সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় নেয়ামত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে বেশ কয়েকদিন থেকেই বেশ সমস্যার মধ্যে আছি, যার কারণে ঠিকমতো কমিউনিটির সঙ্গে এটাস্ট থাকতে পারছি না । পোস্ট কমেন্ট কোন কিছুই করতে পারছিনা । এমনকি সাপ্তাহিক হ্যাংআউটেও জয়েন হতে পারিনি । বেশ খারাপ লেগেছিল । কেননা এটিও আমার একটি পরিবারের মত । এই পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতেও বেশ খারাপ লাগে ।কিন্তু কিছু করার ছিল না । পরিবারের সবাই বেশ অসুস্থ ছিল । আসলে আমরা যখন সুস্থ থাকি তখন আমরা বুঝতে পারি না এই সুস্থ থাকার আনন্দটা কতটুকু। কিন্তু যখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন আমরা বুঝতে পারি সুস্থ থাকা মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তার কত বড় একটি নেয়ামত ।
সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় নেয়ামত
তিন চার দিন আগে হঠাৎ করে আমার হাজবেন্ডের জ্বর আসে । সে বেশ অসুস্থ হয় । জ্বর খুব বেশি হয় যার কারণে আমরা সবাই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি ডেঙ্গু হলো কিনা । কিন্তু দুদিন পরেই জ্বর কমে যায় তবে শরীর বেশ দুর্বল এখনো। দুদিন জ্বর থাকার পর যখন হাজবেন্ড একটু সুস্থ হয়ে ওঠে তার মাঝেই হঠাৎ করে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল । তারও জ্বর হলো । তবে তার জ্বর একশ দুই থেকে তিন ডিগ্রি হয়ে পরল । যেটা রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম আমরা । কেননা আমার মেয়ের এর আগে কখনো এতো জ্বর হয়নি । তবে তার সর্দি কাশি ও ছিল ।
সন্ধ্যার দিকে মেয়ের জ্বর আসে । যত সময় যেতে থাকে ততোই জ্বরের পরিমাণও বাড়তে থাকে । কোন রকমে রাতটা পার করি সারা রাত জেগে থেকে । ভোরের দিকে আবার টেম্পারেচার নিয়ে দেখি ১০৪ ডিগ্রি তখন খুব ভয় পেয়ে যাই । সঙ্গে সঙ্গে সাপোজিটর দিয়ে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাই ।ডক্টর ডেঙ্গু টেস্ট দেন, টেস্ট করানো হয় । এক ঘন্টার মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দেয় । ডেঙ্গু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে । তারপর ডক্টর ঔষধ লিখে দেয় । তারপর বাসায় আনার পর জ্বর যেন কিছুতেই কমছিল না। তিন থেকে চার ডিগ্রি সব সময় থেকে যাচ্ছিল । জ্বর কিছুতেই নামাতে পারছিলাম না । এদিক দিয়ে আর একটা প্রবলেম হলো যে ডাক্তারকে দেখিয়েছি তিনি ঢাকা গিয়েছেন যার কারণে ডাক্তারের কাছে আবার নিতেও পারছিলাম না । এই একদিন রাত খুবই দুর্বিসহ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের কেটেছে ।
কেননা এর আগে এতটা জ্বর দেখিনি । মেয়ে যেন পুরো সেন্সলেস অবস্থায় পড়েছিল । খুবই ভয়াবহ অবস্থা ছিল । আল্লাহর রহমতে আজকের সকাল থেকে জ্বরটা নেমেছে । তবে শরীর খুবই দুর্বল, মাথাব্যথা আছে ।ডক্টর চৌদ্দ দিনের রেস্টে থাকতে বলেছে । এখনো দুজনের জ্বর কমলেও দুজনেই বেশ দুর্বল । আর এই গত কয়েকদিনে রাত জেগে জেগে আমার অবস্থাও একদম খারাপ । সারারাত মেয়েকে নিয়ে জেগে থেকেছি । কয়েকদিন টানা ঘুম না হওয়ার কারণে আমার মাথা ব্যথা ও প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছে । সবকিছু মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি । তারপরেও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এ বিপদ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন ।
আসলে যখন নিজের শরীর কিংবা পরিবারের সবার শরীর ভালো থাকে তখন আসলে বুঝতে পারি না অসুস্থতা কি জিনিস । যখন নিজে কিংবা নিজের খুব কাছের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আসলে বোঝা যায় সুস্থতা আল্লাহর কত বড় একটা নেয়ামত। এজন্য আল্লাহর কাছে সবসময় আমাদের প্রার্থনা করা উচিত আমরা যেন সবকিছুর বিনিময়ে হলেও সুস্থ থাকতে পারি । কেননা অসুস্থ শরীরে কোন জিনিসই ভালো লাগে না । নিজের আপনজন অসুস্থ আর নিজে অসুস্থ একই কথা । তাই আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সুস্থ থাকার তৌফিক দান করেন।
আজ আর বেশি কিছু লিখব না । আজ একান্তই আমার নিজের কিছু বিষয় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে । আর একটি কথা সবাই খুবই সাবধানে থাকবেন । এখন পরিবেশ পরিস্থিতি খুবই খারাপ যাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে যে কেউই আমরা আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি । তাই সবার প্রয়োজন একটু সচেতনতা ও নিরাপদে থাকা । সবাই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় নেয়ামত আপনার কথা আমি একমত পোষণ করছি। আসলে আপনার মেয়ের জ্বরের কথা শুনে আমারও বেশ খারাপ লাগলো আপু। আসলে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর কিন্তু অনেক। আপনি সাথে সাথে ডাক্তারের সোহানা পূর্ণ হয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপু আপনার মেয়েকে এখন নরম কিছু খাবার খাওয়ান তাহলে হয়তো ভালো হবে। অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর পরামর্শের জন্য ।সবসময় ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
আসলে অসুস্থ থাকলে বুঝা যায় সুস্থতা আল্লাহ তার কত বড় নেয়ামত। অসুস্থ থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই ভালো লাগে না। আসলে আপনার মেয়ে অসুস্থতার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। মেয়েটির প্রতি খেয়াল রাখুন নিশ্চয় অসুস্থতা কেটে যাবে। সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
হ্যাঁ ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন অসুস্থ থাকলে পৃথিবীর কোন কিছুই ভালো লাগে না ।যাইহোক এখন পরিবারের সবাই মোটামুটি একটু সুস্থ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি ঠিকই বলেছেন এই আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটা পরিবারের মতো।এখানে আমরা সবাই সমান। আপনার লেখাটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার। আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় লিখেছেন আজকে। সুস্থতা সৃষ্টিকর্তা যে কত বড় নেয়ামত যে অসুস্থ হয় সেই বোঝে। সুস্থ থাকার সময় আমরা বুঝতে পারি না এর মর্ম কতটুকু। যখন অসুস্থ হয় তখন আমরা বুঝতে পারি। পুনরায় আপনার পরিবারের সকল সদস্যের জন্য দোয়া করছি এবং সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে ভাইয়া সুস্থ অবস্থায় বোঝা যায় না অসুস্থতা কি জিনিস ।যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন।
প্রথমে সবার সুস্থতা কামনা করছি। ঠিকই বলেছেন সুস্থতা যে কত বড় একটি নেয়ামত তা আমরা যখন অসুস্থ হই তখন বুঝতে পারি। আর পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে তখন কিছুই ভালো লাগেনা। অবশ্য এখনকার জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে। এজন্য সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়তই আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থ থাকার জন্য দোয়া করা উচিত।
হ্যাঁ আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন প্রতিনিয়তই আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থ থাকার জন্য প্রার্থনা করা উচিত । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথমে মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।ভাইয়া সুস্থ হলেও দুর্বল।আসলে এই সময়ের জ্বরে দুর্বল করে ফেলে। ঘরে ঘরে সব অসুস্থ। আপনি ঠিক ই বলেছেন সুস্থতা আল্লাহর অশেষ নেয়ামত।আমরা যারা সুস্থ আছি আমাদের সকলের আসলে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া করা উচিত।আপু দুজনকেই স্যুপ করে খাওয়ান।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু দুজনকে স্যুপ বানিয়ে খাইয়েছি এবং সে রেসিপিও শেয়ার করেছি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১০৪ ডিগ্রি জ্বর ভাবতেই ভয় লাগছে আপু 😭। আপনি অনেক আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আসলে এরকম বিপদ হলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। ছোট বাচ্চাদের যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে ভীষণ মুশকিল। যাইহোক আপু এখন ভাইয়া এবং মেয়ে দুজনেই একটু ভালো আছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। সুস্থ থাকলে হয়ত আমরা সুস্থ জীবনের মূল্য বুঝতে পারি না। কিন্তু অসুস্থ হলে সেই মূল্য বুঝতে পারি। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু।
সত্যি আপু বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আসলে এত জ্বর এর আগে আমি কখনো দেখিনি যার জন্য অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে সুস্থ থাকতে আমরা বুঝতেই পারি না যখন অসুস্থ হই তখনই আমরা বুঝতে পারি । সুস্থতা আমাদের জন্য আসলেই বড় একটা নিয়ামত । মেয়েটা যে এখন একটু ঠিক হয়েছে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া । তারপরও খেয়াল রাখবেন ওর দিকে । এত বেশি জ্বর উঠেছিল শরীরতো দুর্বল হওয়ারই কথা ।এখনকার ঠান্ডা জ্বর একেবারে শরীরটাকে খুব বেশি কাবু করে দেয় ।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এখনকার জ্বর শরীর বেশ দুর্বল করে দেয়।মেয়ে এখনো বেশ দুর্বল আছে। জানিনা কয়দিন লাগবে সেরে উঠতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমরা যখন সুস্থ থাকি তখন সুস্থতার মর্মতা বুঝি না। তাই যে কোন কাজ করতে আমাদের আর কোন বাধা থাকে না তাই আমাদের উচিত আরো একটু সচেতন ভাবে চলাফেরা করা। তবে একটা বিষয় খুবই ভালো লেগেছে ডেঙ্গু নেগেটিভ এসেছে শুকরিয়া। আপু একটু সাবধানে থাকবেন এবং সুস্থতার জন্য আপনাদের পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য ।আপনার জন্য সবসময়ই শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।