রাতের বেলায় রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একদিন রাতের বেলায় রিক্সায় করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি নিয়ে । আসলে রাতের বেলায় রিকশায় ঘুরতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । আর যদি বাতাস থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই । এইতো বেশ কিছুদিন আগে আমি ও আমার বোন আমরা দুজন মিলে রাতে রিকশায় ঘুরতে বেরিয়েছিলাম ।উদ্দেশ্য ছিল ঘুরে বেড়ানোর পর শপিংয়ে যাবার ।তারপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ রিকশায় করে শহরের মেইন জায়গা গুলো ঘুরে বেড়ালাম । যদিও রাতের বেলা তাই খুব একটা ছবি তোলা হয়নি । আসলে রিক্সায় করে ঘুরতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ।তাই সময় সুযোগ হলে রিকশায় ঘুরতে বেরিয়ে যাই । আর বোনের সঙ্গে রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ অন্যরকম । তাইতো আমরা সেদিন বেশ আনন্দ করেছিলাম । সে অনুভূতি নিয়েই আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
রাতের বেলায় রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি
আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাচ্চারাও বায়না ধরল তারাও আমাদের সঙ্গে যাবে । তো কি আর করা তাদের সঙ্গে নিতেই হলো । তাই আমরা চারজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম রিকশায় ঘুরতে ।সেদিনের আবহাওয়াটাও বেশ ভালো ছিল । মৃদু মৃদু বাতাস বই ছিল । আসলে বেশ গরম আবহাওয়া থাকলে রিকশায় ঘুরে খুব একটা মজা নেই । কিন্তু বাতাস থাকলে বেশ ভালো মজা পাওয়া যায় । আমরা যেহেতু সন্ধ্যার পর পরই বেরিয়েছিলাম তাই রিকশায় ঘুরতে খুব একটা ভয় লাগেনি । বেশি রাত হলে আবার সব জায়গায় যাওয়া যায় না , ছিনতাই এর ভয় থাকে ।
আমরা রিকশায় করে ঘোরাঘুরির পর রাস্তার পাশে একটি কদম গাছ দেখতে পেলাম । যদিও তখন গাছগুলোতে কদম ফুল ছিল না । ছোট ছোট কদম ফুল ছিল । গাছের নিচে দাঁড়িয়ে কদম গাছটির বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম । আসলে কদম গাছ দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । যদিও আমাদের শহরে এখন কদম ফুলের গাছ খুব একটা দেখা যায় না । তাই সেদিন হঠাৎ করে কদম গাছটি দেখতে পেয়ে আমরা গাছটির নিচে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে গল্প করলাম । যদিও গাছ ভর্তি কদম ফুলে ভরে থাকলে আরো বেশি ভালো লাগতো । কদম ফুলের একটা ঘ্রাণ থাকে যেটা গাছের নিচে দাঁড়ালে পাওয়া যেত । যদিও দুর্ভাগ্য গাছে কদম ফুল ছিল না ,ছোট ছোট টাকু কদম ফুল ছিল ।
এই জায়গাটা বেশ জনবহুল এলাকা ছিল । কেননা এর থেকে একটু সামনেই শপিংমল ছিল । যার কারণে এখান থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা যায় । রাস্তাঘাটেও গাড়ি-ঘোড়ার প্রচণ্ড চাপ ছিল । আমরা কিছুক্ষণ এখানে অপেক্ষা করার পর আবার রিক্সায় করে চলতে শুরু করলাম । যেহেতু আমরা রিকশা এক ঘন্টার জন্য ভাড়া করেছিলাম , সেহেতু যখন এক ঘন্টা সময় শেষ হয়ে আসছিল , তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখন বাসায় না যেয়ে আমরা একটা রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে বাসায় যাব । সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপুর সঙ্গে আমরা রেস্টুরেন্টে গেলাম । তারপর পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করলাম । যদিও বিলটা আপুই দিয়েছিল । তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । বেশ ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম সেদিন । আসলে রাতের বেলায় বাইরে ঘোরাঘুরি আমার ভীষণ ভালো লাগে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
লোকেশন | ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
রাতের বেলায় এভাবে রিকশা নিয়ে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা সত্যি একেবারে অন্যরকম হয়ে থাকে। রাতের বেলায় এভাবে রিকশা নিয়ে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সেই সাথে দেখছি কয়েকটা ফটোগ্রাফিও করেছিলেন। আপনারা রিকশায় করে ঘোরাঘুরির পর রাস্তার পাশে একটা কদম ফুল গাছ দেখতে পেয়ে গাছটির কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আসলে আপু রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন ।
আমার তো মনে হয় রিকশা তে ঘুরে যে মজা পাওয়া যায়, লাখ টাকার গাড়িতে চড়েও সেই মজা পাওয়া যায় না। আর সেটা যদি সন্ধ্যা অথবা রাত হয় তাহলে তো জমে ক্ষীর পুরো 👌। আমি খুব ইনজয় করি এই ব্যাপারটা। কদম ফুল আর কদম ফুলে ভরা ফুলগাছ দুইটাই দারুন লাগে। তবে গাছের নিচে গেলে গন্ধে আমার গা গুলিয়ে উঠে, হিহিহিহি। যাই হোক, ঘোরা ফেরা খাওয়া দাওয়া সব কিছু একদম বিন্দাস হয়েছে দেখা যায়।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন লাখ টাকার গাড়িতে চড়ার থেকে আমার কাছে রিকশায় চড়েই বেশি আনন্দ লাগে । একদম মনের কথা বলেছেন ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রাতের ঘোরাঘুরির মাঝে অন্যরকম এক আনন্দ থাকে , যেটা আমিও বেশ ভালোই পছন্দ করি ৷ তবে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্য নিয়ে এভাবে রাতে তেমন ঘোরাঘুরি হয়না , ব্যস্ততার জন্য ৷ আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন কিছু সময় ৷ রাতের শহর রিক্সায় করে ঘোরাঘুরি এরপর শপিং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া বিষয়টা আসলেই অনেক মজার ৷
