টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব ।আজ আমি টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি করেছি। আসলে এই শীতের সবজি দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে ।আর গরম গরম ভাতের সাথে খুবই সুস্বাদু ।টমেটো দেওয়াতে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আশা করছি আপনাদের কাছেও রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল রেসিপিতে।
টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| টেংরা মাছ | ৮পিছ |
| টমেটো | ১ টি |
| আলু | ২টি |
| বেগুন | ২টি |
| হলুদ গুঁড়া | এক চা চামচ |
| জিরা গুড়া | এক চা চামচ |
| ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
| লাল মরিচ গুড়া | হাফ চা চামচ |
| পেঁয়াজ বাটা | তিন টেবিল চামচ |
| আদা বাটা | এক চা চামচ |
| রসুন বাটা | হাফ চা চামচ |
| পেঁয়াজ কুচি | তিনটি |
| কাঁচা মরিচ | চারটি |
| লবণ | স্বাদমতো |
| তেল | পরিমাণ মতো |
প্রুস্তুতপ্রণালী
 |  |
|---|
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই ।পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজা হলে সব বাটা মসলা দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর সব গুড়া মসলা ও লবণ দিয়ে মসলাটা ভাল করে কষিয়ে নেই।
 |  |
|---|
তারপর মাছগুলো দিয়ে মশলার সঙ্গে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে নেই।
 |  |
|---|
তারপর একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে মাছগুলি কষিয়ে নেই।
 |  |
|---|
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখি ।তারপর সবজিগুলো দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর সবজিগুলো ভালো মতো নেড়েচেড়ে একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
সবজিগুলো কষানো হয়ে গেলে ঝোলের জন্য বেশি পানি দিয়ে দেই। তারপর মাছগুলি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
তারপর ধনিয়া পাতা ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি ।এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
টেংরা মাছ খুবই মজার আর এভাবে আলু টমেটো এবং বেগুন দিয়ে রান্না করলে খেতে আরো বেশ মজা হয়। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কালার টি বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খেতে মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এই তরকারি টি খেতে বেশ মজার হয়েছিল। আসলে শীতের সময় টেংরা মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে আমি টেংরা মাছ দিয়ে রেসিপি তৈরি করে খেয়েছি। সেটি অনেকটাই সুস্বাদু হয়েছিল৷ আজকে আপনিও টেংরা মাছ দিয়ে অনেক সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন৷ এটিকে দেখতে একদমই লোভনীয় মনে মনে হচ্ছে৷ একইসাথে ইচ্ছে করছে এখনি এটিকে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি।
আসলে ভাইয়া এই টেংরা মাছগুলো শীতের সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনিও কিছুদিন আগে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন খেতে বোধহয় খুবই সুস্বাদু হবে। পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে সম্ভব হলে একটু টেস্ট করে দেখতাম।
ভাই আপনি ঠিকই ধরেছেন এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
গরম ভাতের সঙ্গে টেংরা মাছ খেতে সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আর টেংরা মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের। তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো টমেটো এবং আলু বেগুন একত্রে রান্না করে খাওয়া হয়নি। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া টেংরা মাছ আপনার পছন্দের মাছ জেনে ভালো লাগলো, এভাবে যেহেতু কখনো খাননি তাহলে একবার খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
টেংরা মাছ আমার খুবই প্রিয়।
আলু টমেটো দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি প্রস্তুত করে খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
নতুন বছরে নতুন রেসিপি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
রেসিপিটি খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল।
হ্যাঁ, ভাইয়া এটি খেতে বেশ ভালো লাগে। রেসিপিটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে মাছ রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার মাছ রান্না কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে টেংরা মাছটা কিন্তু এখন বেশি একটা আমাদের এদিকে দেখতে পায় না। তবে এটা কিন্তু আমার অনেক ভালো লাগার একটা মাছ এগুলো আগে আমাদের পুকুরে বেশ হতো। আর এর পেটের মধ্যে ডিম পুরা থাকতো, যার জন্য খেতে বেশি ভালো লাগে আমার।
আসলে ভাইয়া এই মাছ টি খেতে বেশ ভালই লাগে ।আপনাদের ওদিকে খুব একটা পাওয়া যায় না জেনে বেশ খারাপ লাগলো । যদি কখনো পান খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সবজি দিয়ে যেকোনো মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আর মাছের মধ্যে টমেটো দিলে তার স্বাদ আরো বেড়ে যায়। বড় বড় টেংরা মাছ গুলো এভাবে আলু বেগুন দিয়ে ঝোল করলে আমার কাছে খুব মজা লাগে খেতে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছলো। দেখেই লোভ লেগে গেল।
হ্যাঁ আপু এই তরকারিতে টমেটো আর ধনিয়া পাতা দিলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শীতের সময় শীতের সবজিগুলো দিয়ে যেকোনো কিছু রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। আলু বেগুন এবং টেংরা মাছ আমার খুবই পছন্দের। তবে এখন বেগুন খাওয়া হয়না এলার্জির কারণে। ডাক্তারের কড়া নিষেধ বেগুন খাওয়া যাবেনা। আপনি টমেটো আলু বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। শীতের সময় যে কোনো রেসিপির মধ্যে টমেটো দিলে এমনিতেই খেতে খুব ভালো লাগে।
একচুয়ালি ভাইয়া বেগুন দিয়ে যেকোনো তরকারি খেতে বেশ ভালো লাগে ।আপনার যেহেতু এলার্জি তাহলে তো বেগুন খাওয়া সম্ভব নয় ।যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও,,আপু আপনার টেংরা মাছের।রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। আমার পছন্দের একটা রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। টেংরা মাছ আমার অনেক অনেক পছন্দের। যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপি টি শেয়ার করেছেন। রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে তুলে ধরছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমার রেসিপিটি দেখে আপনার লোভ লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ট্যাংরা আমাদের দেশীয় এবং একটা মাছ। এটা অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটা মাছ। আলু বেগুন এবং টমেটো দিয়ে ট্যাংরা ম্যাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। রান্না শেষে ধনেপাতা দিলে আলাদা একটা সুগন্ধ পাওয়া যায় রেসিপি টা থেকে। দারুণ ছিল রেসিপি টা। ধন্যবাদ আপু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এটি অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি মাছ । আর ধনিয়া পাতা ,টমেটো দিয়ে রান্না করলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।