চাল কুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
চাল কুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
রুই মাছ | ৫ পিছ |
চাল কুমড়া | পরিমাণমত |
কচুর মুখি | পরিমাণমত |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ২ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই । তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই । পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজা হলে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দেই ।
![]() | ![]() |
---|
তারপর ভালোমতো নেড়েচেড়ে লবণ ও সব গুঁড়ো মসলা দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর মসলাটা ভালোমতো নেড়ে চেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই ।
![]() | ![]() |
---|
তারপর রুই মাছগুলো দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মশলার সঙ্গে মিশিয়ে নেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর মসলাটা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো একটি বাটিতে তুলে রাখি। তারপর ওই মসলার মধ্যে সবজিগুলো দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই । সবজিগুলো মসলার সঙ্গে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নেই ও সামান্য একটু পানি দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে মাছগুলি দিয়ে দেই ও ঝোলের জন্য বেশি পানি দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর জিরা গুঁড়ো দিয়ে দেই ও আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার চালকুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার রেসিপি ।এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
চাল কুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্না এই প্রথম দেখলাম। আগে কখনো খায়নি।কচুর মুখী দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আমার কাছে রুই মাছ ভেজে রান্না করলে বেশি মজা লাগে। আপনার পদ্ধতি টা অবলম্বন করে খেয়ে দেখবো একদিন ইনশাআল্লাহ। রান্নার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ভাইয়া কচুর মুখি ও চাল কুমড়া দিয়ে যেহেতু কখনো খাননি অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন। খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কচুর মুখির ভতা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আপনি খুব সুন্দর করে চাল কুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছগুলো আগে কষিয়ে নিয়ে তারপর সবজি দিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এভাবে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাই আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপনি মাঝেমধ্যে খাবারের ভিন্নতা আনলে খেতে ভালই লাগে। চাল কুমড়া ও কচুর মুখী একসাথে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। নতুন একটা রেসিপি আপনার কাছ থেকে দেখলাম। একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। রেসিপিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনাকে ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু অবশ্যই একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখবেন খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে চাল কুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার রেসিপি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। তবে চালকুমড়া ও কচুর মুখি দিয়ে একসাথে রুই মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি আমার। তবে রেসিপির কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একবার খেয়ে দেখবেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটি খেতে কেমন হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কচুর মুখী আর চাল কুমড়ো দিয়ে কখনো রুই মাছ খাইনি। পটল বা বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল খেয়েছি। আর কচু, আলু দিয়ে খেয়েছি চিংড়ি। দেখে যদিও খুব ভালো লাগছে আপনার রেসিপি, মনে হচ্ছে খেতেও খুব জবরদস্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে নতুন কিছু আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
ভাই আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। সবসময় এভাবেই মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করছি। ভালো থাকবেন।
চাল কুমড়া ও কচুর মুখি কখনো একসাথে রান্না করে খাইনি। মাঝে মাঝে যদি খাবারের ভিন্নতা আনা হয় তাহলে খেতে ভালই লাগে। হয়তো প্রথমে এই রেসিপি তৈরি করতে আপনার বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করতে হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগে। আমি অবশ্যই একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব আপু। এছাড়া রুই মাছ সবার কাছেই খুবই প্রিয়।
হ্যাঁ আপু প্রথমে একটু চিন্তা করেছিলাম, পরে খেয়ে দেখি বেশ ভালই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে মনের মধ্যে সংকোচবোধ থাকলেও এই ধরনের রেসিপিগুলো কিন্তু খেতে খুব ভালো লাগে।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে চাল কুমড়ো ও কচুর মুখি দিয়ে রুই মাছ রান্নার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছেন এই জন্য আপনার তৈরি করা রেসিপিটি আরও সুস্বাদু হয়েছিল বলে আমি মনে করি।
হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
চাল কুমড়া দিয়ে মাছরাঙ্গা রেসিপি খেয়েছি। কিন্তু তার সাথে কচু দিয়ে রান্না রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভে পড়ে গেলাম আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
আমার রেসিপিটি দেখে আপনার লোভ লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
ভাইয়া আপনি আপনার বাসায় বলে দেখবেন আর এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। অবশ্যই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।