রাতে ঘুরাঘুরি ও ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একদিন রাতের বেলায় রাস্তার ধারে ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছি। এর আগে একটি পোস্টে আমি শেয়ার করেছিলাম রাতের বেলায় একদিন হুট করে শপিং করতে বের হয়েছিলাম। তখন বিভিন্ন ধরনের জুস ট্রাই করেছিলাম। তারপর জুসের দোকান থেকে বেরিয়ে একটু দূরে হাঁটতেই রাস্তার ধারে পেয়ে গেলাম একটি ফাস্ট ফুডের ভ্যান। যেখানে হরেক রকমের ফাস্টফুড ছিল। সেখান থেকে আমরা বেশ কিছু আইটেমের ফাস্টফুড খেয়েছিলাম। সেই অনুভূতিই মূলত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রাতে ঘুরাঘুরি ও ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়া
হঠাৎ করে বাইরে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করা সত্যি ভীষণ আনন্দের ব্যাপার। যদিও সেদিন একেবারেই প্রিপারেশন ছিল না এবং আমি আগে থেকেও জানতাম না যে রাতের বেলায় বাইরে বের হবো ।রাত দশটার পর বাসা থেকে বের হলাম ।তারপর মেয়ের জন্য কিছু শপিং শেষ করে আমরা রাস্তায় হাঁটতে লাগলাম ।তখন একটি জুসের দোকান পেলাম সেখান থেকে কয়েকটা আইটেমের জুস খেলাম। তারপর আরো একটু এগোতেই এই ফাস্টফুডের ভ্যানটি আমাদের চোখে পড়ল। তখন ওখানে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন রাত পৌনে এগারোটা হবে ।তারপরেও দেখলাম লোকজনের বেশ ভিড় দোকানটিতে।
এ ভ্যানটিতে হরেক রকমের ফাস্টফুড ছিল। চিকেন মোমো, চিকেন ফ্রাই ,চিকেন সমোচা, চিকেন রোল ,কাটলেট, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আরও বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভরপুর ছিল। তারপর আমরা একে একে প্রায় সবগুলো আইটেমই টেস্ট করলাম ।যত রকমের খাবার খাওয়াই হোক না কেন বাচ্চাদের জন্য ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার না করলে যেন চলে না। তাই শেষে আমরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম। সেটি ঝটপট ভেজে দিয়েছিল। গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
একটা বিষয় বেশ অবাক লেগেছিল এত রাত হয়ে গিয়েছিল তার পরেও বিক্রি যেন থাম ছিল না। যদিও গার্ড এসে কয়েকবার দোকান ওঠাতে বলছিল ।তারপর লোকটা বলছিল আর একটু প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ।গার্ডের সঙ্গে যদিও তার বেশ ভালো সম্পর্ক যার কারণে সেও হাসাহাসি করছিল। খুব একটা কঠিন করে কিছু বলছিল না। বেশি রাত হলে এখানে দোকানগুলো রাখার নিয়ম নেই। ঢাকা শহরে এই ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ,যেকোনো সময় বাইরে গেলে খাবারগুলো পাওয়া যায়। যেখানে মফস্বল শহরে এই সুবিধাটা আমরা পাইনা।
দোকানের পাশে বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা ছিল। আমরা চেয়ারে বসে খাবার গুলো খেয়েছিলাম আর নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলাম । খাবার গুলো বেশ ভালো ছিল খেতে এবং খুবই সুলভ মূল্যে ছিল।বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছিলাম ।তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদি ওখান থেকে বাসা একেবারেই কাছে ছিল। মাঝেমধ্যে এরকম হুট করে বাইরে বেরিয়ে পড়লে রাতের বেলায় কিন্তু বেশ ভালো উপভোগ করা যায়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
কেনাকাটা শেষে ফাস্টফুডের দোকানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার গল্প শেয়ার করেছেন আসলে আমাদের দেশে ফাস্টফুডের অনেক চাহিদা, তাইতো রাস্তার পাশে ছোট ছোট দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত ভিড় লেগে থাকে যেমন আপনি যে দোকানটির কথা বলেছেন সেখানে অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও প্রচুর ভিড় ছিল। এমনকি গার্ড এসে কয়েকবার দোকান বন্ধ করার কথা বলেছে।
