ফুড ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। খাবার খেতে আমরা সবাই ভীষণ পছন্দ করি ।আর মজার মজার খাবার দেখলে তো বেশ ভালো লাগে। আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন খাবার খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি সেই খাবারগুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগে ।এই তো কিছুদিন আগে আমাদের শহরে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্টদের উদ্যোগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে গিয়েছিলাম পিঠা উৎসব উপভোগ করতে। সেখানে যাবার পর মজার মজার কিছু খাবার দেখেছিলাম। তারই কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
ফুড ফটোগ্রাফি
প্রথমেই যে খাবার টি আপনারা দেখতে পারছেন খুবই ইউনিক একটি খাবার।খাবার টি হচ্ছে কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার। কোয়েল পাখির ডিম দিয়ে যে বার্গার তৈরি করা যায় এটি আমার জানা ছিল না ।এবারই প্রথম পিঠা উৎসবে গিয়ে কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার দেখতে পেলাম। খুবই আনকমন একটি খাবার লেগেছিল আমার কাছে ।দেখতেও খুবই চমৎকার লেগেছিল। সত্যিই এই রেসিপিটি বেশ ইউনিক ছিল।
এটি হচ্ছে মজার স্যান্ডউইচ। এটিও পিঠা উৎসবে দেখা। মূলত এগুলো স্টুডেন্টরা নিজ হাতে তৈরি করেছিল। এই খাবারটি দেখতেও বেশ চমৎকার ছিল ।খেতেও নিশ্চয়ই খুবই মজার হয়েছিল। স্যান্ডউইচ খেতে বেশ ভালই লাগে । এই স্যান্ডউইচটি দেখতে একটু অন্যরকম লেগেছিল। যদিও আমি খেয়ে দেখি নি। তবে মনে হয়েছে খেতে বেশ ভালই হবে ।দেখতে তো বেশ চমৎকার ছিল।
এই দুটি ভিন্ন আইটেমের দুটি চপ ছিল। একটি আলুর চপ অন্যটি চিকেন চপ। সাধারণত আমার কাছে গরম গরম চপ খেতে ভালো লাগে। কিন্তু এখানে দীর্ঘক্ষণ প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছিল যার কারণে এটি আমি খেয়ে দেখি নি ।কেননা ঠান্ডা চপ খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। সেটি যতটা সুস্বাদুই হোক না কেন ।তবে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
এটি ছিল হালুয়া। সম্ভবত এটি গাজরের হালুয়া ছিল ।ওপরে জেমস দেওয়া ছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তবে এটি ধুলোবালি থেকে রক্ষার জন্য পাতলা পলি দিয়ে মোড়ানো ছিল। এ ধরনের হালুয়া খেতে বেশ ভালোই লাগে। যদিও বাসায় খুব একটা করা হয়ে ওঠে না ।তবে খেতে ভালই লাগে।
আর এটি ছিল নকশী পিঠা। পুরো মেলায় বিভিন্ন ধরনের নকশী পিঠা ছিল। প্রতিটি স্টলে বিভিন্ন আইটেমের নকশি পিঠা দেখতে পেয়েছিলাম। নকশি পিঠাগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে ।যদিও এগুলো খেতে খুব একটা ভালো লাগে না । তারপরেও দেখতে কিন্তু খুবই চমৎকার লাগে।
আর এটি হচ্ছে খুবই মজার মিষ্টি ,যার নাম পান্তোয়া ।আমার তো ভীষণ পছন্দের একটি মিষ্টি।মিষ্টির মধ্যে এটি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন পিঠার আইটেমের সঙ্গে এই মিষ্টি দেখলাম প্লেটে সাজিয়ে রেখেছে। সত্যি এটি বেশ অন্যরকম ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় এটিও বাসায় তৈরি করা । যাইহোক সবগুলো খাবারের আইটেমই খুবই লোভনীয় ছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
স্টুডেন্টদের আয়োজন করা এই পিঠা উৎসবে সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল। ইউনিক কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলাম। কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার টা খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। খাবারটা দেখতেও খুব কিউট। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার দেখে আমি সত্যি অবাক হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে, বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাবারগুলোও বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সব গুলো ফুড ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। তবে কি আর বলার দেখে তো লোভ লেগে গেলো। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া রোজার দিনে লোভ লাগানোর জন্য দুঃখিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার করা ফুড ফটোগ্রাফি গুলি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু।এরকম ফটোগ্রাফি গুলি দেখলে মন শুধু খাওয়ার আনচান করে।যদিও এখন রোজা আছি।তবে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলি একদম অসাধারণ হয়েছে আপু। পন্থয়া মিষ্টি আমার ও ভীষণ পছন্দের ।গরম গরম চপ বেশ মজাই লাগে আপু।সাথে কয়েক পাখির ও যে বার্গার তৈরি করা যায় বা হয় এটা এই প্রথম দেখলাম আপু।যাইহোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্ট টি ছিল দৃষ্টি নন্দন।
ভাইয়া রোজার দিনে খাবার দেখে মন আনচান করা যাবে না ।একটু সংযত থাকতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা দেখছি অনেক ভালো৷ প্রতিনিয়ত আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আসছেন। আজকেও খুবই সুন্দর কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো ফুড ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ এর মধ্যে স্যান্ডউইচ ও হালুয়ার ফটোগ্রাফি একটু বেশি ভালো লেগেছে৷ এরকম ফটোগ্রাফি দেখলে মনটা একেবারেই ভালো হয়ে যায়৷ এগুলোকে দেখে এখনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷
ভাইয়া আপনার কাছে আমার ফুড ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
ইদানিং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পিঠা উৎসব টা বেশ আয়োজন করা হচ্ছে। কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার আমি প্রথমবার দেখলাম। সত্যি বলতে দেখে বেশ অবাক হয়েছি। স্যান্ডউইচ তো পরিচিত একটা খাবার। তবে পান্তোয়া টা বেশ সুন্দর লাগছে। বেশ সুন্দর করেছেন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আমিও কোয়েল পাখির ডিমের বার্গার এই প্রথম দেখলাম। বেশ ইউনিক আইডিয়া ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। খাবার গুলো দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে স্যান্ডউইচ। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া স্যান্ডউইচ আপনার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি তো পিঠা উৎসবে গিয়ে খুব চমৎকার ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফুল ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। তবে আপু আপনি এমনিতেই বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আজকে আপনার ফুড ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে ফুড ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার কাছে আমার ফুড ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি খুব সুন্দর করে ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন।ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিঠা উৎসবে আপনি ফুড ফটোগ্রাফি গুলো করলেন। আসলে পিঠা উৎসবে গেলে অনেক রকমের পিঠা দেখা যায়। সত্যি আপনার ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু পিঠা উৎসবে গেলে সত্যিই ভীষণ চমৎকার চমৎকার খাবার দেখা যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেগুলো দেখে আমি তো লোভ সামলাতেই পারছি। এই মজার মজার খাবার গুলো কিন্তু ইফতারের সময় খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগবে। একেবারে লোভনীয় এবং সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। যেগুলো দেখতেও লোভনীয় লাগছে। আমার কাছে তো প্রথম তিন চারটা খাবারের ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, যেগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে করে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার কাছে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।