আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি||১০%বেনিফিশিয়ারী আমার প্রিয় shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি।আর সেটি হচ্ছে আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি।আলু বেগুন দিয়ে যেকোন তরকারি রান্না করলেই আমার কাছে ভালো লাগে।আর যদি হয় শিং মাছ তাহলে তো স্বাদ আরও বহুগুণে বেড়ে যায়।
শিং মাছ প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্মৃদ্ধ একটি মাছ। এতে আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমানে।যাদের রক্ত শূন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও মাছটি খুবই উপকারী।সুতরাং আমাদের পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করে হলেও মাছ টি বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শিং মাছ | ৭ পিছ |
আলু | ২টি |
বেগুন | ২টি |
পেঁয়াজ কুচি | ৩টি |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ২চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১চা চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমান মতো |
প্রুস্তুতপ্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল নেই ।তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই।
২য় ধাপ
পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজা হলে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে দেই।
৩য় ধাপ
মশলাটা একটু কষিয়ে মাছ দিয়ে দেই।
৪র্থ ধাপ
মাছ গুলি ভালো করে নেড়েচেড়ে দুই মিনিট রান্না করি।
৫ম ধাপ
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করি।
৬ষ্ঠ ধাপ
তারপর পানি শুকিয়ে গেলে মাছ গুলি তুলে রাখি।
৭ম ধাপ
তারপর ওই মসলার মধ্যে আলু বেগুন দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নেই।
৮ম ধাপ
তারপর একটু পানি দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করি।
৯ম ধাপ
তারপর আলু বেগুন সিদ্ধ হলে ঝোলের পানি দিয়ে দেই ও জিরার গুঁড়া দিয়ে দেই।
১০ম ধাপ
তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আর কিছুক্ষণ রান্না করার পর ব্যাস হয়ে গেল আমার শিং মাছ রান্না।
১১তম ধাপ
এখন একটি বাটিতে ঢেলে গরম ভাতের সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন। আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
শিং মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। শিং মাছ আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে অমৃত লাগে। আমি মাঝে মাঝে এই মাছ এভাবে রান্না করে খাই আমার কাছে খুবই মজা লাগে ।আপনার খাবার দেখে মনে হয় যে খাবারটি অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ধাপে ধাপে রান্না করে আমাদেরকে রান্নার নিয়ম গুলো দেখিয়ে দিয়েছেন যাতে সহজে আমরা রান্না করতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শিং মাছ খেতে অনেক ভালো হয় এটা আমি শুনেছি।কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ লোভনীয় লাগছে।মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলতে আলু দিয়ে প্রতিটা তরিতরকারি ভালোভাবে জমে ওঠে এবং আলু দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে আপনি আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই সুন্দর ভাবে। আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং প্রয়োজন উপকরণ গুলো সঠিকভাবে দিয়েছেন এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু বেগুন ও শিং মাছের রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে। আরো সুন্দর করে তুলেছে প্রতিটি মুহূর্ত ধাপে ধাপে আমাদের উপস্থাপনা করে। আর এরকম একটা ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি অনেক ছোট বেলায় শিং মাছ খেয়েছিলাম। ভুলেই গেছি স্বাদ টা। আসলে এই মাছ কাটা টা তো একটু কষ্টদায়ক তাই বাবাও আনে না। তবে এই মাছের পুষ্টি গুণাগুণ খুবই। মা কেও দেখালাম এই রান্নার পোষ্টটি। অনেক খাওয়া হয় না তাই নিয়ে আফসোস করছিল। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর ভাবে সব টা উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপু আপনার আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় এবং মজাদার লাগছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। তাছাড়া আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার রেসিপিটি কেমন হয়েছে। গরম ভাতের সঙ্গে এই রেসিপিটি খেতে খুব ভালো লাগবে আমার মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আলু দিয়ে শিং মাছের রেসিপি দেখে আমি খুবি ভালো লাগছে। আমার এটি খুবই পছন্দ। আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আপনার আলু,বেগুন দিয়ে রান্না করা সিং মাছের ঝোল দেখে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
শিং মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ। গ্রামের বাসায় গেলে এই মাছ প্রায়ই খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি ছবিগুলো অনেক সুন্দর লাগছে। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খাবারের স্বাদ ভালো ছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লোভ লাগানো একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।চিত্র দেখেই পুরো জিভে রসে ভরে গেছে।আলু বেগুন দিয়ে অন্য সব মাছ খেয়েছি শিং মাছ খাইনি।খেতে হবে দেখছি ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।