একদিন পদ্মা নদীর ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়া
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একদিন পদ্মা নদীর ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি । আপনারা আমার এর আগের পোস্টগুলো থেকে হয়তো জানতে পেরেছেন আমাদের শহরের খুব কাছেই পদ্মা নদী রয়েছে । বেশ কিছুদিন থেকে আমার হাজবেন্ডের মুখে শুনেছিলাম পদ্মা নদীর উপর একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট হয়েছে ।অনেকদিন থেকে আমার হাজবেন্ড বলছিল সেখানে আমাদেরকে ঘুরতে নিয়ে যাবে । কিন্তু বিভিন্ন কারণে যাওয়া হয়ে উঠছিল না । এইতো কয়েকদিন আগে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা পদ্মা নদীর ওই ভাসমান রেস্টুরেন্টে যাব । তারপর আমরা যথারীতি রেস্টুরেন্ট টিতে গেলাম । আর সেখানের কিছু দারুন দারুন মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
একদিন পদ্মা নদীর ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়া
এটি হচ্ছে সেই ভাসমান রেস্টুরেন্ট । নদীতে পানির শুরুর থেকে একটু দূরে রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত । এটি মূলত ড্রামের উপর কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে । রিকশা থেকে নামার পর কিছুদূর হেঁটে তারপরে এই রেস্টুরেন্টটিতে পৌঁছাতে হয় । আমরা খুব সাবধানে রেস্টুরেন্টে উঠলাম । তারপর দেখলাম রেস্টুরেন্ট টি বেশ চমৎকার ।
রেস্টুরেন্ট টিতে এভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ।চেয়ার দেওয়া ছিল এবং উপরে ছাউনি ছিল।। আর সামনে বিশাল বড় নদী । অনেকটা কক্সবাজারের সি বিচের মতো করে তৈরি করেছিল ।যেখানে অনেক লোকজনে ভর্তি ছিল ।আমরা একটা খালি চেয়ার দেখে বসলাম ।বসার পর সত্যি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল।আমি আমার হাসবেন্ড কে বলেছিলাম আমরা অনেক্ষন এখানে থাকবো ,সন্ধ্যার অনেক পরে যাব।আমার হাসবেন্ড তাতে রাজি হলো ।সবাই যার যার মতো করে আনন্দে সময় কাটাচ্ছিল ।
এই জায়গাটায় অনেকে হাত মুখ ধুচ্ছিল । আবার পাশে একটি বোট রাখা ছিল । অনেকে সেই বোটের উপরে বসে ছবি তুলছিল । একেক জন একেক ভাবে ফটোগ্রাফি তুলছিল । সেদিনকার আকাশটাও বেশ চমৎকার ছিল। সবকিছু মিলে পরিবেশটা সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল।
রেস্টুরেন্টের একপাশে সকলের ছবি তোলার জন্য একটি সেলফি কর্নার ছিল । যেখানে অনেকেই বসে ছবি তুলছিল । আমার মেয়ে ওখানে বসে বেশ কয়েকটি ছবি তুলতে শুরু করল । রেস্টুরেন্টের সবথেকে বেশি মজার বিষয় হচ্ছে যখনই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে শুরু করলো তখনই সেলফি কর্ণারে আলো জ্বলে উঠলো ।বেশ ভালো লাগছিল দেখতে।
বেশ কিছুক্ষণ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার পর খিদে পেয়ে গেল । তারপর আমরা কিছু খাবার অর্ডার করলাম । ফুচকা,ড্রিঙ্কস, আমার জন্য হট কফি ,হাজবেন্ডের জন্য আইসক্রিম কোল্ড কফি অর্ডার করেছিলাম ।
সব গুলো ছবির লোকেশন -লিংক
তারপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে আসলো ।রেস্টুরেন্টটিতে একটি ঝুলন্ত দোলনা ছিল যে দোলনাটিতে সন্ধ্যা হওয়ার পর পর বিভিন্ন কালার হচ্ছিল । রংবেরঙের কালারের বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি হচ্ছিল । আমার মেয়ে দোলনায় চড়ে দোল খাচ্ছিল ,আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফ তুলেছিলাম । তারপর রাত যত গভীর হচ্ছিল আকাশটা যেন তত বেশি সুন্দর হয়ে উঠছিল । আকাশের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি এরপরে কোন একদিন শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
নদীর সৌন্দর্য দেখতে সবসময়ই অনেক ভালো লাগে। নদীতে এরকম ভাসমান রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এরকম জায়গায় খাওয়ার চেয়ে দেখতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, দেখতে একদম সিবিচের মতো লাগছে। ফুসকা, কোল্ড কোল্ড কফি, হট কফি, সবগুলো খাবার অনেক লোভনীয় ছিল। মামনিকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছিল। স্বামী সন্তান নিয়ে খুবই ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। আর সেই মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু জায়গাটি এত সুন্দর যে এখানে খাবার থেকে দেখার সৌন্দর্যটাই মানুষকে মুগ্ধ করে । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন ।
আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে বেঞ্চ আর এর উপরের ছাউনি। আর হট কফির কথা কি বলব এমন জঘন্য কফি আমি আমার জীবনে খাইনি ঐ দিন আপনার হাজবেন্ড ও আমার সাথে ছিল। মনে হয় যে কফিটা বানিয়েছিল সে আমাকে দিয়েই প্রথম কফি বানানোর চেষ্টা করেছিল। যাইহোক আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া খাবারের স্বাদের কথা আমি তেমন কিছু এজন্যই বললাম না । তবে জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
এই রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে আমি আগেও শুনেছি। কিন্তু এত ডিটেলস ভাবে দেখিনি। ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই চমৎকার পরিবেশ । বিশেষ করে বসার জায়গা গুলো খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া সেলফি কর্নার খুব চমৎকার। আপনার হাসবেন্ডের সঙ্গে সময় করে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। এটা অবশ্য ভালো বুদ্ধি করেছেন যে অনেক সময় এখানে থেকেছেন। সন্ধ্যার পরের সৌন্দর্যটাও উপভোগ করতে পেরেছেন। এর পরের বার গেলে আমাকে নিয়ে যাবেন অবশ্যই। খুব ভালো লেগেছে।
আপনি এরপর আবার আসলে তখন হয়তো এই রেস্টুরেন্টই থাকবেনা। কেননা নদীতে যখন পানি বেশি থাকে তখন এই রেস্টুরেন্ট ভাসমান অবস্থায় থাকে ।নদীর পানি দূরে চলে গেলে রেস্টুরেন্ট টি হয়তো উঠে যাবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপু, আমার বাড়ি মাদারীপুরে। সব সময় পদ্মা নদী পার হয়েই যেতে হয়।কিন্তু কখনো ভাসমান রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়নি বা দেখা হয়নি। পানির উপরে একটা রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার দিকে সময় কাঁটানো আসলেই অনেক মজার। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেল্ফি তোলার স্থান এবং দোলনার বিষয়টা। দোলনাটা কিন্তু শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য চমৎকার। যেহেতু এটি বিভিন্ন কালার ধারণ করে। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্ট টিতে যতগুলো বাচ্চা ছিল সবার আকর্ষণ ছিল এই দোলনা টি। এক জনের পর একজন দোলনায় চড়ছিলো দোলনায় জায়গা পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
পদ্মা নদীতে ভাসমান রেস্টুরেন্টে আপনার কাটানো সময়টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া পরিবারের মানুষের সাথে যে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে সেই সময়টুকু অনেক মধুর হয়। ঠিক তেমনি আপনার হয়েছিল আপু। সুন্দর সময় কাটানো পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারের সাথে যে কোন জায়গায় সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
পদ্মা নদীর ওপরে এই ভাসমান রেস্টুরেন্টের কথা তো অনেক শুনলাম কিন্তু যেতে তো পারলাম না, জানি না কখনো যেতে পারব কিনা। কিন্তু আপনার ছবিগুলো দেখে ও লেখাগুলো পড়ে তো আরো যাওয়ার ইচ্ছা জাগছে। আসলেই ছবিগুলো দেখে কক্সবাজার সি বিচের মতই লাগছে। আর খাবারগুলো অনেক লোভনীয় লাগছে। পরিবারের সাথে অনেক ভাল একটু সময় কাটিয়েছেন তা আপনার বাচ্চার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
খাবারগুলো ভালো ছিল না । কিন্তু পরিবেশটা চমৎকার ছিল । আপনাকে কত করে যেতে বললাম আপনি তো গেলেন না । এখন আর আফসোস করে লাভ কি ? ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
এই ভাসমান রেস্টুরেন্টটা নিয়ে এর আগেও একটা পোস্ট দেখেছিলাম। তবে আজকে আপনার মাধ্যমে আরো বিস্তারিতভাবে জানলাম এবং দেখলাম। সত্যি বলতে একজন মানুষকে আকর্ষণ করে নিয়ে আসার মত সব ধরনের ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে দেখছি এই রেস্তোরায়। নদীর পাড়ে এত সুন্দর ছনের ছাউনি দিয়ে বসার ব্যবস্থা এটা সত্যিই মনমুগ্ধকর।। ছবি তোলার জন্য সেলফি কর্ণাট টাও অসাধারণ লেগেছে। পড়ন্ত বিকালে এরকম একটা জায়গায় পরিবার নিয়ে যেতে পারলে নিঃসন্দেহে দারুন একটা সময় কাটবে। ভীষণ ভালো লাগলো আপু আপনার আয়োজনটা।
এই ভাসমান রেস্টুরেন্ট নিয়ে আমি এই প্রথম পোস্ট করলাম । এর আগে হয়তো আপনাদের ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন । যাইহোক আপনার মন্তব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
ফটোগ্রাফিতে পদ্মা নদীর ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়ার অনেক গুলো অনুভূতি আমাদের মাঝে সেয়ার করলেন। নদীর উপরে এমন একটি রেস্টুরেন্টে বিকাল বেলা সময় কাটাতে ভালই লাগবে। আর সময় কাটানোর জন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু চেয়ার আর সেলফি কর্নারের ব্যবস্থা করেছেন। এই রেস্টুরেন্টি নিয়ে আমি আরো দুইজনের পোষ্ট পড়েছি। সবাই ভালই সাপোর্ট করেছে। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া জায়গাটি বেশ সুন্দর ।।যে যাবে সেই মুগ্ধ হবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।