একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প পর্ব -২
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে গল্প মানেই আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা । যেই ঘটনা গুলো এক একটি গল্প আকারে আমাদের কাছে এসে ধরা দেয় ।আসলে প্রতিটি গল্প আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা। আজ আমি যে গল্পটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সেটি মূলত একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা । আশা করছি আপনাদের কাছে গল্পটি ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল গল্পে।
একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প পর্ব -২
তাপস মিলা একে অপরকে অনেক ভালোবাসে।কিন্তু মিলন নামের একটি ছেলে মিলাকে পছন্দ করতে শুরু করে।তারপর থেকে----
তাপস ঘটনাটি জানার পর প্রথমে রেগে গেলেও তার কিছু করার ছিল না । কেননা তাপস ছিল খুবই শান্ত স্বভাবের একটি ছেলে । একেবারেই নিরীহ প্রকৃতির একটি মানুষ । তবে তার বেশ খারাপ লাগলো এটা ভেবে যে মিলার পেছনে একটি ছেলে এ ভাবে ঘুরঘুর করছে । এভাবে একদিন তাপস মিলনকে দেখতে পায়। তখন সে মিলনকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বলে দেখো আমাদের দুজনের অনেকদিনের সম্পর্ক । তুমি দয়া করে মিলা কে এভাবে ডিস্টার্ব করোনা। মিলন তখন তাপস কে বলে ঠিক আছে আমি আর মিলাকে ডিস্টার্ব করবো না।
দু-তিন দিন মিলা মিলনকে দেখতে পায় না । তখন মিলাও ভাবে হয়তো তাপসের কথা শুনে মিলন তাকে ভুলে গিয়েছে । কিন্তু মিলন এই দু-তিন দিন খুব কষ্ট করে ছিল । তারপর আবার যা তাই, সে আবার মিলার পেছনে ঘুরঘুর করতে শুরু করল । মিলন এই দু-তিন দিনে বুঝেছে সে মিলাকে না দেখে কিছুতেই থাকতে পারবেনা। আবার সে মিলার পেছনে ঘুরতে শুরু করে দিল ।
এভাবেই বেশ কিছুদিন যাবার পর মিলন একদিন মিলাকে বলল, দেখো তোমার যেহেতু অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে , তাহলে একটা কাজ তো করতে পারবা আমাকে ভালো না বাসো, আমার সঙ্গে অন্তত বন্ধুত্ব করতে তো পারো । আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে থাকবো। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কখনো বন্ধুর বাইরে তোমাকে অন্য কিছু ভাববো না।
মিলার এ ব্যাপারটা খুব একটা খারাপ লাগে না । সে চিন্তা করে ছেলেটা যেহেতু এত করে বলছে তাহলে তার সাথে বন্ধুত্ব করলে দোষ কি।বন্ধুত্ব করলে তো কোন সমস্যা নেই । এ ব্যাপারটা সে তাপস কে জানায়। তাপসও খুব একটা আপত্তি করল না। এভাবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় । তারপর ক্লাস শেষ করে বিভিন্ন সময়ে তারা আড্ডা দিতো। মিলার বান্ধবী, মিলা ,তাপস, মিলন সবাই একসঙ্গে আড্ডা দিত । মাঝে মাঝে যখন তাপস আসতো না তখন মিলা,মিলার বান্ধবী, মিলন একসঙ্গে আড্ডা দিত । আবার কখনো কখনো তাপস ও মিলার বান্ধবী কেউ যখন আসতো না তখন তারা দুজনে একসঙ্গে আড্ডা দিত । এভাবে দীর্ঘ দিন একসঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে তারা একদম ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে গেল।
মিলা যখনি যেখানে যেত তখনই মিলন তার সঙ্গে যেত। এমন একটা অবস্থা হয়েছিল যে মিলা এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মিলনকে নিয়ে যেত না ।এমনকি মিলা যখন তাপসের সাথে সময় কাটাতো তখনো মাঝে মাঝে মিলা মিলনকে খুব মিস করতো। মাঝে মাঝে মিলনকে ডেকে নিয়ে আসতো । বলতো একসঙ্গে সবাই থাকলেই বেশি ভালো লাগে।এভাবে সময় যেতে যেতে তাপস একটা সময় অনুভব করতে থাকলো সে মিলাকে কখনোই একা পাচ্ছে না । সব সময়ই মিলন সঙ্গে থাকছে । তাদের পার্সোনাল কোন কথা বলার সুযোগ হয়ে উঠছে না।
চলবে
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
গল্পটি পড়ে বুঝতে পারলাম মিলন আসলেই মিলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। সেজন্য এতো চেষ্টা করা সত্ত্বেও মিলাকে ভুলতে পারে না। তাইতো মিলাকে দেখতে বারবার ছুটে যায়। তবে মিলন বেশ চালাকও বটে। তাইতো মিলার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। মিলার সাথে এমনভাবে মিশেছে, এতে করে মিলাও মিলনকে মিস করতে শুরু করেছে। আমার মনে হচ্ছে মিলাও মিলনকে ভালোবেসে ফেলবে। গল্পের নাম তো সেরকমই। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া মনোযোগ সহকারে আমার গল্পটি পড়ে দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম যা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে এটা বুঝতে পারলাম যে মিলন মিলাকে না দেখা ছাড়া থাকতে পারবেনা। এমনকি মিলন মিলাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। এখন তো দেখছি মিলা এবং মিলনের বন্ধুত্ব হয়েছে এবং অনেক ক্লোজ হয়ে গিয়েছে দুজনে। আর তাপস মিলাকে এখন একা পাচ্ছে না, কারণ মিলা যেখানে যায় সেখানে মিলনকে নিয়ে যায়। এখন পরবর্তীতে কি হয় এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপু আপনার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বগুলো পড়বেন নিশ্চয়ই তাহলে জানতে পারবেন মিলার সঙ্গে কার মিল হয় ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।