রমনা পার্কের চমৎকার কিছু গাছের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ আমি মূলত রমনা পার্কের দারুন কিছু গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি।রমনা পার্কে বিভিন্ন রকমের গাছ পালা রয়েছে।কিছু কিছু গাছ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।গাছ গুলো দেখতে চমৎকার।তাই তো সেই গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।বেশ কিছু দিন আগে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম।বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম।বেশ ভালো লেগেছিল পার্কে ঘুরে বেড়াতে ।তখন বেশ কিছু গাছ আমার চোখে পড়লো। বেশ ভালো লেগেছিল গাছ গুলো।আশা করছি আপনাদের ও গাছ গুলো দেখলে ভালো লাগবে।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি রমনা পার্কের দারুন কিছু গাছের ফটোগ্রাফি।
রমনা পার্কের চমৎকার কিছু গাছের ফটোগ্রাফি
প্রথমেই যেই গাছটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি বিশাল বড় আকারের লম্বা একটি গাছ। গাছটিতে ছোট ছোট পাতা ভর্তি ।যদিও গাছটির নাম আমার জানা নেই। আমি এই প্রথম এই ধরনের গাছ দেখেছিলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল গাছটি। তাইতো তার ফটোগ্রাফি করেছিলাম । আর আজ আপনাদেরও দেখার সুযোগ করে দিলাম ।আপনারা কেউ এই গাছের নাম জেনে থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
এটিও আরও একটি চমৎকার গাছ। তবে এই গাছটি দেখতে অনেকটা পাতাবাহার গাছের মত। তবে পাতা বাহার গাছগুলো ছোট হয় ।এই গাছটি বিশাল বড় ছিল লম্বায় ।হয়তো পাতাবাহার জাতীয় গাছই হবে ।দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর। এখানে বেশ কয়েকটি গাছ একসঙ্গে লাগানো যার জন্য দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল।এই গাছটির নামও আমার জানা নেই। আপনাদের জানা থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
দূরে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট একটি তালগাছ। তালগাছ দেখতেও ভীষণ ভালো লাগছিল। কেননা এত ছোট তালগাছ খুব একটা দেখা হয় না ।যেসব তালগাছ চোখে পড়ে সবই বড় তাল গাছ।এটি ছোট ছিল তাই দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। সবুজ ঘাসের মাঝে দূরে তাল গাছ সত্যি চমৎকার। গাছ টির পেছনে একটি ছোট বেঞ্চি ছিল যেখানে লোকজন বসে গল্প করছিল ।সত্যি চমৎকার একটি পরিবেশ ছিল।
এই গাছটি সম্ভবত বাগান বিলাস গাছ হবে ।দেখতে বাগান বিলাস গাছের মতোই। তবে কোন ফুল ছিল না। তাই বুঝতে পারলাম না এটি বাগান বিলাস গাছ কি না ।তবে আমার মনে হয় এটি বাগান বিলাস গাছই ।আপনাদের কি মনে হয় কমেন্টে জানাতে পারেন।
এটিও আরও একটি চমৎকার ফুলের গাছ। তবে দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন বাগান বিলাস ফুল। কিন্তু আমি কাছে গিয়ে দেখি এটি বাগান বিলাস ফুল নয়। সম্পূর্ণ আলাদা একটি ফুল। তবে গোলাপি কালার দেখতে ,ভীষণ ভালো লাগছিল ।পুরোটা গাছ ভর্তি গোলাপী কালারের ফুল ছিল ।যার নিচে বসে লোকজন গল্প করছিল ।সত্যি চমৎকার লাগছিল। এখানে একই ধরনের বেশ কয়েকটি গাছ ছিল ।সবগুলোই ফুলে ফুলে ভরপুর ছিল।
এটি রাবার গাছ। রাবার পাতাগুলো বেশ বড় বড় হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন আগে আমি এই গাছ দেখেছিলাম। আমাদের এলাকায় ছিল। তবে এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তবে রমনা পার্কে অনেকদিন পর এই গাছ দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
আর এগুলো রাস্তার ধারে ছোট ছোট জংলি গাছ। যেগুলোতে ছোট ছোট ফুলে ভরে ছিল ।দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। মাঝে মাঝে জংলি ফুলগুলোও ভীষণ ভালো লাগে।
আর এগুলো হচ্ছে চালতা গাছ। দীর্ঘদিন পর আমি রমনা পার্কে যেয়ে এই চালতা গাছ দেখলাম। একটা সময় এলাকায় চালতা গাছ দেখা যেত। কিন্তু এখন দালানকোঠা নির্মাণের তাগিদে প্রত্যেক গাছ কাটা হয়েছে ।যার কারণে চালতা গাছ এখন দেখাই যায়না বলতে গেলে ।অনেকদিন পর এই চালতা গাছ দেখলাম এবং সেই সাথে গাছে চালতা ধরে থাকতে দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | রমনা পার্ক,ঢাকা |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
