গল্প|| অনিশ্চিত জীবন পর্ব -(১)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি।আসলে গল্প মানেই আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা । যেই ঘটনা গুলো এক একটি গল্প আকারে আমাদের কাছে এসে ধরা দেয় ।আসলে প্রতিটি গল্পই আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা। আজকে আমি যে গল্পটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব এটি বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখেই মূলত লেখা। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের গল্পটি ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল গল্পে।
গল্প|| অনিশ্চিত জীবন পর্ব -(১)
শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রোজি। বাবা-মা দুই বোন নিয়ে তাদের সংসার। রোজি বোনের মধ্যে বড়। রোজি মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে। পড়াশোনা করাকালীন রোজির নিলয়ের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের দুজনের বিয়ে হয় ।বিয়ের পর রোজি তার স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছিল। বেশ ভালো কাটছিল তার দিনগুলো ।তার হাজবেন্ডের সঙ্গে তার বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেহেতু তাদের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপরেও দেখা যায় বিয়ের পর অনেক ছেলে বদলায়। তার রূপ পরিবর্তন হয়। কিন্তু তার স্বামী নিলয়ের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায়নি ।নিলয় রোজিকে আগের মতই ভীষণ ভালোবাসতো।
এভাবেই তাদের সময় গুলো বেশ আনন্দের সঙ্গে কাটছিল। দেখতে দেখতে তাদের বিয়ের বয়স এক বছর পার হয়ে যায়। ভীষণ ভালোবাসে একে অপরকে। তারপর একদিন নিলয়ের জন্মদিন আসে। আগে থেকে তারা দুজন ঠিক করে রাখে জন্মদিনের দিন তারা বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাবে। নিলয় আগে থেকে রোজিকে জানিয়ে রাখে ,আমি অফিস থেকে রেস্টুরেন্টে যাব ।তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তোমাদেরকে বাসার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে আবার অফিসে ফিরে যাব । রোজিও সেভাবেই সময়মতো তৈরি হয়ে নিল ।রোজির সঙ্গে তার বোনও ছিল।
তারপর যথাসময়ে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেল। রেস্টুরেন্টে বেশ খাওয়া-দাওয়া হাসি আনন্দ করে সময়টা তারা পার করলো ।তারপর যখন তাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলো তখন তারা বাসায় যাবার জন্য রেডি হল ।তখন রোজির হাসবেন্ড নিলয় রোজি ও তার বোনকে গাড়িতে তুলে দিল। আর সে বাইক নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। মাত্র পাঁচ মিনিট যাবার পর রোজির হাসবেন্ড বাইক এক্সিডেন্ট করল।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানেই অজানা নাম্বার থেকে রোজির মোবাইলে ফোন আসলো এবং তাকে জানানো হলো বাইক এক্সিডেন্টে নিলয়ের স্পট ডেথ হয়েছে। রোজি যেন এক মুহূর্তের জন্য নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না ।এটা কি খবর শুনল সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। তারপর সে গাড়ি ঘুরিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে গেল । যেয়ে দেখল নিলয়ের নিথর দেহটা পড়ে আছে রোডের পাশে ।এরকম পরিস্থিতিতে রোজি কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না ।তার সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার লাগছিল। সে সেন্সলেস হয়ে ওখানেই পড়ে গেল।
(চলবে)
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আসলেই আমাদের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই। কখন কি হয়ে যেতে পারে সেটা বলা যায়না। রেস্টুরেন্টে বসে সবাই কত আনন্দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করছিল, ঠিক পাঁচ মিনিট পরই মৃত্যুর সংবাদ আসলে। এভাবেই যেন আমরা একদিন হারিয়ে যাবো এই পৃথিবী থেকে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন কখন কার ডাক এসে যাবে সে তখন হারিয়ে যাবে। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রোজি আর নিলয়ের গল্পটা বেশ ভালো লাগছিল তারা দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করল। একে অপরকে খুব ভালবাসতো কিন্তু হঠাৎ করেই এক্সিডেন্ট করে নিলয়ের স্পট ডেথ হয় আর গল্পে যেন দুঃখ নেমে আসলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ভাই আপনার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
