রাতের বেলায় নদীর পারের রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । এইতো কিছুদিন আগে রাতের বেলায় পদ্মার পাড়ে একটি রেস্টুরেন্টে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলাম সেই মুহূর্ত নিয়ে আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আসলে প্রতি বছরই নদীর পানি বাড়ে তখন নদীর তীরবর্তী এই রেস্টুরেন্ট টি তৈরি করা হয় । গত বছরও এই রেস্টুরেন্ট টি তৈরি করা হয়েছিল । তবে সেবার নিচে ড্রাম দেওয়া ছিল ও উপরে কাঠের ছিল ।পানি যত বাড়তে থাকতো ড্রাম গুলো তত উপরের দিকে উঠতে থাকতো। তবে এবার পুরোপুরি বাঁশ কাঠ দিয়ে মজবুত করে তৈরি করা হয়েছে । বেশ উঁচু করে রেস্টুরেন্ট টি এবার তৈরি করা হয়েছে । সে রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত নিয়েই আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রাতের বেলায় নদীর পারের রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময়
মূলত সেদিন রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম বিকেল বেলায় বেশ কিছু সময় ওখানে কাটাবো সেই চিন্তা থেকেই ।রেস্টুরেন্ট টিতে যাওয়ার পর প্রথমে আমরা নদীর পাড় দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম । তারপর রেস্টুরেন্ট টিতে যেয়ে বসলাম । রেস্টুরেন্ট টিতে ভেতরেও বসার ব্যবস্থা ছিল আবার নদীর কাছাকাছি বাইরেও ছাউনি দিয়ে চেয়ার করা ছিল । সেখানেও দারুণ বসার ব্যবস্থা । আমরা বাইরে বসে ছিলাম একদম নদীর সামনাসামনি।
রেস্টুরেন্ট টিতে একটি সেলফি কর্নার ও একটি দোলনা ছিল । যেখানে অনেকেই বসে দোল খাচ্ছিল এবং সেলফি তুলছিল । আমার মেয়েও বেশ কিছুক্ষণ দোল খেয়েছিল।
ধীরে ধীরে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতে লাগলো । আর দারুন সময় উপভোগ করতে লাগলাম আমরা । আসলে রাতের বেলা নদীর কাছাকাছি থাকতে পারলে সেটা সত্যি অনেক ভালো লাগে । কিন্তু সেদিন খুব একটা বাতাস ছিল না যার জন্য একটু গরম লাগছিল।
রেস্টুরেন্ট টি ওপেন হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি । তার পরেও লোকজনের বেশ আনাগোনা দেখতে পেলাম ।অনেকেই রেস্টুরেন্ট টিতে এসেছে এবং আমাদের মত বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা উপভোগ করছে।
রেস্টুরেন্ট টিতে বেশ কিছু খাবার-দাবারের ব্যবস্থা ছিল । তবে আমরা ফুচকা, চটপটি ,কোল্ড ড্রিঙ্কস এগুলো অর্ডার করেছিলাম । মোটামুটি ভালো ছিল খাবারগুলো।
আসলে সেদিন রাতের বেলা নদীর পারে রেস্টুরেন্ট টিতে সত্যি দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম । সামনে নদী ওপরে বিশাল আকাশ দারুন একটা পরিবেশ ছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
রেস্টুরেন্টটি আসলেই চমৎকার। এমন খোলা আকাশ আর সামনে নদী অপুর্ব একটি দৃশ্য। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। নদীর পাড়ে বসে ফুচকা,চটপটি খেতে দারুন মজা।সাথে আইসক্রিম হলে আরো ভালো লাগতো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু রেস্টুরেন্ট টিতে ঢোকার আগেই আইসক্রিম খেয়ে নিয়েছিলাম তাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়নি ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
নদীর পারে যদি এরকম রেস্টুরেন্ট থাকে তাহলে খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়। আপনারা খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে যা দেখেই বুঝতে পেরেছি। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর, যা দেখে আমার ইচ্ছে করছে সেখানে চলে যেতে। আপনারা ফুচকা, চটপটি, কোল ড্রিংস অর্ডার করেছিলেন এবং খেয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া যতদিন যাবে পানির পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে । আর রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য আরো বিকশিত হবে । সত্যি জায়গাটা চমৎকার । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু, আমাদের এদিকে ধরলা নদী নামের একটি নদী রয়েছে আর সেই নদীর পাশেই বাঁশের কারু কাজ দিয়ে একটি নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। আর সেই রেস্টুরেন্টে বসে ধরলা নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। তাই আপনাদের রাতের বেলায় নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়টুকু কতটা ভালো কেটেছে তা বেশ উপলব্ধি করতে পারছি। আপনারা সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি, বেশ মুখরোচক খাবার খেয়েছেন দেখছি। ফুচকা, চটপটি খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, রাতের বেলায় নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ভাইয়া আপনাদের ওদিকেও নদীর পারে এরকম রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এখানে কত আনন্দ উপভোগ করা যায় । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।