টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে এসেছি । আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্নার রেসিপি । বাইম মাছ একটি সুস্বাদু মাছ আর এটি টমেটো দিয়ে ভুনা করলে খেতে বেশ ভালো লাগে । টমেটো দিয়ে যেকোন তরকারি রান্না করলে আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে । তাইতো এখন শীতকালে আমি যে কোন তরকারির মধ্যে টমেটো দিয়ে থাকি । আজকে টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্না কিন্তু দারুণ হয়েছিল । সঙ্গে একটু ধনিয়া পাতা দিলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায় ।আজকের সেই রেসিপিটিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্নার রেসিপি । |
---|
টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
বাইম মাছ | ১০ পিছ |
আলু | ১ টি |
টমেটো | ১ টি |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণমত |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে আলু গুলি দিয়ে দেই ।আলুগুলি এপাশ ওপাশ উল্টিয়ে ভালো করে ভেজে নেই ।
আলুগুলি ভালো মতো ভাজা হলে একটি বাটিতে তুলে রাখি । তারপর ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই ।
তারপর পেয়াজগুলি বাদামি করে ভাজা হলে সব বাটা মশলা ও সব গুঁড়ো মসলা , লবণ দিয়ে দেই ।
তারপর মসলাটা ভালো মতো নেড়েচেড়ে কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে দেই ।
তারপর মাছগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে একটু রান্না করে সামান্য একটু পানি দিয়ে দেই ।
তারপর মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে আলু গুলি ও টমেটো দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে নেই ।
তারপর একটু পানিও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি ।
তারপর ধনিয়া পাতা ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি ।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্না । এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আগে বাইম মাছ অনেক দেখা যেতো বর্তমানে তেমন একটা বাইম মাছ দেখা যায় না। আপনি টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্না করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ অসাধারণ হয়েছে। আসলে শীতকালে মাছের সাথে টমেটো না দিলে কেমন যেন স্বাদের পূর্ণতা পায় না। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এখন বাইম মাছগুলো একটু কমই পাওয়া যায় । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন ।
কতদিন হয়ে গেছে বাইম মাছ খাই না। আপনি তো খুব মজা করে রান্না করেছেন। ঠিকই বলেছেন টমেটো দিলে যে কোন মাছের টেস্ট পরিবর্তন হয়ে যায়। শীতকাল আসলে আমিও খুব বেশি পরিমাণে টমেটো খেয়ে থাকি। এত সুন্দর করে আপনি টমেটো দিয়ে মাছের তরকারি রান্না করেছেন আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
আপু আপনি অনেক দিন বাইম মাছ খান না জেনে বেশ খারাপ লাগলো । আর আমার রেসিপিটি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছে করছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
বাইম মাছের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি এই বাইম মাছ গুলো খাই না।ছোট ছোট গচি বাইম যেগুলো সেগুলো খাই। আমার হাসবেন্ড এই বাইম মাছ খেতে খুবই পছন্দ করে কিন্তু আমি খাই না জন্য সেও এখন আর খায় না।
ছোট বাইম মাছের মধ্যে মাংস একদম নেই বললেই চলে কিন্তু এগুলোতে অনেক মাংস থাকে তাই খেতে বেশ ভালোই হয় মনে হয়। টমেটো দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি টমেটো দিয়ে বাইম মাছের ভুনা রেসিপি টি খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এবং সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।
আসলে আপু বাসায় একজন না খেলে অন্যজনেরও খাওয়াটা সেরকম হয় না । এই মাছটা আমার হাজবেন্ডও খেতে চায় না কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে এই জন্য বাসায় এনে থাকে । আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমাদের দিকে নদীতে অনেক পাওয়া যেত বাইম মাছ! সময়ের পরিক্রমায় এখন যেন মাছটিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে! বাজারে বাইম মাছ পেলেও আগের মাছের মতো এখন স্বাদ পাওয়া যায় না। আর টমেটো দিলে রেসিপির স্বাদ অন্যরকম হয়ে যায়! একটু বেশি করে ঝুল দিলে খেতেও মজা হয়।
আসলে ভাইয়া এখন আগের মত কোন মাছেই সেরকম স্বাদ নেই । সবকিছুই যেন কেমন স্বাধহীন হয়ে যাচ্ছে । তবে টমেটো দিয়ে রান্না করলে যে কোন রেসিপি খেতে মজার হয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনি ঠিক বলছেন আপু শীতকালে টমেটো দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্না করেছেন রেসিপিটি দারুন হয়েছে।কালারটা যেহেতু অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে খেতেও দারুন ছিল।মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এভাবে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়ে থাকে । আমার রেসিপিটিও বেশ মজার হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
টমেটো দিয়ে বাইম মাছ রান্নার রেসিপি দেখে খুবই মসলার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন।রেসিপি পরিবেশনে অনেক ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । আর টমেটো দেয়ার কারণে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
শীতকালে অনেক ধরনের সবজির মধ্যে টমেটো অন্যতম। টমেটো আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এই টমেটার মধ্যে যদি কোন মাছ দিয়ে রান্না করা যায় তাহলে টমেটো স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আপনি বাইম মাছ দিয়ে খুবই সুন্দর করে টমেটো রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই ধরেছেন রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল । আর এভাবে রান্না করলে খেতে তো মজা হবেই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আলুর টমেটো ও বাইন মাসের সমন্বয়ে নিরামিষ একটি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো খুব সুন্দর করে টেবিল আকারে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যা প্রত্যেক পাঠকের প্রতি এবং দেখতে সুবিধা হবে। যে কেউ চাইলে এভাবে রান্না করে আমাদের মাঝে দেখাতে পারবে। রান্নাটা যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে তা ফটো দেখে বোঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া রান্নাটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল । আসলে টমেটো দিয়ে এভাবে মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে । এই রেসিপিটিও খেতে বেশ ভালো হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।