কুমড়ো ভাজি রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে কুমড়ো ভাজি রেসিপি। এটি খুবই সহজ একটি রেসিপি কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু ।অনেকদিন পর আজ আমি কুমড়ো এভাবে ভাজি করেছি। তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে রেসিপিটি শেয়ার করি ।আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লাগবে। এভাবে বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজি করলে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমার তো আজকে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। নিশ্চয়ই আপনাদের ও ভালো লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি কুমড়ো ভাজি রেসিপি।
কুমড়ো ভাজি রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
কুমড়ো | পরিমাণমত |
পেঁয়াজ | ৪ টি |
মরিচ | ৪ টি |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে কুমড়ো গুলোকে চাকচাক করে কেটে নেই। তারপর ধুয়ে পরিষ্কার করে হলুদ লবণ ভালো করে মাখিয়ে নেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর একটি কড়াই এ তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে কুমড়ো গুলি দিয়ে দেই ।তারপর এপাশ ওপাশ ভালো করে উল্টিয়ে ভেজে নেই।
![]() | ![]() |
---|
কুমড়ো গুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে রাখি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর হলুদ লবণ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে পেঁয়াজ গুলি বাদামি করে ভেজে নেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর ওই পেঁয়াজের মধ্যে কুমড়ো গুলি দিয়ে ভালোমতো নেড়েচেড়ে নেই।
ব্যাস এভাবে তৈরি হয়ে গেল আমার কুমড়ো ভাজি রেসিপি ।এখন একটি প্লেটে উঠিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


শীতকালে আপনি বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।এই মিষ্টি কুমড়ার ভাজি টা আমার বেশ প্রিয় একটি খাবার।আমার কাছে এই ভাজিটা খুব ভালো লাগে গরম ভাতে খেতে।আপনি অনেক সুন্দর করে প্রতি টি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
আপু এই কুমড়ো ভাজি আপনার ভীষণ পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। আসলে গরম ভাত দিয়ে এটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার কুমড়ো ভাজি রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমি তো প্রথমে মনে করেছি কোন মাছ ভাজি শেয়ার করেছেন। কালারটা খাওয়ার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিয়েছে আমি কখনো কুমড়ো ভাজির রেসিপি খাইনি অনেক ভালো লাগলো।
ভাইয়া আমার রেসিপিটি দেখে আপনার কাছে প্রথমে মাছ ভাজি মনে হয়েছে জেনে বেশ ভাল লাগল ।তাহলে তো মাছ খাবার দরকার নেই কুমড়ো খেলেই মাছ ভাজা খাওয়া হয়ে যাবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কুমড়ো ভাজি রেসিপিটি আমার কাছে অনেক নতুন লাগছে। কারণ কুমড়ো এভাবে ভাজি করতে আমি এই প্রথম দেখলাম ।দেখে মনে হচ্ছে বড় বড় মাছের পিচ ।আসলেই দারুন হয়েছে নিশ্চয়ই খেতে।
আপু আপনি যেহেতু কখনো এভাবে কুমড়ো ভাজি খেয়ে দেখেননি তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ।তাহলে বুঝতে পারবেন মাছের পিচের মতোই স্বাদ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শীতের সময় যেকোনো ধরনের ভাজি রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আপনি খুবই চমৎকারভাবে কুমড়ো ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার। আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন এ ধরনের ভাজিতে যদি পেঁয়াজ বেশি দেওয়া হয় তাহলে খেতে আরও দ্বিগুণ সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই ধরেছেন রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু। আর গরম ভাত দিয়ে খেতে তো খুবই মজার হয়ে থাকে ।আপনি একবার খেয়ে দেখবেন ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন,এভাবে বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজি করলে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। এটা দেখেই জিভে জল চলে আসছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু মিষ্টি কুমড়া এভাবে বেশি করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিলে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আমার কাছে এর মধ্যে শুঁটকি হলে আরও ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কুমড়োর সঙ্গে কখনো শুটকি দিয়ে খেয়ে দেখিনি।তবে আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
কুমড়ো পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আগে কোনো দিনও ভাজি করে খাইনি যদিও ,অধিকাংশ সময়ই হলুদ লবণ মাখিয়ে ভাজি করে খাই । আপু , একবার আপনার মত করে ভাজি করে খেয়ে দেখবো কেমন লাগে।