ভাইয়ারা ঢাকা শহরের মানুষ মনে হয় খাওয়া দাওয়া একটু বেশি করে আমার মনে হয় ।যেখানেই যাওয়া যায় সেখানেই প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রাতের বেলা কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। রাত্রে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে আপনি অনেক ফাস্ট ফুড খেয়েছেন। নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু বেশ ভালো লেগেছিল রাতের বেলায় শপিং প্লাস খাওয়া দাওয়া করতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠান্ডা আবহাওয়া রাতের বেলায় কেনাকাটার মজাই অন্যরকম। সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে কেনাকাটার পরে একটু খাওয়া দাওয়া না করলেই নয়।রাতে ঘুরাঘুরি ও ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়া, আপনি দেখছি অনেক সুন্দর সুন্দর ফাস্টফুড খাবার খেয়েছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া রাতের বেলা ঘোরাঘুরি করার পর একটু খাওয়া দাওয়া করলে বেশ ভালই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু রাত্রে শপিং করার মতো কাজ করার মজাই আলাদা। এছাড়া রাতে ঘোরাঘুরি করা সত্যিই ভীষণ আনন্দের। যাহোক রাত্রে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে বেশ চমৎকার খাবার খেয়েছেন। এত রাত্রে এরকম সুস্বাদু খাবার পাওয়াটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া এত রাতে সুস্বাদু খাবারগুলো খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
এখন রোজার সময় হওয়ার কারণে আমাদের দিনের বেলা কোথাও যাওয়া হয় না এবং খাওয়া-দাওয়া তো হয়ই না৷ তাই আমরা বেশিরভাগ সময় রাতের বেলায় বের হই৷ রাতের বেলা বের হয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা খুবই ভালো লাগছে৷ একইসাথে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু আমাদের এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ ভাইয়া এখন সবাই দিনের বেলা থেকে রাতের বেলায় মনে হয় বের হয় বেশি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রাতের বেলা শপিং করতে গিয়ে বোঝাই যাচ্ছে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শপিং করার পরে জুস এর দোকানে গিয়ে জুস সহ ফাস্টফুড খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘোরাঘুরি করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে এরকম মুহূর্ত কেউ কখনো হাতছাড়া করতে চায় না। ধন্যবাদ রাতে ঘোরাঘুরি ও ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া রাতের বেলা ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করার মধ্যে আলাদা রকম অনুভূতি কাজ করে। এমনকি তখন যদি খাওয়া দাওয়া করা হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনারা বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন দেখছি। মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা খুবই ভালো উপভোগ করা যায়। বসার ব্যবস্থা ছিল জেনে আরো ভালো লেগেছে। খাবার দেখেই মনে হচ্ছে খুব লোভনীয় ছিল। অনেক খাবার বিক্রি করে দেখছি। এরকম দোকানগুলোতে একটু ভিড় বেশি হয় রাত হলেও।
হ্যাঁ আপু দোকানটিতে বেশ কয়েক রকমের খাবারের আইটেম ছিল এবং খাবার গুলো বেশ ভালো ছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এরকম অনেক জায়গা আছে আপু, যেখানে বেশি রাত হলে দোকানপাট খুলতে দেয় না, বিশেষ করে খাবারের দোকান গুলো। তবে কলকাতা শহরে রাত বাড়লেই কেন জানিনা লোকের জাঁকজমক আরো বেশি বেড়ে যায়। যাইহোক, আপনারা এত রাতে বাইরে ফাস্টফুড খাওয়া দাওয়া করেছেন, বিশেষ করে প্রায় সবগুলো খাবারই বলছেন যে ট্রাই করেছেন, তার মানে যথেষ্ট মজা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া খাবার গুলো দেখেও কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে আপু।
রাতের বেলা শহরে জাঁকজমক থাকলে বেশ ভালই লাগে ।আর শহর ঝিমিয়ে পড়লে রাতে বেরিয়ে মজা নেই ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এটা কিন্তু ঠিক কথা আপু, শহর ঝিমিয়ে পড়লে রাতে বেরিয়ে মজা নেই। আমিও এমন সময় বের হওয়া পছন্দ করি না।
রাত দশটার সময় হুট করে বের হয়ে মেয়ের জন্য শপিং করেছেন আবার বিভিন্ন মজার মজার খাবার খেয়েছেন ।আসলে রাতের বেলা বাইরে বের হতে আমার কাছেও ভালো লাগে । তারপর আবার ফাস্টফুডের এসব দোকানগুলোতে দাঁড়ালে বিভিন্ন জিনিস খেতে ইচ্ছা করে। ভালোই রাতের খাওয়া দাওয়া ও ঘোরাফেরার মজার অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো পড়ে ।
হ্যাঁ আপু বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।