চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ আলু ভাজি রেসিপি🦐
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ আলু ভাজি রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
লাউ | পরিমাণমত |
আলু | ২টি |
চিংড়ি মাছ | পরিমাণমত |
পেঁয়াজ কুচি | ৪টি |
কাঁচা মরিচ | ৬ টি |
হলুদ গুঁড়া | ২চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
রসুন কুচি | ১টি |
কাঁচা জিরা | ১/২চা চামচ |
তেল | পরিমানমতো |
প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ-১
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি কড়ায়ইয়ে তেল দিয়ে দেই । তেল গরম হলে লাউ ও আলু দিয়ে দেই । তারপর লবণ দিয়ে দেই।
ধাপ-২
![]() | ![]() |
---|
তারপর কাঁচা মরিচ কুচি ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে দেই ।
ধাপ-৩
![]() | ![]() |
---|
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করি ।
ধাপ-৪
![]() | ![]() |
---|
সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে একটি বাটিতে তুলে রাখি । তারপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই । তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দেই ।
ধাপ-৫
![]() | ![]() |
---|
তারপর চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে ভালোমতো নেড়েচেড়ে একটু ভেজে নেই । তারপর হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দেই ।
ধাপ-৬
![]() | ![]() |
---|
তারপর কাঁচা জিরা দিয়ে দেই ও বেশ কিছুক্ষণ চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে নেই ।
ধাপ-৭
![]() | ![]() |
---|
তারপর চিংড়ি গুলো ভালোমতো ভাজা হয়ে গেলে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা আলু ও লাউ দিয়ে ভালোমতো নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করি ।
ধাপ-৮
![]() | ![]() |
---|
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার চিংড়ি দিয়ে লাউ ও আলু ভাজি রেসিপি । এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
এ ধরনের ভাজি গুলো আসলে গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি বেশ কিছুদিন ধরে আপনার মায়ের বাসায় থাকার কারণে বিভিন্ন মজার মজার রেসিপি শেয়ার করতে পারছেন। ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো ধরনের ভাজি করলে খেতে খুবই ভালো হয়। আপনার ভাজির চেহারাটা খুব সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে খেতেও অনেক মজা হয়েছিল। লাউ ভাজি এরকম করে করতে হয় তাতো তোমার জানা ছিল না। আগে সিদ্ধ করে তারপরে রসুন পেঁয়াজ দিয়ে তেলে দেয়া এটা তো আমি জানতামই না, একবারে তেলের ভিতর দিয়ে দিতাম। নতুন করে শিখে নিলাম মায়ের হাতের ভাজি বলে কথা।
হ্যাঁ আপু আমিও নতুন করে শিখে নিয়েছি , এরকম আমিও করতে পারতাম না । আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
মায়ের হাতের রান্না সব সময় সেরা হয়। আমরা ছোটবেলা থেকেই মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করি। হয়তো অনেক সময় মায়ের থেকে দূরে থাকলে সেই খাবার গুলোর কথা খুবই মনে পড়ে। আপু আপনার শেয়ার করা এই রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় আন্টি রান্নায় বেশ পারদর্শী এটা বুঝতেই পারছি। চিংড়ি মাছের সাথে লাউ ও আলু দিয়ে মজার একটি ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য । সব সময় এভাবেই মন্তব্যগুলি নিয়ে পাশে থাকবেন আশা করছি । অনেক ভালো থাকবেন , শুভকামনা রইল ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন আমরা প্রায় অনেকেই রান্নার প্রাথমিক ধারণা মার কাছ থেকেই পেয়ে থাকি । এটি শতভাগ সত্য একটি কথা । বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মায়ের হাতের রান্না সবসময়ই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে । দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন মায়ের হাতের রান্না সবসময়ই আমাদের সবার কাছেই ভালো লাগে ।আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপনার মায়ের কাছে আছেন শুনে আমারও ইচ্ছে হচ্ছে মায়ের কাছে যাই এবং এরকম মায়ের হাতে রান্না খাই। আপনার মা অনেক যত্ন করে এবং সুন্দরভাবে আলু লাউ আর চিংড়ি দিয়ে ভাজি রান্না করেছেন। আপনার উপস্থাপন এবং পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি ও আপনার মায়ের কাছে যেয়ে ঘুরে আসেন ভালো লাগবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন সব সময় ।
আপনি ঠিকই বলেছেন গরম ভাতের সঙ্গে এই ভাজিটি খেতে খুবই ভালো লাগে । আপনি খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। আপনার মা যখন এই রেসিপিটি তৈরি করছিল আপনি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন রেসিপিটি। সুতি চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ আলু ভাজি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি।
আপনার কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন ।
আপু আমাদের ভাইয়া কোথায় আপনি যে বাবার বাড়িতে আছেন 😁। আপু আমিও এভাবে লাউ ভাজি করিনি কখনো। সব সময় রান্না করাই হয়েছে। তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে মনে হচ্ছে খেতে দারুন মজা হবে। আসলে এভাবে একবার চেষ্টা করবো আমি।
হ্যাঁ আপু এভাবে একবার করে দেখবেন খেতে বেশ মজার হয়েছিল । আর আপনাদের ভাইয়া একটি কাজে ঢাকায় গিয়েছেন বেশ কিছুদিনের জন্য । এই সুযোগে আমি একটু মায়ের বাড়িতে বেরিয়ে নিচ্ছি ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
চিংড়ি মাছ ব্যবহার করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লাউ ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি খেতে আমাকে অনেক অনেক মজা লাগে। আর আপনার তৈরি করে দেখি তো সঙ্গে সঙ্গে জিভে জল চলে আসলো।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাঁকগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া এই রেসিপিটি আপনার কাছে খুব ভালো লাগে এবং আমার রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপু আপনি বেশ কিছুদিন যাবত আপনার মায়ের বাসায় থাকার কারণে নিশ্চয়ই ভালো ভালো খাবার খেতে পারছেন। তাইতো আপনার মায়ের হাতের রান্না শেয়ার করেছেন। দারুন হয়েছে রেসিপিটি চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো ধরনের ভাজি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। লাউ আলু এবং চিংড়ি মাছের এই ভাজাটি চালের রুটি দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগবে।
হ্যাঁ আপু মায়ের বাসায় বেশ আনন্দে রয়েছি এবং মজার মজার খাবার খাচ্ছি । আর আপনি ঠিকই বলেছেন এই ভাঁজিটি চালের রুটি দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগার কথা । ধন্যবাদ আপনাকে ।
একা একা বসে বসে মায়ের হাতে রান্না খাওয়া হচ্ছে না? এই ভাজি টি আসলেই অনেক মজা লাগে। আমি বাসায় করলে এমন মজা হয় না। আপনি রেসিপিটি শেয়ার করার কারণে আমার উপকার হলো। পরবর্তীতে রান্না করলে এই রেসিপি ফলো করে রান্না করতে পারব। দেখেই তো মুখে পানি চলে আসলো।
হ্যাঁ আপু এই রেসিপি ফলো করে নিশ্চয়ই একদিন করে দেখবেন খেতে বেশ ভালই লাগে । গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ স্বাদ । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।