ভাইয়া আমার কাছেও রাত্রে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে । যদিও সব সময় যাওয়া হয় না । দীর্ঘদিন পর ঘুরেছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রাতের বেলা রিক্সায় করে ঘুরার মজাই আলাদা আর যদি একটু বাতাস থাকে তাহলেতো কোন কথাই নেই ।বাতাস না থাকলেও রিকশায় ঘুরতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে রাতের বেলাতে। আপনারা তো ভালই ঘুরেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলেই শহরের ভিতরে এরকম কদম গাছ দেখা যায় না তবে কেন জানিনা এই কদম গাছটা আমার কাছে অনেক পরিচিত লাগছে।
এই কদম গাছটা পরিচিত লাগছে কারণ এই কদম গাছের নিচে আপনার ছবিও ছিল । আমি আর আপনি একসঙ্গে ঘুরেছিলাম ভুলে গিয়েছেন ?সেদিনকার মুহূর্তই তুলে ধরেছি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
বর্তমান যে পরিমান গরম তাতে জনজীবন অতিষ্ঠ ৷তবে রাতের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা আর ভালো লাগে ৷ আর রাতের বেলা রিক্সায় ঘোরাঘুরি দারুন আনন্দ আছে ৷ ভালো রাতের আধারে কদম গাছটি দেখে ৷
হ্যাঁ ভাইয়া দিনের বেলায় যে পরিমাণ গরম থাকে রাতে কিন্তু সে পরিমাণ গরম থাকে না । ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালোই লাগে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রিকশায় করে ঘুরে বেড়াতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি।আর রাতের বেলাতে তো আরো বেশী ভালো লাগে।বাচ্চারা বায়না করাতে তাদেরকে, সাথে নিলেন।খুব সুন্দর কিছু অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো গাছের ফটোগ্রাফি গুলো। কদম গাছে তো বর্ষাকালে ফুল ফুটবে।যাক আপনারা দুবোন মিলে রেস্টুরেন্টে খেয়ে বাসায় গেলেন।যাক বাচ্চারা ও খুব আনন্দ পেলো। এরাতো আবার বাইরের খাবারে ১০ ধাপ এগিয়েই থাকে।🤣ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা বাইরের খাবারে যে কি পরিমাণ আনন্দ পায় সেটা আমরা সবাই জানি। আর রাতের ঘোরাঘুরিটাও বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
বাচ্চাদেরকে রেখে কি কোথাও যাওয়া সম্ভব। এরা দেখলেই বায়না ধরে আর নিয়েও যেতে হয়। যাই হোক বাচ্চাদেরকে নিয়ে গিয়ে ভালো করেছেন। এদের বাসায় রেখে গেলেও ভালো লাগে না। রাতের বেলায় রিক্সায় ঘুরতে আমারও খুব ভালো লাগে যদি ঠান্ডা ওয়েদার থাকে। আপনারা দুই বোন বাচ্চাদের নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন রিকশায় ঘুরে বোঝা যাচ্ছে।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চাদের রেখে গেলেও আবার ঘোরায় মন বসত না । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
রাতে রিকশায় ঘোরাঘুরি করার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্তের কথা আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু আমি রাতে ঘোরাঘুরি করতে একেবারেই পছন্দ করি না। কেননা, একদিকে ছিনতাইয়ের ভয় আছে অন্যদিকে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ঘটার ভয় আছে। যাহোক রাতের আধারে কদম ফুলের গাছটি দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে। আপুর সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুবই আনন্দের ছিল। যাহোক রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করার খুবই সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া আমাদের শহরে রাতের মেইন রোড গুলোতে তেমন কোনো ছিনতাইয়ের ভয় নেই । আর সন্ধ্যার পর পর সেটা তো খুব বেশি রাতও নয়। এজন্য ঘোরাঘুরি করে বেশ মজা পাওয়া যায় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রাতের বেলায় রিক্সায় ঘুরাঘুরি করার মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি রয়েছে। আপনি তো দেখছি রিক্সায় ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। তারপরে আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন এবং খুবই ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন তাহলে। এরপর আপনারা বাসায় চলে এসেছিলেন সব মিলিয়ে খুবই ভালো কেটেছিল মুহূর্তটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। কদম গাছের ফটোগ্রাফি ও বেশ ভালোই ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া ভালো মুহূর্তই কাটিয়েছিলাম আসলে রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি বলে কথা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
প্রচন্ড এই গরমের রাত্রী কালীন মুহূর্তে রিকশা অথবা বাইকে চড়ে ঘোরাঘুরি করতে আমারও বেশ ভালো লাগে তবে ব্যস্ততার মাঝে তেমন একটা সুযোগ হয়ে ওঠে না যেহেতু বর্তমান গ্রামে অবস্থান করছি, আজ আপনি আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন রাত্রি কালের মুহূর্তে রিকশায় চড়ে ঘোরাঘরের দারুন ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন এই পোস্টের মধ্যে যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া শহরে থাকলে এই এক সুবিধা যে কোন সময় ইচ্ছে মতো রিক্সায় ঘোরাঘুরি করা যায় । যাই হোক আপনার কাছেও ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে যেনা ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।