এটা বাস্তব সত্যি জীবন সবারই অনিশ্চিত। আসলে আমাদের এক মিনিটের বিশ্বাস নেই। নিলয়ের মৃত্যুর খবর রোজি কিভাবে বিশ্বাস করবে।রোজি সেন্সলেস হওয়া স্বাভাবিক। এমন ঘটনা শুধু রোজি কেন কেউ মেনে নিতে পারে না। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ এরকম ঘটনা ঘটলে যে কেউ মেনে নিতে পারবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমার কাছে এরকম বাস্তব জীবনের কাহিনীগুলো গল্প আকারে লিখতে বেশি ভালো লাগে। এগুলো পড়তেও ভালো লাগে। কারণ অনেক কিছু শেখা যায়। রোজী আর নিলয়ের সবেমাত্র সংসার শুরু হয়েছিলো। তার মধ্যে নিলয়ের এরকম অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া খুব কষ্টকর। শুনেতো আমার খুব খারাপ লাগছে। তাহলে রোজির অবস্থা কি হয়েছিল তা আর বুঝতে বাকি নেই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
হ্যাঁ আপু রোজির জীবনে বড় ধরনের একটি ঝড় নেমে এসেছিল। আপনার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই গল্পটি সত্যি অনেক কষ্ট দিয়েছে। অনেক আনন্দময় মুহূর্ত তারা রেস্টুরেন্টের উপভোগ করেছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ এই মাত্র ৫ মিনিট বাইক চালিয়ে গিয়েছে তার ভিতরেই রোজির কাছে ফোন আসলেও তারা হাজবেন্ড বাইক এক্সিডেন্টে মারা গেছে সত্যিই এই ফোনটা যে কতটা কষ্টে ছিল সেটা বলার মতো না।আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষা রইলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া এরকম ঘটনা যার জীবনে ঘটে সেই বুঝতে পারে তখন কি অবস্থা হয় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে জীবন সবসময় অনিশ্চিত৷ কারো জীবন কখনোই নিশ্চিত নয়৷ কেউ কখনো বলতে পারে না সে কতদিন বেঁচে থাকবে অথবা কতদিন তার জীবনের পথ চলবে৷ হঠাৎ করে যে কেউ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে৷ ঠিক তেমনি নিলয়ের এই মৃত্যুর খবর রোজী বিশ্বাস করতে পারেনি এবং এরকম মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করার সেই ক্ষমতাও সবার থাকে না৷
আপনি ঠিকই বলেছেন যে কোন সময় যে কেউ মারা যেতে পারে ।আমাদের জীবনটাই আসলে অনিশ্চিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও গল্পের একটি ধামাকা মোড নিয়ে এসেছেন আপু আপনি। এরকম গল্প গুলো পড়তে বেশ মজাই লাগে। কিন্তু গল্পের বেশ কিছু বিষয় খুবই কষ্টদায়ক হয়। কেননা যেমন রুজি আর রুজির হাসবেন্ড তারা আগে থেকেই প্রেমের রিলেশনে যুক্ত ছিল এবং খুবই স্বাভাবিকভাবে তাদের পরিবার থেকেই বিয়ে হয় আর তারা সুখে শান্তিতেই ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই রোজির হাজবেন্ড এক্সিডেন্টে মারা যায়। এটা যে কোন মেয়ের জন্য হার্ড স্টোক করার মত অবস্থা। যাইহোক গল্পটি ভালো লেগেছে আপু পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্ব নিশ্চয়ই পড়বেন।ধন্যবাদ।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গল্পের প্রথম দিকটা পড়তে খুব ভালোই লাগছিল। তবে শেষ মুহূর্তটা দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। তাদের এরকম একটা সুখের জীবন নিমিষেই ধ্বংস হয়ে গেল। বাইক এক্সিডেন্টে তার হাজবেন্ডের মৃত্যু হয়েছে এটা শুনে আমি নিজেও এটা মানতে পারছিলাম না। এর পরবর্তীতে রোজির কি অবস্থা হবে আমি তো শুধু এটাই ভাবছি। আশা করি গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনি তাড়াতাড়ি সবার মাঝে শেয়ার করে নিবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এটা শেয়ার করার জন্য।
আপু গল্প টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।গল্পের দ্বিতীয় পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব ।পাশে থাকবেন নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবন সত্যিই কিন্তু অনিশ্চিত। কখন যে কার মৃত্যু হবে এটা আমরা কেউই বলতে পারব না। এক মিনিটের মধ্যে সবকিছু অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। বাস্তবতার সাথে মিল রেখে আপনি এটা লিখেছেন দেখে ভালো লেগেছে। কিন্তু রোজির হাজবেন্ডের মৃত্যুর কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। বিয়ের মাত্র এক বছর হয়নি বাইক এক্সিডেন্টে তার হাসবেন্ড মারা গিয়েছে। সত্যিই এটা তার পক্ষে মেনে নেওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। সে তো দেখছি তার হাজবেন্ডের এরকম একটা দৃশ্য দেখে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। এর পরবর্তীতে কি হবে এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম এখন।
ভাইয়া এরকম পরিস্থিতিতে যে কেউই সেন্সলেস হয়ে যেতে পারে ।এটা আসলে সহ্য করা যায় না ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এরকম বাস্তব ঘটনা নিয়ে গল্প সেটা পড়তেও ভালো লাগে বা লিখতেও ভালো লাগে । আপনার গল্পটি প্রথম দিকে অনেক ভালো লাগলো । কিন্তু পরে তো সেটা হৃদয়বিদারক হলো । তাদের সংসারে শুরু হতে না হতেই আবার নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে গেল । আসলে এই মোটরসাইকেল যে কত জনের জীবন অকালে কেড়ে নিচ্ছে তার কোন শেষ নেই । মোটরসাইকেলের নাম শুনলেই তোমার কাছে ভয় লাগে ।
আপু মেয়েটির জীবনে সত্যিই করুন পরিণতি নেমে এসেছিল। এ ধরনের ঘটনা সত্যি ভীষণ কষ্ট দেয় । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।