রমনা পার্কে গেলে আমিও অনেক সময় কাটানোর চেষ্টা করি । রমনা পার্কে এই গাছ-গাছালির মধ্যে ঘুরে বেড়াতে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে । আর এই ধরনের গাছগুলোর সাথে আমি খুব পরিচিত । আমি তো গেলে এই ছবিগুলোর ছবি তুলি । আর পিংক কালারের ফুলের গাছটা দেখতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে । আপনার গাছ গুলো দেখতে কিন্তু অনেক ভালো লাগছে খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলেছেন ।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন এই গাছগাছালির মধ্যে ঘুরে বেড়াতে সত্যি অন্যরকম ভালো লাগে। আর আপনি তো এখানে মাঝে মাঝেই যান। আপনার তো একদম পরিচিত সবকিছুই ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও আপু রমনা পার্কের চমৎকার কিছু গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগে ৷ তবে এখানে তালগাছ ব্যাতিত অন্য যে গাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম চিনি না ৷ যা হোক বসন্তের হাওয়ায় চারিদিকে গাছ থেকে জংলি ঘাস পযন্ত চিরসবুজ হয়েছে ৷ আর যার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর আর প্রানবন্তর দেখাচ্ছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু দারুন কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরার জন্য ৷
ভাইয়া এখানে অনেকগুলো গাছের নাম আমি নিজেও জানিনা ।তবে গাছগুলো দেখতে কিন্তু চমৎকার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি দেখছি রমনা পার্কের চমৎকার কিছু গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রথম ফটোগ্রাফি ও ২য় ফটোগ্রাফির গাছ গুলো কি অদ্ভুত সুন্দর। এগুলো হয়তো পাতা বাহার টাইপের কিছু গাছ হবে হয়তো। বেশ দারুণ হয়েছে।
আপু প্রথম এবং দ্বিতীয় ফটোগ্রাফির গাছ গুলো আপনার কাছে বেশি সুন্দর লেগেছে যেনে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রমনা পার্কের সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। আপনার এই অসাধারণ পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে কিন্তু রমনা পার্কের মধ্যে থাকা অনেক গাছ এবং পরিবেশ দেখার সুযোগ হলো আমার। আর সেই সাথে বেশ অনেক কিছুই উল্লেখ করেছেন যা জানা ছিল না। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার রমনা পার্ক নিয়ে সুন্দর এই ব্লগ দেখে।
ভাইয়া রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সেই ছেলেবেলা থেকেই রমনা পার্কে আসা যাওয়া। আর রমনা পার্কের অপরূপ রূপের রহস্যই কিন্তু পার্কের গাছ গুলো। গাছ গুলো যেমন আক্সিজেন দেয় তেমনি করে আবার আমাদের কে সতেজতাও দেয়। দারুন একটি পোস্ট করেছেন। আবার গাছ গুলোর খুব সুন্দর করে বর্ণনাও করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত মূল্যবান একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু ছেলেবেলা থেকে আপনার রমনা পার্কে যাওয়া আসা জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু রমনা পার্কের গাছের এবং অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। এরকম সবুজে ঘেরা পার্কে ঘুরতে গেলে অবশ্যই ভালো সময় কাটবে। আপনার নিশ্চয়ই খুবই ভালো সময় কেটেছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু গাছের ফটো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার কাছে রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
রমনা পার্কের ভিতর অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পারতেছি, আমি গিয়েছিলাম আমি বাহির থেকে দেখছিলাম কিন্তু ভিতরে ঢোকার সেই সৌভাগ্য হয় নাই। এবার যদি কখনো যায় অবশ্যই এর ভেতরে ঢুকিয়ে বেশ সুন্দর কিছু সময় কাটানোর চেষ্টা করব এবং অনেক সুন্দর সুন্দর গাছ দেখতে পারতেছি।পাতাবাহার গাছ ছোট হয়, দেখতেও বেশ চমৎকার লাগতেছে। অনেক সুন্দর ভাবে চালতা গাছের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ও গুণগত মানের বর্ণনা দিয়েছেন ভীষণ ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি যেহেতু বাইরে থেকে রমনা পার্ক দেখেছেন তাহলে অবশ্যই একবার ভেতরে যেয়ে দেখে আসবেন। বেশ ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রমনা পার্ক এমন একটি জায়গা যেখানে ব্যস্ততম নগরীতে একটু প্রকৃতির ছোঁয়া মেলে। আপনি দারুন দারুন কিছু গাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং সাথে আপনার ঘুরে বেড়ানোর কাহিনী। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার কাছে আমার পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেকদিন আগে আমি রমনা পার্কে ভ্রমণ করেছি। আজকে আপনার ভ্রমণের মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে রমনা পার্কে অনেক সুন্দরময় গাছগুলো রয়েছে। এই গাছগুলোর দৃশ্যগুলো দেখে যেন অনেক ভালো লাগেম আপনার ফটোগ্রাফি মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে।
ভাইয়া আপনিও অনেকদিন আগে রমনা পার্কে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় কিছু গাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তাল গাছের সৌন্দর্য বেশ দারুণ। বাগান বিলাস ফুল গাছ দেখে খুব ভালো লাগলো। সুপারি গাছের মতন গাছ গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই আপনার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।