আলু বেগুন দিয়ে কৈ মাছের রেসিপি ||১০% বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox .
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় কমিউনিটি"আমার বাংলা ব্লগের"সকল বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।আমিও বেশ ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য আরও একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি।আর সেটি হচ্ছে আলু বেগুন দিয়ে কৈ মাছ রান্নার রেসিপি।কৈ মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ।
কৈ মাছে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে।কৈ মাছ শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়া কৈ মাছ দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।কৈ মাছে ভিটামিন এ ও ডি রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টি শক্তির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এছাড়াও মানুষের হাড় ও দাঁতের গঠনে কৈ মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কৈ মাছের পুষ্টি গুন যেমন রয়েছে তেমনি এটি সহজলভ্য হওয়ায় সকলেই এটি খেতে পারে।আর আলু ও বেগুনেও প্রচুর ভিটামিন থাকে।তাই আলু ও বেগুনের সংমিশ্রনে কৈ মাছ রান্না করলে এর পুষ্টি গুণ অনেক বেড়ে যায়।আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করি আমার আজকের রেসিপি আলু বেগুন দিয়ে কৈ মাছের রেসিপি।
👇উপকরণ👇
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কৈ মাছ | ৪টি |
আলু | ২টি |
বেগুন | ২টি |
পেঁয়াজ কুচি | ২টি |
কাঁচা মরিচ | ৫টি |
পেঁয়াজ বাটা | ২টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমান মতো |
👇 প্রুস্তুতপ্রণালী👇
১ম ধাপ
প্রথমে মাছ গুলিকে ভালো করে ধুয়ে হলুদ,লবন মাখিয়ে নেই।
২য় ধাপ
৩য় ধাপ
৪র্থ ধাপ
৫ম ধাপ
তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই।তেল গরম হলে মাছ গুলি দিয়ে দেই।মাছ হালকা করে ভেজে একটি বাটিতে তুলে রাখি।
৬ষ্ঠ ধাপ
৭ম ধাপ
৮ম ধাপ
তারপর ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই।পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে পেঁয়াজ বাটা,আদা বাটা,রসুন বাটা ও সব গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে দেই।
৯ম ধাপ
১০ম ধাপ
এখন মসলাটা ভালো করে নেড়েচেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে ২-৩মিনিট মসলাটা কষিয়ে নেই।
১১তম ধাপ
১২তম ধাপ
১৩তম ধাপ
১৪তম ধাপ
এখন কেটে রাখা আলু বেগুন দিয়ে দেই।আলু বেগুন মসলার সাথে ভালো করে নেড়েচেড়ে দেই।তারপর আলু বেগুন সিদ্ধ হওয়ার জন্য সামান্য একটু পানি দিয়ে ঢেকে দেই।
১৫তম ধাপ
১৬তম ধাপ
১৭তম ধাপ
পানি একটু টেনে আসলে মাছগুলো দিয়ে দেই ।মাছ গুলি ভালো করে নেড়েচেড়ে আবার ঢেকে পাঁচ মিনিট রান্না করি মাছ গুলি কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
১৮তম ধাপ
১৯তম ধাপ
এখন ঝোলের জন্য একটু বেশি পানি দিয়ে দেই।তারপর কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই।
২০তম ধাপ
এভাবে দশ মিনিট রান্না করি।এখন পানি অনেকটা কমে আসলে হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি আলু বেগুন দিয়ে কৈ মাছের তরকারি রান্না।
২১তম ধাপ
এখন একটি বাটিতে তুলে পরিবেশন করতে হবে।কেমন লাগলো আমার আজকের রেসিপি?মন্তব্য করে জানাবেন।আশা করছি ভালো লেগেছে।
আজকের মত এই পর্যন্তই।এরপর আবার দেখা হবে নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে ধন্যবাদ।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আলু এবং বেগুন দিয়ে কই মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে আর যদি থাকে সাথে গরম ভাত ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সবজির সাথে কই মাছের রেসিপিটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।আপনি আপনার পোস্টটি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি তৈরি করে দেখানো জন্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
কৈ মাছ খেতে আমি খুব ভালোবাসি।গ্রামের খালবিলে এই মাছ বেশি পাওয়া যায়।বৃহৎ হলে পুকুর থেকে একাই উপড়ে উঠে আসে। আপনার রেসিপি তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব একটা করে খেয়েছেন বুঝি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আলু বেগুন দিয়ে কই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে এবং আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন এবং কৈ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আলু আর বেগুন দিয়ে কৈ মাছ রান্না করলে খুবই মজা লাগে আর আপনার রেসিপিটিও খুবই ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বেগুন দিয়ে যেকোনো তরকারি খুবই স্বাদের হয় আপু।সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন।কৈ মাছগুলো বেশ বড়ো সাইজের এবং পেটে ডিম বলে মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপু।
না আপু পেটে ডিম নেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
কৈ মাছ শুনলেই যেন সেই ছোটবেলার কৈ মাছ ধরার কথা মনে পড়ে যায় তাও আবার অল্প পানিতে হাত দিয়ে ধরা বলে কথা। অবশ্য এখন আর ওরকম দেশি কৈ মাছ সচরাচর দেখা যায় না। কি তেল তেলে কি স্বাদ দেশি কই গুলোর মুখে যেন এখনও সেই স্বাদটি লেগে আছে। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।কৈ মাছ হাত দিয়ে ধরতে গেলে কাটা ফুটতো না হাতে?
জি আপু কাটা ফুটতো তারপরও ধরতে অনেক মজা পেতাম শুধু কৈ মাছ শিং মাছ ধরে ফেলতাম আর একবার তো শিং মাছের কাঁটার গুতো খেয়ে অনেকদিন ব্যথা ছিল তারপরও মাছ হাত দিয়ে ধরার লোভ সামলাতে পারতাম না।
খুবই মজার।
কৈ মাছ আমার বেশ পছন্দের একটি খাবার। অনেক গোছালোভাবে রেসিপির বর্ণনা করেছেন এবং ছবি গুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কৈ মাছ আমার অনেক পছন্দের,আর আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এল, অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার রেসিপি আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপু
কৈ মাছ আমার প্রিয় খাবার তালিকায় রয়েছে।
আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। মার্ক ডাউনের ব্যাবহার চোখে পড়ার মতো ছিল। শুভ কামনা রইল।
এগিয়ে যান পাশে রয়েছি 🥀
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।