বাদ অন্যরকম অনেক বেশি মজা হয়েছে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রান্না করে দেখিয়েছেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার নিজের ঝিঙে গাছ আছে এবং সেখান থেকে নিয়ে রান্না করেন জেনে বেশ ভাল লাগল ।নিজের গাছের সবজির স্বাদই আলাদা ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
টেংরা মাছের পাতলা ঝোল হাপুস হুপুস খাওয়া। আমার কাছে টেংড়া মাছ ভাল লাগে। তবে টমেটো দিয়ে রান্না করলে বেশী ভাল লাগে।তাছাড়া রেসিপির বর্ননাও সুন্দর হয়েছে। ভাল থাকবেন আপু। শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন টমেটো দিয়ে রান্না করলে আরও বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঝিঙে ও আলু দিয়ে টেংরা মাছ খুবিই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করছেন। ঝিঙে সবজি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।তবে আজকে দুঃখের ব্যাপার ছিল ঝিঙে কিনতে গিয়ে ভালো গুলো নিয়ে আসতে পারিনায় সব বুড়ো হয়ে গেছে।ধন্যবাদ আপু মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এখনকার ঝিঙেগুলো প্রায় বেশির ভাগই বুড়ো হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
ঝিঙ্গে ও আলু দিয়ে টেংরা মাছ খেতে ভালোই লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ঝিঙ্গে এবং আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি প্রস্তুত করেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন তরকারি টি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।
ঝিঙে ও আলু দিয়ে টেংরা মাছ রান্না খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনার ধারনা টি ঠিক তরকারিটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু টেংরা মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ঝিঙে দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে আমি এভাবে কখনো রান্না করিনি। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপি কালার টি খুবি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
আপু আপনি এভাবে যেহেতু কখনো খাননি। তাহলে অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবেন ।কেননা এভাবে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে।