ডিমের পুডিং তৈরির রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আমার আজকের রেসিপিটি খুবই মজার একটি রেসিপি । যেটি বাচ্চা থেকে বড়রা সবাই পছন্দ করে । খুব অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করা সম্ভব । আর খেতেও দারুন মজার । সেই রেসিপিটি হচ্ছে ডিমের পুডিং রেসিপি । দুদিন আগে আমি এই পুডিং টি তৈরি করেছিলাম । তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সঙ্গে সেই রেসিপিটি শেয়ার করি । হয়তো আপনাদের ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি ডিমের পুডিং রেসিপি।
ডিমের পুডিং তৈরির রেসিপি
- দুধ - ১ লিটার
- ডিম - ৩টি
- চিনি - ৪টেবিল চামচ
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে এক লিটার দুধ জ্বালিয়ে হাফ লিটার করে নেই।
তারপর তিনটি ডিম ভেঙ্গে নেই।
তারপর একটি হ্যান্ড বিটার দিয়ে ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নেই।
ডিম ভালো করে ফেটানো হয়ে গেলে চার টেবিল চামচ চিনি দিয়ে দেই।
তারপর আবারো বিট করে নেই।
তারপর আগে থেকে জ্বালানো সেই দুধ দিয়ে দেই।(তবে দুধ নরমাল টেম্পারেচার হতে হবে)।
তারপর আবারো ভাল করে বিট করে ডিম ও দুধের মিশ্রণটি একদম রেডি করে নেই।
তারপর একটি পাত্র চুলায় বসিয়ে দেই ।তাতে সামান্য পানি ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল করি।
কিছুক্ষণ পর এভাবে ক্যারামেল তৈরি করে নেই।
তারপর ওই পাত্রের মধ্যে ডিম ও দুধের মিশ্রণটি ঢেলে দেই ও একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই।
তারপর একটি প্রেসার কুকার নেই । তাতে সামান্য পানি দিয়ে ডিম দুধের ওই পাত্রটি বসিয়ে দেই ।(পাত্রটির অর্ধেকের নিচে পানি থাকবে।) এখন বারটি সিটি উঠিয়ে নেই। তারপর চুলা বন্ধ করে দেই।
তারপর পুডিং টি একদম ঠান্ডা হলে প্রেসার কুকার থেকে বের করে পুডিং এর চারপাশে ছুরি দিয়ে কেটে একটি প্লেটে ঢেলে নেই । ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার ডিমের পুডিং। খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিল । ফ্রিজে রেখে খেলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আসলে আপু এই ডিমের পুডিংটা সবাই পছন্দ করে খেতে ভালো লাগে । খুব অল্প উপকরণ দিয়ে অতি সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় । আপনার ডিমের পুডিং টি দেখে তো আমারই খেতে মন চাইছে । কালারটা অনেক সুন্দর এসেছে । দেখলাম অন্য আরো একজন বানিয়েছে তার কালার টা বেশি ভালো হয়নি তবে আপনারটা দেখতে ইয়াম্মি লাগছে ।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে মজার খাবার তৈরি করে ফেলা যায় ।আপনার কাছে আমার পুডিং এর কালার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুডিং খেতে আমার খুবই ভালো লাগে মাঝে মাঝে ছুটির দিনে একটি বাসায় প্রস্তুত করা হয়।
আজ আপনার প্রস্তুত প্রণালী ও ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। ছুটির দিনে এটি আপনাদের তৈরি করা হয় জেনেও ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পুডিং খুবই ভালো লাগে কিন্তু বেশি খেতে পারি না এটা অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে, সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে ডিমের পুডিং তৈরি করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন চমৎকার হয়েছে।
ভাইয়া অনেক বেশি মিষ্টি যেকোনো জিনিস খেতে ভালো লাগে না । তবে আমি পরিমাণ মতো মিষ্টি দেই খেতে বেশ ভালোই লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ডিমের পুডি অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। বিশেষ করে বাচ্চাদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে ডিমের পুডিং অনেক ভালো কাজ করে। আপনি বেশ মজার করে ডিমের পুডি রেসিপি শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া পুডিং এর কালার অনেক সুন্দর এসেছে।
আপু আপনার কাছে আমার পুডিং এর কালার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল।
পুডিং আমার অনেক পছন্দ। আর ডিমের পুডিং হলে তো কোন কথাই নেই। আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপু পুডিং আপনার অনেক পছন্দের জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন।
ডিমের পুডিং তৈরির রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে, এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার রেসিপিটি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছে করছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু এত রাতে আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আমি এবং আমার ছেলে পুডিং খেতে অনেক পছন্দ করি। দু'দিন আগে আমিও বানিয়েছিলাম। আমার কাছে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই পুডিং ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলেই বেশি ভালো লাগে । আপনি ও আপনার ছেলে দুজনে এটা পছন্দ করেন যেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও পুডিং খেতে আমি খুব একটা পছন্দ করি না তবে মাঝেমধ্যে বানাতে হয় কারণ আপনার ভাইয়া অনেক পছন্দ করেন। আপনার ডিমের পুডিং টা একদম পারফেক্ট হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার মত আমিও পুডিং খুব একটা পছন্দ করি না তবে মেয়ে ও মেয়ের বাবা পছন্দ করে যার জন্য বানাতে হয় । ভাইয়াও পুডিং পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিমের পুডিং আমি বেশ কয়েকবার তৈরি করেছিলাম। এভাবে ডিমের পুডিং রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনি খুবই অল্প উপকরণ ব্যবহার করে এই ডিমের পুডিং রেসিপি টা তৈরি করেছেন এবং এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এরকম পুডিং তৈরি করার পরে ফ্রিজে রাখলে একটু বেশি ভালো লাগে খেতে আমার কাছে। মজাদার এই পুডিং রেসিপিটা এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন পুডিং ফ্রিজে রেখে খেতে বেশ ভালোই লাগে । আপনিও বেশ কয়েকবার বানিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
পুডিং আমারও মাঝে মাঝে বানানো হয়।আপনার রেসিপি দেখলাম।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। খেতে ভীষণ মজার হয়েছে আশাকরি।অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল । আর আপনিও এটি মাঝে মাঝে বানান জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।