নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজ আমি পদ্মা পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি । এইতো কয়েকদিন আগে আমার বেশ দাঁতের সমস্যা ছিল । তাই দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম । যেয়ে দেখি ডাক্তার চেম্বারে নেই , সেদিন আর আসবে না । তাই আমি আমার হাজবেন্ড কে বললাম যেহেতু ডাক্তার নেই তাহলে চলো আমরা কোথাও থেকে ঘুরে আসি ।বাসায় যেতে মন চাইছিল না। কিন্তু তখন ছিল দুপুর তিনটা ।আমার হাজবেন্ড বললো এই সময় কোথাও ঘুরতে গেলে খুব একটা ভালো লাগবে না । তারপর আমি বললাম তাহলে নদীর পাড়ে যাই ওখানে তো অন্তত ভালো লাগবে । এই কথায় সে বলল হ্যাঁ ওখানে যাওয়া যায় । তারপর আমার হাজবেন্ড ,আমি ,আমার মেয়ে আমরা চলে গেলাম নদীর পাড়ে ঘুরতে।
নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো
নদীতে এখন চর জেগেছে তাই নদীর একদম কাছে যেতে হলে বেশ কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হয় । আমরা বেশ কিছু পথ হাঁটতে ছিলাম । হাটার মধ্যে দেখতে পেলাম একটা জায়গায় কিছুটা অংশ ভাঙ্গা যেখানে এরকম বাস পেতে দেওয়া হয়েছে । আর নিচ দিয়ে পানির স্রোত বয়ে চলছিল দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল ।
বিশাল নদীর চরের উপর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় দেখতে পেলাম কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় ঘাস জন্মেছে । আবার কিছু কিছু জায়গায় দেখতে পেলাম লোকজন মাঠে কি যেন উঠাচ্ছে । সেগুলো আবার মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও বিশাল চড়ের বুকে একটু দূরে দূরে দেখতে পেলাম চটপটি ও ফুচকার দোকান । বেশ কয়েকটা দোকান আছে এখানে । কেউ কেউ ঘুরে বেড়ায় আবার মাঝে মাঝে এ দোকানগুলোতে বসে চটপটি ফুচকা খায় । আমরা অবশ্য এখান থেকে কিছু খাইনি কেননা মাত্রই বাসা থেকে খাওয়া দাওয়া করে বের হয়েছিলাম তাই আর এখানে খাওয়া হয়নি।
আরো বেশ কিছুদূর যেতে যেতে দেখতে পেলাম বেশ কিছু ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলছে । আসলে বিশাল চরের বুকে এরকম ফুটবল খেলতে বেশ মজাই লাগার কথা । বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা তাদের খেলা দেখলাম । বেশ আনন্দ নিয়ে তারা খেলছে ।এছাড়াও কিছু দর্শক তাদের খেলা দেখছে ।
আমরা এভাবে কিছুদূর হাঁটতে হাঁটতে একদম নদীর কাছে চলে এলাম । আমার মেয়ে তো নদীর কাছে যেয়ে খুব খুশি । সে তার বাবার কাছে বায়না ধরল সে পানিতে নামবে । কেননা এর আগে একবার এসেছিল আমি নামতে দেইনি । এবার তার বাবা ও দেখলাম বেশ রাজি। তারপর বাবা মেয়ে মিলে দুজনে পানির মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ঘুরে বেড়ালো । তারা দুজন এক পর্যায়ে প্ল্যান করছিল পানিতে গোসল করবে । কিন্তু জামা কাপড় না নেওয়ার কারণে তা আর করা হয়নি। তারা বেশ মজা করছিল আর আমি পাড়ে দাড়িয়ে তাদের আনন্দ দেখছিলাম ।
নদীর উপর দিয়ে যখনই কোন ট্রলার বা নৌকা যাচ্ছিল তখনই নদীর ঢেউ পাড়ে এসে আসরে পরছিল ।এ দৃশ্যটা দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল । বেশ কিছুক্ষণ আমরা এখানে সময় কাটানোর পর তারপর আবার বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । সত্যি সেদিন কার সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল। নদীর বিশালতা সত্যি আমাকে খুব টানে ।তাই তো নদীর কাছে বারবার ছুটে যাই।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
দাঁতের সমস্যা হলে খুবই খারাপ লাগে। কোন কিছুই ভালো লাগেনা। যাই হোক যেহেতু ডাক্তার ছিল না সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এই সুন্দর নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। যেহেতু এবার ভাইয়া মা মেয়েকে পারমিশন দিয়েছিলেন পানিতে নামার তাহলে তো ব্যাপারটা আরো বেশ ভালো হয়েছে আপু। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
না আপু আপনার ভাইয়া মেয়েকে পারমিশন দিয়েছিল নদীতে নামার জন্য । আমি নামতে চাইনি ।আমি দাঁড়িয়ে তাদের পানিতে আনন্দ করতে দেখছিলাম । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
