টমেটো বাগানে কাটানো কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম । তখন নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছিলাম । হঠাৎ নদীর পাড়ে একটি ছোট আকারের টমেটোর বাগান দেখতে পেলাম । কাঁচা টমেটো ধরেছিল গাছগুলোতে । দেখতে সত্যিই চমৎকার লাগছিল । তবে একটি বিষয় আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছিল মাটি একদম শুকনো অবস্থায় ছিল , গাছগুলো তার পরেও বেশ সতেজ ছিল । এভাবে টমেটোর বাগান বেশ কিছুদিন পর দেখলাম ।সামনাসামনি টমেটোগুলো গাছে ধরে থাকতে দেখতে সত্যি ভীষণ চমৎকার লাগে । তাই দেখা মাত্রই টমেটোর কিছু ফটোগ্রাফ তুলে ফেললাম । আর আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । যাতে আপনারাও টাটকা টমেটো দেখতে পারেন ।
টমেটো বাগানে কাটানো কিছু সময়
টমেটো আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি সবজি । একটা সময়ে শুধু শীতের সময় এই সবজি পাওয়া গেলেও এখন বারোমাসই এই সবজি পাওয়া যায় । তবে শীতকালে এর স্বাদ বেশি ভালো থাকে ।টমেটোতে ভিটামিন সি সহ আরো অনেক ভিটামিন রয়েছে । এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , শরীরের শক্তি যোগায় । এছাড়া নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে , শরীর সুস্থ থাকে ।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও টমেটো খুবই উপকারী ।এছাড়া ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ রাখতেও টমেটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আসলে টমেটোর এত উপকারিতা রয়েছে যে বলে শেষ করা যাবে না ।
টমেটো সালাদ করে খাওয়া যায় আবার তরকারিতে দিয়েও খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । টমেটো দিয়ে যেকোনো মাছের ভুনা করলে সেটি খেতে খুবই মজার হয়ে থাকে । আমার কাছে তো টমেটো সব ভাবেই ভালো লাগে । তাই তো প্রতিদিনের তরকারিতে আমি টমেটো ব্যবহার করতে চেষ্টা করি ।
গাছগুলোতে সবুজ টমেটো দেখতে সত্যিই দারুন লাগছিল । দেখুন কিভাবে টমেটোগুলো ধরেছিল ।দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছিল । আমি একদম বাগানের ভেতর ঢুকে টমেটোর কাছ থেকে ফটোগ্রাফগুলো তুলেছিলাম । গতবার শীতের সময় আমিও কয়েকটি টমেটো গাছ কিনেছিলাম যেটি আমার মায়ের বাসায় লাগিয়েছিলাম । মায়ের ছাদে বেশ অনেকগুলো টমেটো ধরেছিল গাছটিতে ।টমেটোর ভারে গাছটি একদম ছাদে নুয়ে পড়েছিল ।দেখতে সত্যিই চমৎকার ছিল ।
এই টমেটো গাছ গুলো দেখে আমার মনে হচ্ছিল এত দূরে কেউ সচরাচর পানি দিতে আসে না । কেননা এর আশেপাশে কোন বাড়িঘর ছিল না । নদীর পাড়ে উঁচু জায়গায় এই বাগানটি ছিল । মাটি দেখে বোঝাই যাচ্ছিল এতে অনেক দিন পানি দেওয়া হয় না । তবে গাছগুলোর সতেজতা আমাকে অবাক করেছিল ।আমি তো ভেবেছিলাম টমেটোর বাগানে নিয়মিত পানি দিতে হয় । কিন্তু এখানে তো পানি দেওয়ার কোন ব্যবস্থাই দেখলাম না ।
যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ নদীর পাড় দিয়ে ঘোরাঘুরি করে ও টমেটোর বাগান দেখে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম । সেই সময়ের কিছুটা মুহূর্তই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । পরবর্তীতে নদীর কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো ।আশা করছি আপনাদের আজকের ব্লগটি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
টমেটো গাছ দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো ভালো জাতের।কিন্তু মাটি শুকনো থাকার কারণে ভালো ফসল হয়নি। আমি নিজেও কিছু টমেটো গাছ রোপন করেছিলাম আমার ছাঁদ বাগানে। তবে কিছু জায়গায় মাটি শুকনো থাকতে ভালো ফসল হয়নি। আবার যেখানে প্রতিনিয়ত পানি দিতে পেরেছি সেখানে ভালো ফলন হয়েছে। তবে এটা ঠিক তরতাজা ও সতেজ টমেটোর ফটোগ্রাফি ভালো লাগারই কথা। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ভাই আপনার ছাদে টমেটো গাছ লাগিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । আসলে ছাদে এ ধরনের গাছ থাকলে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর একটি ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
গাছে ঝুলে থাকা টমেটো গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে গাছ থেকে তুলে এনে খাই।আপু টমেটো গাছের গোড়ায় বেশি পানি দিলে গাছ মারা তাই হয়তো গাছের গোড়ার মাটি শক্ত দেখা যাচ্ছে। টমেটো দিয়ে সালাদ, তরকারি সবকিছুই খেতে অনেক ভালো লাগে।কাঁচা টমেটো দিয়ে ভাজি খেতেও খুব মজা লাগে।আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে টমেটোর গুণগুণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।সুন্দর ফটোগ্রাফি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
বেশি পানি দিলে টমেটো গাছ মারা যায় এটি জানা ছিল না । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
টমেটো বাগানে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে সত্যিই লাগলো। শীতকালে প্রচুর টমেটো উৎপাদন হয়। কাঁচা টমেটো গুলোকে দেখে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তবে পানি দিলে টমেটো আরো বড় হতো। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাই আপনার কাছে আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে যেনে সত্যি অসম্ভব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনি ঠিক বলছেন আপু গাছের গোড়ায় একদম পুষ্টি নেই কিন্তু অনেক টমেটো ধরেছে। ব্যাপারটা হচ্ছে যে টমেটো গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ রোদ পড়ছে তাই রোদ থেকে প্রচুর ভিটামিন পাচ্ছে। ছায়া আছে এমন জায়গার চাইতেও রোদের অপুষ্টিকর গাছগুলোতে কিন্তু ফল বেশি ধরে। নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বেশ সুন্দর একটি টমেটোর বাগান দেখতে পেলেন অনেকদিন পরে অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি পড়ে। টমেটো এই সিজনে যেমন স্বাদ পাওয়া যায় খেতে কিন্তু অন্যান্য সিজনে তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না।
মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকবেন ।
টমেটো বাগানে কাটানো চমৎকার কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন শীতকালের টমেটো বেশি সুস্বাদু হয়। যদিও এখন বছরের অন্যান্য সময়েও টমেটো পাওয়া যায়। মাটির অবস্থা দেখে কেমন তাই মনে হচ্ছে যে এখানে কেউ হয়তোবা ভালোভাবে পানি দেয় না।
হ্যাঁ ভাইয়া আমারও তাই মনে হয়েছে যে এখানে খুব একটা পানি দেওয়া হয় না । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনি ঠিক বলেছেন টমেটো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। টমেটো বারো মাস পাওয়া যায়। এবং টমেটোর সালাত ও তরকারির সাথে এবং ভর্তা করে অনেক রকমে খাওয়া যায়। তবে গাছগুলো যত্ন করলে অনেক টমাটো ধরে। আমাদের বাসার সামনে আমার হাসবেন্ড টমেটো চাষ করেছে। সে অনেক যত্ন করে টমেটো গাছগুলোর। এবং গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে ও অনেক টমেটো ধরেছে। তবে আপনিও ঠিকমতো পানিও ওষুধ দিলে অনেক টমেটো ধরবে।
আপু আপনি মনে হয় পোস্ট টি ঠিক ভাবে পড়েন নি ।এটা আমার বাগান নয় , কার বাগান তাও জানি না ।আমি কি করে পানি ও ওষুধ দিব ? যাই হোক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।