🔷🔶ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব🔷🔶
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও বেশ ভালো আছি।
ঘুড়ি ওড়ানো বাঙালী ঐতিহ্যের সাথে বহু প্রাচীন কাল থেকে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বাঙ্গালীর শৈশব কৈশোর মানেই ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ি শব্দটি সবার কাছেই খুবই পরিচিত।একটা সময় ঘুড়ি শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত ছিলাম।গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে ঘুড়ি। কিন্তু বর্তমানে আমরা যান্ত্রিক সভ্যতায় পৌঁছে গেছি। এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঘুড়ি আজ কিছুটা বিলুপ্তির পথে।
বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এখনকার ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোনে এত বেশি আসক্ত যে তারা ঘুড়ি ওড়ানোর সময় পায়না। সারাক্ষণ তারা মোবাইলে গেমস, টিকটক ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।ঘুড়ি ওড়ানোর সময় কৈ তাদের ।
কিন্তু একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার ছেলেরা দল বেঁধে ঘুড়ি উড়াতো।কার ঘুড়ি কতক্ষণ টিকবে এই চিন্তায় বন্ধুরা সবাই মিলে খুবই আনন্দঘন সময় পার করত।কিন্তু এখন এটা আর খুব বেশি দেখা যায় না।গ্রামেই খুব বেশি দেখা যায় না ,আর শহরে তো চিন্তাই করা যায় না।
কিন্তু ঘুড়ি ও ফানুস ওড়ানোর মাঝে যে কত আনন্দ লুকিয়ে আছে তা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তারাই ভালো বলতে পারবে।
কিন্তু এই যুগে এসেও আমার শহরের কিছু সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব তাদের হৃদয়ে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কে লালন করে আছেন।যার ফলে তাদের উদ্যোগে প্রতি বছর ১লা জানুয়ারিতে আমাদের শহরের পদ্মা নদীর তীরে এই ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়।এ বছর যদিও করোনা কালীন সময় ছিল তবুও তারা তাদের দেশীয় ঐতিহ্য কে ভুলতে চান নি।এ বছর ও আয়োজন করা হয়েছিল ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব।
এখানেই প্রতি বছর ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব পালন করা হয়।এটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী জায়গা। আসলে পদ্মা নদীর চড় জেগে এই বিস্তীর্ণ মাঠের সৃষ্টি হয়েছে।সমস্ত মাঠ ধূধূ বালি আর বালি।প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এটি আবার পানিতে ভোরে ওঠে।
উৎসব টি উদ্বোধন করা হচ্ছে ,আর সবাই কে এক সঙ্গে ঘুড়ি উড়াতে বলা হচ্ছে ।
শুরু হয়ে গেল ঘুড়ি ওড়ানো।আর আমরা যারা দর্শক ছিলাম তারা দূর থেকে ঘুড়ি ওড়ানো দেখছিলাম।সমস্ত আকাশ জুড়ে ঘুড়ি উড়ছে খুবই মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য।কারো ঘুড়ি বড়, কারো ছোট, বিভিন্ন ডিজাইনের রং বেরঙের ঘুড়ি উড়তে লাগলো।
সব গুলি ছবির-লিংক
ছোট ছোট বাচ্চারা খুবই উপভোগ করছিল ঘুড়ি উড়ানো ।যারা আগে কখনো দেখে নি,তারা তো খুবই মজা পাচ্ছিলো।
এখানে বিভিন্ন খাবার জিনিস ও পাওয়া যাচ্ছিল।চটপটি, ফুসকা,বাদাম,পাপর ভাজা আরো অনেক কিছু।
এখানে অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা নিজেরা রং বেরঙের ঘুড়ি বানিয়ে,সেটা আবার সুতোর সাথে বাঁধছিলো ।অনেক সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল এই ঘুড়ি উৎসবে।যাদের ঘুড়ি সুন্দর হয়েছে তাদের ভিতর থেকে পুরস্কার ও দেয়া হয়েছিল।
অবশেষে সন্ধ্যার পর ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎসব টি শেষ হয়।ফানুসের প্রদীপের আলোতে সমস্ত আকাশ আলোকিত হয়ে উঠে।বিমুগ্ধ হয়ে দেখতে দেখতে আমার ছবি তোলা হয় নি ।তাই শেয়ার করতে পারলাম না।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।আশা করছি সবার কাছে ভালো লেগেছে।আজকের মত এই পর্যন্তই।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
ধন্যবাদ
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
বাহ খুবই সুন্দর, অনেক ভালো লাগলো ব্লগটি
পড়ে, শুভকামনা রইল।
আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে,আপু।
আপনার পোষ্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।সাদা কাগজে ভাতের ফ্যান কিংবা আটা লাগিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে উড়াতাম আকাশে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য।
আমিও একবারে এরকম ঘুড়ি উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলাম,সেটা ছিল কক্সবাজারে ।যাইহোক ভাল লিখেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ,সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি পড়েছেন।
উফ! ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। খুব মজা করতাম আমি, কাঁচের গ্লাশ গুড়ো করে, কাচা গাবের কষ নিয়ে সুতোয় মাঞ্জা দিতাম। সেই আনন্দ হতো তখন ঘুড়ি নিয়ে। আমি অবশ্য নিজে বাড়ীতে বসে ঘুড়ি বানাতাম। একদিন শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
আপনি তো তাহলে ঘুড়ি ওড়ানোতে খুবই দক্ষ ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি জীবনেও ঘুড়ি ওড়াই নি।ঘুড়ি উৎসব থেকে একটি ঘুড়ি এনেছিলাম ,ছাদে ওড়ানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারি নি।ওড়াতে না জানলে যা হয়,তবুও মজা পেয়েছি।পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঘুড়ি উড়ানোর মুহূর্তটা ভালো লেগেছে আপু।শৈশবে অনেক ঘুড়ি উড়িয়েছি।দিনগুলোকে অনেক মিস করি।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।