ঈদের একদিন আগে রাতে ঘোরাঘুরি ও কবুতরের চপ খেতে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।



বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ আমি মূলত ঈদের একদিন আগে রাতের বেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ও ফরিদপুরের বিখ্যাত কবুতরের চপ খেতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করতে এসেছি।ঈদের আগের রাতে অর্থাৎ চাঁদ রাতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এবার চাঁদ রাতের আগের রাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।মূলত আমার মেয়ের ফুপি এবার আমাদের সঙ্গে ঈদ করেছে। তিনি খুব করে ধরেছিল ঘুরতে যাবার জন্য। যদিও রোজার পর বেশ ক্লান্ত লাগছিল। আমি খুব একটা যেতে চাইছিলাম না। কিন্তু তিনি আমাকে জোর করে নিয়ে গেলেন ঘুরতে। তারপর আমরা একটি অটো এক ঘন্টার জন্য ঠিক করলাম। যেহেতু আমরা কয়েকজন ছিলাম একটি রিক্সায় হবে না ।যার কারণে অটো নেওয়া। তবে রিক্সায় আমার কাছে বেশি ভালো লাগে ঘুরতে। অটো তে কেমন যেন আটকা আটকা লাগে। যাইহোক আমরা ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম রাত নয়টার সময়।


ঈদের একদিন আগে রাতে ঘোরাঘুরি ও কবুতরের চপ খেতে যাওয়া


IMG20240409211937.jpg

কিছু দূর যাবার পর আমরা ভাবতে লাগলাম প্রথমে কোথায় যাওয়া যায় ।তারপর আমার হাজবেন্ডের বোন বলল অনেকদিন হয় সে ফরিদপুরের কবুতরের চপ খায় না ।আমরা আগে কবুতরের চপ খেয়ে আসি। যদিও ইফতারিতে ভর পেট খাওয়া হয়েছে। আমার চপ খাবার কোন ইচ্ছেই ছিল না ।তারপরেও তার জোরাজোরিতে আমরা সেখানে গেলাম কবুতরের চপ খাওয়ার জন্য। এটি সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। এখানে কবুতরের চপ পাওয়া যায়। এটি মূলত কবুতরের চপের দোকান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। ফরিদপুরের যারা স্থানীয় তারা সবাই ফরিদপুরে আসলে একবার এই চপের দোকান থেকে ঘুরে যায়।


IMG20240409211935.jpg

IMG20240409211444.jpg

যাই হোক আমরা দোকানে যেয়ে চপ অর্ডার করলাম ।দোকানদার বলল চপ তৈরি হতে দশ মিনিট সময় লাগবে। তখন আমরা ঠিক করলাম সামনে পাশাপাশি দুটো ব্রিজ আছে সেখান থেকে আমরা একটু হেঁটে আসি। রাতের বেলায় ব্রীজের উপর দিয়ে হাঁটতেও ভীষণ ভালো লাগে। আর ব্রিজ টা একটু চাপা প্রকৃতির ছিল। এক টা দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে ও আরেকটি ব্রিজ দিয়ে গাড়ি আসছে। তারপর আমরা একটি ব্রিজ দিয়ে কিছুদূর গেলাম এবং আরেকটি ব্রিজ দিয়ে ফিরে এলাম।


IMG20240409211920.jpg

IMG20240409211918.jpg

মূলত ব্রিজের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এই রেস্টুরেন্টে এর আগে খেয়েছিলাম। তখন রিভিউ করেছিলাম আপনাদের সঙ্গে ।এই রেস্টুরেন্ট টি মূলত নদীর পাড়ে তৈরি। রেস্টুরেন্ট থেকে বসে নদীর চমৎকার ভিউ দেখা যায়। ভীষণ ভালো লাগে। আর রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো চমৎকার। রাতের বেলায় রেস্টুরেন্টে লাইটিং করা দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।


IMG20240409212156.jpg

IMG20240409212158.jpg

তারপর কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে আমরা আবারো চপের দোকানে চলে এলাম ।চপের দোকানে এসে দেখি তখনও চপ পুরোপুরি ভাজা হয়নি ।তারপর একটু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর চপগুলো আমাদেরকে ভেজে দিল সঙ্গে সালাদ ও ছিল। তারপর আমরা বিল মিটিয়ে চপগুলো নিয়ে অটোতে বসলাম। প্রথমে ঠিক করেছিলাম দোকানে বসে খাব ।কিন্তু পরে দেখলাম দোকানে বেশ ভিড়। তার থেকে ভালো হবে অটোতে ঘুরে বেড়াবো আর চপ খাবো।


IMG20240409212204.jpg

IMG20240409212512.jpg

তারপর চপগুলো নিয়ে আমরা অটোতে উঠে বসলাম এবং গরম গরম কবুতরের চপ খেতে শুরু করলাম ।বেশ ভালই লাগছিল খেতে। প্রথম প্রথম যদিও আমার খেতে ইচ্ছে করছিল না ।কিন্তু খাবার পরে বেশ ভালো লেগেছিল ।তারপর আমরা কিছুদূর যেয়ে একটি দোকানে থেমে কিছু ড্রিঙ্কস কিনলাম। তারপর ঘুরে বেড়ালাম আর ড্রিঙ্কস খেলাম। সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিল সেদিন ।


IMG20240409212514.jpg

তারপর আমরা খেতে খেতে শহরের পরিচিত জায়গাগুলোয় ঘুরতে লাগলাম। সেই অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে আরেকদিন শেয়ার করব।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 2 months ago 

মূলত রেস্টুরেন্টের লোকেশনটা বেশি ভালো কেননা সেখানে বসলে নদীর সৌন্দর্যটা লক্ষ্য করা যায়। যাই হোক ছোট্ট এই দোকানে কবুতরের চপ পাওয়া যায় বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। কবুতরের চপ রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি তবে খেতে অনেক ভালো লাগে সেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।

 2 months ago 

ভাইয়া রেস্টুরেন্ট টি আসলেই অনেক সুন্দর। আর কবুতরের মাংসের চপ কিন্তু খেতে ভীষণ মজার। এটি আমাদের শহরের বেশ নামকরা চপ ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

কবুতরের চপ এর কথা আমি আজকে প্রথমবার জানলাম। কবুতরের চপের কথা শুনে তো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে কবুতরের চপ অনেক বেশি মজাদার আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল। আপনার কবুতরের চপ খাওয়ার কথা শুনে তো আমার নিজেরও এই চোখটা খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ব্রিজের পাশের রেস্টুরেন্টটা কিন্তু অনেক সুন্দর। চফ বানানোর সময় আপনারা ব্রীজের উপর থেকে হেঁটে এসে ভালোই করেছেন। রাতে এরকম দৃশ্য উপভোগ করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু চপ টি খেতে ভীষণ মজার। এটি আমাদের শহরের নামকরা চপের দোকান। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ঈদের আগে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন আপনি। আপনার এই অসাধারণ মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। পাশাপাশি চপ খাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন তাই ধন্যবাদ।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং চপগুলো খেতে বেশ মজার ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

বিগত তিন বছর ধরে ঈদের আগের রাতে আমি এবং আমার এক বন্ধু ঘুরতে বের হয়। অধিকাংশ দিন রাত ১-২ টার দিকে বাড়ি ফিরি ঐদিন। রাতে পুরো শহর চষে বেড়ায় হা হা। এবারেও গিয়েছিলাম। আপনার ঈদের একদিন আগের রাতে ভ্রমণের কথাগুলো পড়ে আমার ঐ কথাগুলো স্মরণে চলে আসলো। কবুতরের চপ এটা তো কখনো শুনিনি। এই প্রথম আপনার পোস্টে দেখলাম। ব‍্যাপার টা বেশ আলাদা লেগেছে আমার কাছে।

 2 months ago 

বাহ আপনারা ঈদের আগের রাতে রাত একটা দুইটা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো । রাতের বেলায় ঘুরতে আমারও ভীষণ পছন্দের ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আপনারা অনেক ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন। সেই সাথে কবুতরের চপ খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এরকম যেগুলোতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভালো মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। আর আমার কাছে এরকম সময় কোন কিছু খেতে খুব ভালো লাগে। যদি হয় চপ তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমার কাছে চপ খেতে খুব ভালো লাগে। আর রাতের বেলায় ঘুরতে তো আরো বেশি পছন্দ করি। অনেক সময় বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ঘুরাঘুরি করার জন্য রাতের বেলায়। প্রথমে খেতে না ইচ্ছে করলেও পরবর্তীতে মজা করে খেয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।

 2 months ago 

রাতের বেলায় বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। রাতের বেলায় ঘুরতে এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ঈদের আগের দিন রাতে আমরা আমাদের বন্ধু বান্ধব নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে থাকি৷ আপনিও ঈদের আগের দিন রাতে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং কবুতরের চপ খেয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ একইসাথে আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করে তা আমাদের মাঝে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলছেন৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য

 2 months ago 

ঈদের আগের দিন আপনারাও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

 2 months ago 

বেশ কৌতুহল নিয়ে আপনার পোস্টটি পড়তে শুরু করলাম কারণ এর আগে কখনো শুনিনি কবুতরের চপ পাওয়া যায়।মনে হচ্ছে আপনাদের ওখানকার খুব ফেমাস খাবার। সত্যি আপু ব্রিজের দৃশ্য অনেক সুন্দর লাগলো। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু এটা আমাদের শহরের বেশ নামকরা চপ ।যারা ফরিদপুরের বাইরে যায় দীর্ঘদিন পরে আবার শহরে ফিরে আসে একবার হলেও ওই দোকানে যেয়ে চপ খেয়ে আসে ।বেশ ভালো লাগে খেতে ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আপনার ননদ আসাতে তো ভালই হয়েছে অনেক মজা করে সবাই মিলে ঈদের আগে থেকে ঘুরাঘুরি শুরু করে দিয়েছেন । সবাই মিলে কবুতরের চপ খেতে গিয়েছেন শুনে তো আমারই লোভ লাগছে । অনেকদিন হলো কবুতরের চপ খাওয়া না বিশেষ করে ফরিদপুরের ওই দোকানটার চপ । আর ওই ব্রিজটার উপরে রাতের বেলা হাঁটতে আসলেই খুব ভালো লাগে । ভালো করেছেন চপ নিয়ে ওটোতে উঠে ঘুরেছেন আর চপ খেয়েছেন । ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে ।

 2 months ago 

এরপর আপনি আসলে আমরাও ওই কবুতরের চপ খেয়ে আসব, ঘুরেও আসবো ।বেশ ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 65348.61
ETH 3557.74
USDT 1.00
SBD 2.45