এরকম নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত একেবারে অন্যরকম হয়। আপনি দেখছি নদীর পাড়ে বেশ ভালোই ঘুরে বেড়িয়ে ছিলেন। আপনার মেয়ে পানিতে নামার জন্য তার বাবাকে বলেছিল। এরপর দেখছি তিনিও রাজি হয়ে দুজনে ই নদীর পানিতে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলেন। সেই মুহূর্তটা আপনি পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছিলেন। আসলে নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে আমিও অনেক বেশি পছন্দ করি। এরকম জায়গাগুলোতে গেলে মনটাও একেবারে ভালো হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বুঝতে পারছি বেশ ভালো ঘুরাঘুরি এবং মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন।
হ্যাঁ আপু নদীর পাড়ে গেলে বেশ মানসিক শান্তি পাওয়া যায় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
আসলে নদীর পারে এসে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ছোট বাচ্চারা খুবই আনন্দ করে। মেয়ে ও আপনার স্বামী নিশ্চয়ই পানিতে হাটাহাটির সময় খুবই আনন্দ উপভোগ করেছিল। আর ট্রলার বা নৌকা চলার সময় পানির ঢেউ এর মাত্রাটা বেশ বৃদ্ধি পায়। আর তখন ঢেউগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। যাহোক, অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর ঢেউ গুলো দেখতে সত্যি চমৎকার লাগে । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আর আমি তো আরো অনেক বেশি পছন্দ করি নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে। খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন নদীর পাড়ে গিয়ে। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রকম দৃশ্যর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার মেয়ে তো মনে হয় পানিতে নামতে পেরে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। নদীর সৌন্দর্য দেখে আমার তো নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে এখন খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার মেয়ের এবং তার বাবার প্ল্যান ছিল নদীতে নামবে, কিন্তু জামা কাপড় না আনার কারণে তাদের প্ল্যান ক্যানসেল করতে হয়েছিল। ভালোই লাগলো।
ভাইয়া আপনিও নদীর পারে ঘুরতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো । আসলে নদীর পারে ঘুরলে অন্যরকম শান্তি পাওয়া যায় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপু, দাঁতের ডাক্তার না থাকায় বেশ ভালই হয়েছে দেখছি, কেননা দাঁতের ডাক্তার না থাকার কারণে আপনার নদীর পাড়ে ঘোরার ইচ্ছে হয়েছে। আর নদীর পাড়ে ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলুন। নদীর পাড়ের অপরূপ দৃশ্য, মনমুগ্ধকর পরিবেশ, ও শীতল বাতাস সবকিছু মিলিয়ে সময়টা খুবই উপভোগ্য হয়। যাইহোক আপু হাজবেন্ডের সাথে নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর পাড়ে ঘুরতে সত্যিই বেশ ভালো লাগে । তাই তো বারবার যাওয়া হয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝেই আপনার এবং ভাইয়ার পোস্টগুলোটা পদ্মা নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখতে পাই।নদীর পাড়ে ঘোরার মজাই আলাদা।চড়ের বুকে চটপটি ও ফুচকার দোকান দারুণ ব্যাপার তো।অনেকটা জায়গা জুড়ে চর উঠেছে যেখানে ছেলেমেয়েরা ফুটবল খেলছে।আবার কেউ কাঠ কুড়োচ্ছে।নদীর জলে পা ভিজাতে ভালোই লাগে।নিশ্চয়ই আপনার মেয়ে বেশ মজা করেছে, ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু নদীর পাড়ে ঘোড়ার মজা অন্যরকম । তাইতো মাঝে মাঝেই নদীর পাড়ে চলে যাই। আর আমার মেয়েও পানিতে নেমে বেশ ইনজয় করেছে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
খুব ভালো লাগলো নদীর পাড়ের দৃশ্যগুলো দেখে।চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। দাঁতের ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ডাক্তার না পেয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে ভালো ই করেছেন।সময়টাকে উপভোগ করলেন নষ্ট না করে।আর মেয়ে খুব মজা করলো এবার পানিতে পা ভিজিয়ে। খুব ভালো লাগলো আপু অনুভূতি গুলো পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বেশ ভালোই ঘুরে ছিলাম এবং মেয়েও খুব মজা পেয়েছে পানিতে নেমে। আসলে এই মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের হয় । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় নদীর অপরূপ দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন আর সেই সমস্ত দৃশ্যগুলো আজ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন। দেখে ও পড়ে খুব ভালো লাগলো আর সুন্দর একটা মুহূর্তের অনুভূতিটা জানতে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই অসাধারণ পোস্ট।
ভাই আপনার কাছে আমার আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন।